ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ০৫)

 


#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৫

🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
হঠাৎ মুন্নি আমর রুমে কফি নিয়ে হাজির!!!
মুন্নি:- এই নে তোর কফি?
আমি:- আপনাকে কে কফি আনতে বলেছে?
মুন্নি:- ভাবি বলল তুই নাকি কফি খাবি। ভাবি তাই আমাকে কফি নিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে।
আমি:- আমার কফি লাগবে না আপনি কফিটা নিয়ে যান।
মু্ন্নি:- ঠিক আছে তাহলে আমি কফি টা পান করি?
আমি কিছু না বলে অন্যদিক হয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। একটু পরে অনুভব করলাম কেউ আমার বিছানায় উঠতেছে। তাই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেলো। দেখি সে আর কেউ না ও মুন্নি।
আমি:- কি ব্যাপার আপনি আমার বিছানায় উঠছেন কেন?
মুন্নি:- কে বলেছে এটা তোর বিছানা।
আমি:- কে বলেছে মানে রুম যেহেতু আমার তাই এই বিছানাটাও আমার।
মুন্নি:- আমাকে থাকার জন্য আম্মু এই রুম দিয়েছেন, তাই এটা আমার রুম বুঝলি।
আমি:- খাট থেকে নেমে কথা বলুন, আসছে এটা নিজের রুম বানাতে।
মুন্নি:- আমি যাব না। তোর যদি থাকতে ইচ্ছা না হয় তা হলে তুই যা।
আমি:- ঠিক আছে আমি গেলাম আপনি থাকেন।
এই বলে আমি রুমের বাইরে এসে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুমের ভেতরে মনে হচ্ছে আমার হাতের আঙ্গুল মনে হচ্ছে পুরে যাচ্ছে। আমি লাফদিয়ে উঠে দেখি মুন্নি আমার হাতের আঙ্গুল গরম কফির মখের ভেতরে চুবিয়ে রাখছে।
মু্ন্নি:- এতক্ষণে পিচ্চি নবাবের তাহলে ঘুম ভাংলো। যা গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় সবাই তোর জন্য নাস্তার টেবিলে তোর জন্য অপেক্ষা করতিছে।
আমি:- ভালো ভাবে ডাকলেই তো উঠতাম। আমার আঙ্গুল টা পোড়ানোর দরকার কি ছিল।
মুন্নি:- তোকে এর আগেও অনেক বার ডেকে গেছি। তুই উঠিস নি তাই এই কাজ করেছি।
আমি:- আপনি নিচে গিয়ে সবার সাথে খেতে পারেন নি আপনাকে কে বেধে রেখে ছিল?
মুন্নি:- আম্মু তোকে সাথে নিয়ে যেতে বলেছ।
তারপর রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে। বিছানায় বসে ফোন টিপতে শুরু করলাম। হঠাৎ আবার মুন্নি আমার রুমে এসে আমার হাত থেকে ফোন নেওয়ার চেষ্টা করল। বাট পারে নি।
আমি:- আপনি আমার ফোন নিচ্ছেন কেন?
মুন্নি:- চেক করবো তুই কয়টা মেয়ের সাথে রিলেশন করিস?
আমি শুধু ওর কথা শুনে গেলাম কিছু আর বললাম না এখন।
মুন্নি:- কিরে এখনও ও রেডি হচ্ছিস না কেন?
আমি:- রেডি হয়ে নিচে গেলাম গিয়ে দেখি সবাই বসে আছে।
আম্মু:- কিরে তোদের আসতে এত দেরি হলো কেন?
মুন্নি:- ফ্রেশ হতে দেরি হয়ে গেছে?
আম্মু:- মুন্নি মামুনি আমি জানি ওর গাধাটার উঠতে দেরি হয়ে গেছে। তাই তুই ওর দোষ নিজের কাধে নিচ্ছিস।
নাস্তা করে রুমে বসে আছি হঠাৎ মুন্নি আমার রুমে আসলো আমি মুন্নিকে বললাম---
আমি:- প্লিজ আমার একটা কথা রাখবেন?
মুন্নি:- আগে বল দেখি, পড়ে ভেবে দেখবো?
আমি:- বিয়ের পর তো আপনি আমার জীবন তেজপাতা করবেন সেটা আমি জানি। বিয়ের তো আর এক দিন আছে, এই এক একদিন আর আমাকে জ্বালায়েন না প্লিজ!
মুন্নি:- তোর কথায় আমি রাজি তবে আমার একটা শর্ত আছে?
আমি:- বলেন কি শর্ত?
মুন্নি:- এই একটা দিন আমার কথা মত চলতে হবে ?
আমি:- ঠিক আছে। তবে বিয়ের পর যে যার মত ।
মুন্নি কিছু না বলে রুম থেকে চলে গেলো। দেখতে দেখেতে দুপুর গড়িয়ে প্রায় বিকাল হয়ে আসলো। আমি ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিলাম, তখনই মুন্নি আমার রুমে আসলো।
মুন্নি:- কিরে পিচ্চি কোথায় যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছিস?
আমি:- বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে যাব।
মুন্নি:- পরে যাবি এখন আমি তোর সাথে তোদের গ্রামটা ঘুরে দেখবো।
আমি:- পারবো না অন্য কাউকে নিয়ে যান।
মুন্নি:- তুই কি ভালো কথায় যাবি নাকি। আম্মুকে বলতে হবে?
আমি:- আম্মুকে বলতে হবে না চলেন।
মুন্নি:- গুড বয়!
তারপর মুন্নিকে ঘুড়িয়ে দেখাতে লাগলাম আমাদের গ্রাম। গ্রামের প্রাকৃতিক পরিবেশের মত এত সুন্দর পরিবেশ আর হয়না। কাঁচা রাস্তা দিয়ে হাটছি রাস্তায় একটা ছোট ব্রীজ আছে ( আমাদের এলাকার ভাষায় পুল ) ঐ ব্রীজে মুন্নি বসল, তাই আমিও বসলাম। হঠাৎ কে যেন আমাকে পেছন থেকে ডাক দিলো। আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি আমার বেষ্ট ফেন্ড হানিফ। ও আমার কাছে আসল।
হানিফ:- কিরো কি অবস্থা তোর?
আমি:- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তোর কি অবস্থা?
হানিফ:- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। শোন জান্নাত তোকে দেখা করতে বলেছে । তুই নাকি জান্নাতের নাম্বার ব্লক করে রাখছিস।
মুন্নি হানিফের কথাটা শুনে আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।
আমি:- কো কো কো কোন জান্নাত। আমি কোনো জান্নাত কে চিনি না।
হানিফ:- জান্নাত তোকে কিছু বলবে না। ও শুধু তোকে দেখা করতে বলেছে তা হলেই তুই বুঝবি জান্নাত কে?
হঠাৎ মুন্নি বলে উঠল আমি আমিনুরের মামাতো বোন। আমিতো জান্নাতের কথা শুনে অবাক হয়ে গেলাম।
হানিফ:- ও ভালো। আচ্ছা আমি এখন যাই আর আমিনুর তুই একবার দেখা করে আসিস ওর সাথে।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে।
এই কথা বলে হানিফ চলে গেলো। দেখি মুন্নি আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছে।
আমি:- আসলে আপু......
আর কিছু বলার আগেই মুন্নি আমার গলে বসিয়ে দিলে ঠাসসসস করে এক চড়।
মুন্নি:- আমি তো জানতাম তুই একটা শয়তান এখন তো দেখছি তুই লুচ্চাও ।
আমি কিছু না বলে চুপচাপ শুধু গালে হাতি দিয়ে দাড়িয়ে আছে।
মুন্নি:- এখন চল জান্নাতের সাথে দেখা করবি। আর সব সম্পর্ক শেষ করবি আজকেই। ভুল করেও আমার পারিচয় দিবি না। আমার পরিচয় দিলে তো খবর আছে।
তারপর আমি আর মুন্নি জান্নাতের সাথে দেখা করতে গেলাম। দেখি জান্নাত রাস্তায় দারিয়ে আছে। হঠাৎ করেই আমার ফোনে একটা কল আসলো দেখি কলটা আর কেউ দেয় নি। মুন্নি কল দিয়েছে।
আমি:- এখানে থেকে আবার কল দেওয়ার কি দরকার?
মুন্নি:- আমি যা বলি তাই কর ফোন রিসিভ করে পকেটে রেখে দে।
আমি:- কেনো?
মুন্নি:- আমি যা বলি তাই কর? এতো কথা বলিস কেন?
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে।
এই কথা বলে আমি জান্নাতের কাছে গেলাম।
জান্নাত:- কেমন আছো আমিনুর?
আমি:- ভালো আছি। তুমি কেমন আছো?
জান্নাত:- ভালো। ঐ মেয়ে কে?
আমি:- উনি আমার কাজিন?!
জান্নাত:- হায় আপু।
মুন্নি:- হ্যালো। কেমন আছো জান্নাত?
জান্নাত:- ভালো। আপনি কেমন আছেন?
মুন্নি:- তোমরা কথা বলো আমি সাইডে আছি।
জান্নাত:- আচ্ছা ঠিক আছে।
মুন্নি সরে যাওয়ার সাথে সাথেই জান্নাত আমাকে জরিয়ে ধরে কান্না করে দিছে।
আমি:- কান্না করতিছো কেন?
জান্নাত:- আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। ভেবেছিলাম সারা জীবন তোমর সাথে কাটাবো তা আর হলো না, কারণ বাবা আমার বিয়ে ঠিক হয়ে করেছে।
ওর কান্ন দেখে আমার ও কয়েক ফোটা চোখের পানি বেয়ে ওর মাথায় পড়ল। তার পর জান্নাতের থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে নিলাম কারণ ওর কান্নার কারণে নিজেকে সামলাতে পারতাম না। জান্নাত কে বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দিয়ে মুন্নির কাছে আসলাম। দেখি ও প্রচুর রেগে আছে । আমি কোন কাথা না বলে মুন্নিকে নিয়ে বাসায় আসলাম। দেখতে দেখতে আমার বিয়েটাও হয়ে গেল।
বাসার সাদে দারিয়ে আছি, জান্নাত আর আমি একে ওপর কে অনেক ভালোবাসতাম জান্নাত সবে মাত্র এস এস সি পরিক্ষা দিয়েছে। বাড়িতে ভয়ে বলতে পারিনি আর জান্নাত ও ভয়ে আমার কথা ওর বাবা মা কে বলে নি। সাদে দাড়িয়ে এই সব কথা ভবছি আর কখন যে আমার চোখ থেকে পানি গরিয়ে পরছে আমি বলতেই পারিনি। হঠাৎ কেউ আমার পিছে হাত রাখলো আমি পেছনে তাকিয়ে দেখলাম- ভাইয়া আর ভাবি দারিয়ে আছে।
ভাইয়া:- কিরে তোর কি মন খারাপ কান্না করতিছিস কেন?
আমি:- না ভাইয়া এমনিতেই দাড়িয়ে আছি। আর চোখে পোকা পরেছে তাই পানি পরতিছি।
ভাইয়া:- ওহহ। মুন্নি রুমে একা আছে এখন রুমে যা।
তারপর আমি রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিয়ে সোফায় বসলাম। দেখলাম মুন্নি বারান্দায় দাড়িয়ে আছে। হঠাৎ মুন্নি এসে কোনো কথা ছাড়াই আমার গলে ঠাসসসস করে একটা পড় বসেয়ে দিলো, আমি শুধু অবাক হয়ে মুন্নির দিকে তাকিয়ে রইলাম।
মুন্নি:- এই চরটা দিয়েছি আমি থাকতে তুই অন্য মেয়েকে জড়িয়ে ধরছিস সেই জন্য। এখন থেকে চড় খাওয়ার জন্য অভ্যাস গড়ে তোল কারণ এখন কোনো ভুল হলে কিছু বলবো না সোজা থাপ্পর বসিয়ে দিবো।
আমি:- শুধু চুপ করে মুন্নির কথা শুনছি।
মুন্নি:- কিরে চুপ করে আসিছ যে কিছু বলিস না কেন?
আমি:- আমাকে কেনো বিয়ে করেছেন?
মুন্নি:- সবাই যে করণে বিয়ে করে আমিও সেই কারণেই বিয়ে করেছি।
আমি:- আপনি কি মানুষ?
মুন্নি:- তুই কি বলতে চাইতাছেস?
আমি:- না মানে আপনাকে দেখতে পেত্নীর মত লাগে।
মুন্নি:- একদম আমায় রাগাবী না। রাগালে থাপ্পর মেরে তোর সব গুলো দাঁত ফেলে দেবো।
আমি:- আমার জীবন টা তেজপাতা করেতে আমাকে বিয়ে করেছেন কলেজের প্রতিশোধ নিতে আমাকে বিয়ে করেছেন তাই না।
মুন্নি:- বেশি কথা না বলে এই দিকে আয় বাসর করতে হবে?
এই ছিল আমার ফ্লাস বেক এখন বাস্তবে ফিরি।
মুন্নি ওয়াশরুম থেকে ফ্রেশ হতে গেল আমি বালিশ আর কাথা নিয়ে এসে সোফায় ঘুমিয়ে গেলাম।
সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরে দেখি মুন্নি মাত্র ওয়াশরুম থেকে বের হলে তার পরে আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দুই জনে নাস্তা করতে নিচে গেলাম নাস্তা করে রুমে এসে মোবাইল টিপতাছি হঠাৎ কোথা থেকে যেন মুন্ন এসে আমার বাসে বসল আর বলল---


#চলবে,,,,,,

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}

★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.