মর্ডান মেয়ে যখন হুজুরের প্রেমে (পর্ব:- ০২)
#গল্প:- মর্ডান মেয়ে যখন হুজুরের প্রেমে
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০২















তারপর দোকান থেকে বের হয়ে আসিফ কে জিজ্ঞাস করলাম- আসিফ তুই কই থাকিস?
দোস্ত একটা বাসা ভাড়া করে থাকি। এখন থেকে তুইও আমার সাথে থাকবি।
ও আমিও একটা বাসা ভাড়া নিয়েছি সেখানেই থাকি।
ওকে ভাই গেলাম ভালো থাকিস। আসসালামু আলাইকুম!
ওলাইকুম আসসালাম!
তারপর আমি বাসায় চলে আসলাম। বাসায় এসে রান্না করে ঘুমিয়ে গেলাম। রাত ৩ তার দিকে ঘুম ভাংলো। উঠে অযু করে তাহাজ্জদের নামায পরলাম। কিছুক্ষণ পর মসজিদে আযান হলো তারপর মসজিদ থেকে নামাজ পরে আসি আমি পড়তে বসলাম।
পড়ে উঠে নাস্তা বানিয়ে খেয়ে কলেজে চলে গেলাম। যাওয়ার সময় রাস্তা পর হতে গিয়ে কিসের সাথে জানি ধাক্কা খেলাম। তারপর কর কিছু মনে নেই। তারপর চোখ খুলে দেখি আমি একটা কেবিনে শুয়ে আছি। পাশে থেকে একজন মাঝবয়াসি মহিলা বললেন- বাবা এখন কেমন লাগছে তোমার।
আমি বললাম- আলহামদুলিল্লাহ এখন ভালো আছি।
এরপর উনি যা বললেন সেটা শোনার পর মনে হলো আমি আসমান থেকে পরলাম, উনি বললেন-
তুমি সেদিন আমার গাড়ির সাথে ধাক্কা খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যাও। তারপর আমি তোমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। আজকে ২৪ ঘন্টা পর তোমার জ্ঞান ফিরল।
ধন্যবাদ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার জন্য।
না বাবা এতে ধন্যবাদ দেওয়ার দরকার নেই। একজন মানুষ বিপদে পরলে আর মানুষের দায়িত্ব তাকে সাহায্য করা। তা বাবা তোমার বাড়িতে কে কে আছে।
কেউ নেই আন্টি আমি এতিম।
ও সরি বাবা।
তারপর আমি রাতে আন্টিকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসলাম। আন্টি আমাকে অনেক বার বলেছে তাদের বাসায় যেতে কিন্তু আমি যাইনি।
আমি সকালে উঠে নামাজে পরে নাস্তা বানালাম। নাস্তা বানিয়ে আসিফ কে ফোন দিলাম।
আসসালামু আলাইকুম
ওলাইকুম আসসালাম। তুই কোথায় দোস্ত। দুইদিন কলেজে এলি না। কাজেও গেলিনা কি হয়ছে তোর।
ওকে তা হলে শোন আমার সাথে যা ঘটেছে সাব বললাম আসিফ কে। ও শুনে অবাক।
দোস্ত এত কিছু ঘটছে আর তুই আমাকে জানাসনি কেন?
সরি দোস্ত। আজকে কলেজে আসবি?
হুম! তুই আসবি?
হুম! তো বন্ধু রাখি কলেজে দেখা হচ্ছে ইন শা আল্লাহ। আসসালামু আলাইকুম।
তারপর নাস্তা করে কলেজে চলে আসলাম। গেটে দেখি আসিফ দাড়িয়ে আছে। আমি ওর কাছে গিয়ে বললাম- আসসালামু আলাইকুম দোস্ত।
ওলাইকুম আসসালাম। কেমন আছিস দোস্ত।
আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুই কেমন আছিস দোস্ত।
আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তো চল ক্লাসে যাই।
চল।
তারপর আমি আর আসিফ কথা বলতে বলতে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। দেখি নিলা আর ওর বান্ধবিরা দাড়িয়ে আছে।
আমরা সেদিকে খেয়াল না করে চলে আসছিলাম এমন সময় ওর আমাকে ডাক দিল- এইযে হুজুরেরা আপনারা একটু এইদিকে আসেন।
তারপর আমি আর আসিফ ওদের সামনে গিয়ে বললাম আমাদের ডাকলেন কেন?
এত প্রশ্ন করিস কেন? এতদিন কলেজে আসিস নি কেন?
অসুস্থ ছিলাম তাই আসিনি।
ওহ। তোকে না বলেছিলাম এই রকমভাবে কলেজে না আসতে। তুই আবার এই রকম ভাবেই এসেছিস কেন? আর তোকে না বলছি যে দাড়ি কেটে আসতে দাড়ি কাটিসনি কেন?
জ্বি আমি তো বলেছি আমি যদি দাড়ি কাটি তাহলে আমার পাপ হবে। আর আমি জেনে শুনে গুনা করতে পারবো না।
তু্ই আবার আমাকে জ্ঞান দিচ্ছিস। এই বয়সে কেউ দাড়ি রাখে।
দাড়ি রাখার বয়স না হলে আল্লাহ দাড়ি দিত না।
এই তোর জুব্বা খুলে আমার জুতা মুছে দে।
না আমি এমন কাজ করতে পারবো না। আল্লাহ ছাড়া আমি কারও কাছে মাথা নত করবো না।
ঠাসসসসস ঠাসসসসস
কি বললি তুই পারবি না। তোকে পারতেই হবে। আমাদের জুতা মুছে দে না হলে তোকে কলেজ থেকে বের করে দিব।
আমার জীবন থাকতে আমি এই কাজ করতে পারবো না।
ঠাসসসসস ঠাসসসসস
এত জোরে থাপ্পর মারছে আমি পরে গেছি। আসিফ আমাকে তুলে ওদের কে বলল।
ওকে মাফ করে দেন ও বুঝতে পারে না।
তারপর আমি আর আসিফ একসাথে ক্লাসে যাচ্ছিলাম। তো আসিফ বলল ওদের বারাবারি বেশি হয়ে গেছে কিছু করা দরকার।
আমি আসিফ কে বললাম আমি কিছু মনে করিনি দোস্ত । নবী (সাঃ) কে কোন কাফের কষ্ট দিলে তিনি তাদেরকে মাফ করতেন।
ঠিক বলেছিস দোস্ত । আমাদের সবার উচিত নবী (সাঃ) এর আদর্শ মেনে চলা।
হুম দোস্ত চল ক্লাসে যাই।
তারপর আমি আর আসিফ ক্লাসে গেলাম। তারপর একটা একটা করে সব ক্লাস শেষ করে ক্লাস থেকে বের হচ্ছিলাম। তখন আমি আসিফ কে বললাম দোস্ত আমাকে হাসপাতালে যেতে হবে । সেদিন এক্সিডেন্ট করার পর অনেক রক্ত ঝরেছে আমার শরীর থেকে, ডাক্তার আজকে যেতে বলেছে আমার শরীর পরিপূর্ন রক্ত দিতে পারেনি, কারণ সেদিন আমার রক্তের গ্রুপের রক্ত পাওয়া যায় নি ।
তোর রক্তের গ্রুপ কি দোস্ত।
O+ পজেটিভ। কেন?
আমার ও তো O+ চল আমি তোকে রক্ত দিব।
ঠিক আছে চল।
তারপর আমরা দুইজন হাসপাতালে গেলাম । ডাক্তার রক্ত নিয়ে আমার শরিরে দিল আমি বিশ্রাম নিলাম। সন্ধায় আমরা যখন বাসায় আসতে যাব তখন ডাক্তার সাহেব এসে বললেন আবির, আসিফ তোমার বড় হাই। কারন তোমাদের দুইজনের ডিএনএ মেস হয়ে গেছে।
আমরা দুইজন শুনে তো অবাক। আমি আসিফ কে বললাম তুই কোথায় বড় হয়েছিস ?
আসিফ বলল এতিমখানায়। এতিমখানার লোকজন নাকি আমাকে কুড়িয়ে পেয়েছিল।
ও আচ্ছা। ডাক্তারের কথাও বিশ্বাস না করে উপায় নেই ডিএনএ যেহেতু ম্যাস করেছে। এখন আমি আর আসিফ একটা বাসায় থাকি।
যাই হোক গল্পে ভিরি,
এই ভাবেই চলছিল আমাদের দিন।
আমি আর আসিফ একদিন কলেজ থেকে হেটে বাড়ি ফিরছিলাম। তখন আমরা শুনি দুইটা মেয়ে চিৎকার করে বলছে বাচাও বাচাও।
গিয়ে দেখি কয়েক জন ছেলে দুইটা মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে। দেখলাম মেয়ে দুইটা আর কেউ না নিলা আর ওর বান্ধবী সুমাইয়া।
#চলবে,,,,,,
{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments