ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ১০ ও শেষ)

 



#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ১০ ও শেষ

🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
আমি:- আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলছি প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না। আসলে কলেজে প্রথম যেদিন আপনাকে দেখি সেদিনিই আপনাকে ভালোবেসে ফেলছি। প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না।
মুন্নি:- তোর মাথা ঠিক আছে তো তুই এই সব কি বলছিস?
আমি:- হুম আমার মাথা একদমই ঠিক আছে।
মুন্নি:- তাহলে এই সব কি বলতিছিস। আমাকে এখন রাগাস না আর ৫ মাসের মত আছে তারপর তোকে আমি ডিভোর্স দিয়ে দিবো।
আমি:- দয়া করে এই ভাবে বলবেন না। আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচবো না।
মুন্নি: তা গিয়ে মর। আর যদি কোনো দিন এই রকম আজে বাজে কথা বলিস তো সেই দিন তোর খবর আছে বলে দিলাম।
তারপর আমি মুন্নির সামনে থেকে অন্য রুমে চলে গেলাম গিয়ে মুচকি মুচকি হাসতিছি তার মানে আমার প্লান কাজ করতিছে।
তারপর মন খারাপের ভান করে আবার রুমে এসে কোনো কথা না বলে শুয়ে পড়লাম।
এই ভাবে দিন কাটতে লাগলো। আমি মুন্নির সাথে কথা বলি না । সারাক্ষণ চুপচাপ থাকি। পরের দিন কলেজ থেকে বাসায় ফিলে দেখি মুন্নি আপু টিঢি দেখতিছে।
[আমার প্লানটা হলো আমি জান্নাতের সাথে আমি প্রেমের অভিনয় করবো]
আমি ফ্রেশ হয়ে এসে মুন্নির পাশে বসে টিভি দেখতে লাগলাম হঠাৎ দেখি জান্নাত মেসেজ দিয়েছে কল দেওয়ার জন্য। তাই আমি মোবাইলটা নিয়ে ছাদে গেলাম। অনেকক্ষণ পর ছাদ থেকে নেমে বাসায় আসলাম। এসে দেখি মুন্নি আপু রাগে ফায়ার হয়ে আছে। আমি কোনো কথা না বলে আবার সোফায় বসে টিভি দেখতে লাগলাম। হঠাৎ মুন্নি আপু বলে উঠল---
মুন্নি:- কিরে জান্নাত কি আমাদের কলেজে ভর্তি হয়েছে?
আমি:- মাথা নেরে হ্যা সূচক উত্তর দিলাম।
মুন্নি:- জান্নাত আর তোর মধ্যে কি চলতিছে?
আমি:- কি আর চলবে আগে আমাদের মাঝে যা ছিল এখনও তাই আছে।
মুন্নি:- মানে?
আমি:- কেন আপনি কিছু জানেন না?
মুন্নি:- জান্নাতের নাম্বার তুই কি নাম দিয়ে সেভ করে রাখছিস। বলেই আমার হাত থেকে ফোন কেড়ে নিলো মুন্নি।
আমি:- আমার যেটা ইচ্ছা সেটা দিয়ে সেফ করে রাখছি। আমার ফোন নিয়েছেন কেন ফোন দেন বলছি।
মুন্নি:- আমার পরিষ্কার কথা শুনে রাখ। যতদিন আমার সাথে আসিছ। ততদিন ভালো ভাবে থাকবি কারো সাথে কথা বলতে পারবি না।
আমি:- আপনার সাথে আছি মানে?
মুন্নি:- এই যে আমারা এখনও এক সাথে থাকছি।
আমি:- আপনি এটাকে একসাথে থাকা বলছিছেন। এটা তো সাপ বেজির সম্পর্ক।
মুন্নি:- তুই কিন্তু তোর সিমা অতিক্রম করছিস।
আমি:- সিমা আমি না আপনি অতিক্রম করেছেন। এত দিন আমাকে কম জ্বালান নাই। আমি আর এই সব সহ্য করতে পারবো না আপনি আপনার মত থাকেন আমি আমার মত থাকব।
মুন্নি:- কি বলতে চাচ্ছিস তুই?
আমি:- আমি আমার ভালোবাসার মানুষকে খুজে নিয়েছি। এখন আপনার অত্যাচার যে সহ্য করতে পারবে এই রকম কাউকে খুজে নেন।
মুন্নি:- তুই তো আমাকে বলেছিস তুই আমাকে ভালোবাসিস। এখন তোর ভালোবাসার মানুষ কোথায় থেকে আসলো?
আমি:- হুম ভালোবাসতাম বাট আপনি আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন তাই আপনাকে আর জোর করেনি। ঐ দিকে জান্নাত আমাকে এখনও ভালোবাসে তাই আমি জান্নাত কে ফিরিয়ে দেই নি।
মুন্নি:- তুই কি চাচ্ছিস আমি আম্মুকে তোর ব্যপারে সব উল্টা পাল্টা বলে তোকে সাইজ করব।
আমি:- আমাকে আম্মুর ভয় দেখিয়ে কোনো লাভ নেই কারণ আপনি আমার সাথে যে আচরণ করেছেন সেই সব কিছু আমি ফোনে ভিডিও করে রাখছি। আম্মুকে দেখালে আম্মু সব বুঝবে আমাকে আর বোঝাতে হবে না।
আমি:- দেখুন এখন আপনি আপনার মতো থাকুন আর আমাকে আমার মতো থাকতে দেন প্লিজ?
তারপর মুন্নি সোফা থেকে উটে চলে গেল আমিও আমার রুমে গেলাম। রাতে খাবার খেয়ে দিলাম এক ঘুম। সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি ১০টা বাজে। তারপর ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি মুন্নি টিভি দেখতিছে।
তারপর আমি রেডি হয়ে কলেজ চলে গেলাম এই ভাবে কয়েকটা দিন কেটে গেল। একদিন কলেজ থেকে এসে ঘুমিয়ে গেছি হঠাৎ অনুভব করলাম আমি বৃষ্টিতে গোসল দিচ্ছি। চোখ খুলে দেখি মুন্নি আমার শরীরে পানি দিয়েছে।
মুন্নি:- ছাদে আয় তোর সাথে কথা আছে।
তারপর আমি ছাদে গিয়ে দেখি মুন্নি ছাদের এককোণায় দাঁড়িয়ে আছে।
আমি:- কি বলবেন তারাতারি বলেন।
মুন্নি:- তুই এই ভাবে কথা বলতাছিস কেন?
আমি:- ঘুম পাচ্ছে খুব তাই ঘুমাবো।
মুন্নি:- তুই তো আমাকে বলেছিলি তুই আমাকে ভালোবাসিস?
আমি:- হুম বলেছিলাম।
মুন্নি:- আমি তোকে না করে দিয়েছিলাম তাই না।
আমি:- হুম। বাট এই সব পুরানো কথা কেন বলছেন এখন?
মুন্নি:- আমি যদি তোকে স্ত্রীর অধিকার দেই তাহলে তুই কি করবি?
আমি:- সরি আমি আর আপনাকে ভালোবাসিনা আমি জান্নাত কে ভালোবাসি আর ওকে বিয়ে করবো। জান্নাতকে ছাড়া আমি আর কাউকে কল্পনা করতে পারি না।
মুন্নি:- কেন? আমি কি জান্নাতের চেয়ে দেখতে সুন্দর না।
আমি:- আমি এটা বলতে চাইনি। আমি জান্নাকে একবার কষ্ট দিয়েছি আর জান্নাতকে কষ্ট দিতে পারবো না।
মুন্নি:- তুই আমাকে ফিরিয়ে দেস না প্লিজ। আমি জান্নাতকে সব কিছু বুঝিয়ে বলব।
আমি:- দুঃখিত আমি পারবো না।
মুন্নি:- ভালোই ভালোই বলছি রাজি হয়ে যা না হলে কিন্তু পরে আফসোস করবি।
আমি:- যা পারেন গিয়ে তাই করেন।
তারপর আমি পড়তে বসলাম। পড়া শেষ করে খাওয়া দাওয়া করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গিয়ে দেখি মুন্নি বসে আছে।
আমি তো মুন্নিকে দেখে রিতিমত ভয় পাইছি কারণ। মুন্নির চোখ দুইটি লাল হয়ে আছে। হয়তো কান্না করেছে সারা রাত।
তারপর কলেজ চলে গেলাম। কলেজ শেষ করে বাসায় এসে সোফায় বসে টিভি দেখছিলাম। হঠাৎ মুন্নি বলে উঠল---
মুন্নি:- এত দেরি করে বাসায় ফিরলি কেন কোথায় ছিলি এতক্ষণ।
আমি:- জান্নাকে নিয়ে ঘুরতে গিয়েছিলাম তাই আসতে দেরি হলো।
মুন্নি:- তোর লজ্জা করে না ঘরে বউ থাকতে তুই বাইরের মেয়ে নিয়ে ঘুরিস।
আমি:- আপনি শুধু আমার কন্ট্রাকের বউ।
মুন্নি:- দেখ আমাকে রাগাবী না। তুই ভালো করে জানিস আমি রাগলে কি করতে পারি?
আমি:- আপনার যা ইচ্ছা করেন তাকে আমার কি?
মুন্নি:- আমি তোকে মেরে ফেলবো বলে দিলাম।
আমি:- আপনি আমার কিছুই করতে পারবেন না। আর আম্মুর কাছেও বিছার দিয়ে কোনো লাভ নেই।
হঠাৎ দেখি জান্নাত ফোন দিয়েছে।
আমি:- হুম জান বলো।
জান্নাত:- কিরে মুন্নি কি তোর সামনে আছে নাকি?
আমি:- হুম বেবি আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি?
জান্নাত:- কাল একটু তারাতারি কলেজে আসিও তো কাজ আছে?
আমি:- ওকে জান। বাই লাই ইউ।
ফোন কেটে দিয়ে দেখি মুন্নি রাগে লাল হেয়ে গেছে। পরের দিন আমি কলেজ থেকে বাসায় আসলাম এসে শুনলাম আম্মু ফোন দেয়ে বাসায় যেতে বলেছে কারণ আমি নাকি চাচা হতে চলেছি। তারপর রেডি হয়ে আমি আর মুন্নি রওয়া দিলাম বাসার উদ্দেশ্যে বাসায় পৌছাতে রাত হয়ে গেল। তার পর রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে গেলাম । সকালে আমি, ভাইয়া আর ভাবি বসে গল্প করতাছিলাম হঠাৎ মুন্নি ফোন দিয়ে রুমে যেতে বলল তাই রুমে গেলাম। আমি রুমে প্রবেশ কারার পর কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুন্নি ঠাসসস,,,, ঠাসসসসস করে দুই গালে চড় বসিয়ে দিলো।
আমি:- আমাকে চড় মারলেন কেন?
মুন্নি:- এতদিন তুই জেনে শুনে আমাকে কষ্ট দিয়েছিস তাই না। মনে করেছিস আমি কিভাবে জানলাম তাই না জান্নাত আমাকে সব কিছু বলেছে।
এই কথা বলে মুন্নি যখন আবার চড় মারবে কখনই আম্মু মুন্নিকে ডাক দিল।
মুন্নি:- আসছি আম্মু। আর তুই শোন রাতে তোর খবর আছে শয়তান।
তারপর রাতে খাবার খেয়ে দেরি না করে তারাতারি এসে শুয়ে গেলাম। কিছুক্ষণ পর মুন্নি রুমে আসলো।
মুন্নি:- জনাব ঘুমের ভান করে লাভ নেই ওঠেন আপনার সাথে কথা আছে।
তারপর ভদ্র ছেলের মত চুপচাপ উঠে বসলাম। মুন্নি হঠাৎ বলে উঠল---
কাল কুমিল্লা গিয়ে তোকে সাইজ করবো।
এই কথা বলে মুন্নি ঘুমিয়ে গেল। তারপর আমি বালিশ হাতে নিয়ে সোফায় যেতে লাগলাম হঠাৎ মুন্নি বলল---
মুন্নি:- যেখানে এতক্ষণ শুয়ে ছিলি ওখানেই শুয়ে পড়। না হলে তোর পা ভেঙ্গে ফেলবো আজ।
তারপর চুপচাপ মুন্নির পাশে ঘুমিয়ে গেলাম। পরের দিন আবার কুমিল্লায় বলে আসলাম। রাতে খাবার খেয়ে রুমে এসে ফোন টিপছিলাম হঠাৎ মুন্নি রুমে আসলো।
মুন্নি:- কিরে আজকে তোকে কে বাঁচাবে আমার হাত থেকে?
আমি:- আপনি কি আমাকে মারবেন?
মুন্নি:- না তোকে আদর করবো?
এই কথা বলে মুন্নি আমার দিকে আসতে আসতে এগিয়ে আসতে লাগলো। তারপর আমি ভয়ে দাড়িয়ে গেলাম আমার সামনে এসেই আমাকে কিল ঘুষি মারতে লাগলো আর বলতিছে
মুন্নি:- তুই আমাকে কষ্ট দেস তাই না তোকে আজ মেরেই ফেলবো!
তারপর মুন্নি আমাকে মারতে মারতে কান্না করে দিছে।
আমি:- আমি কান্না করছেন কেন?
মুন্নি:- তুই আমাকে ভালোবাসিস না তাই। আমি যে একটা বোকা তাই তো তোকে নিজে থেকেই ভালো বেসে ফেলছি।
আমি:- আচ্ছা ভাইয়া যে বলেছিল তুই তো চাচা হতে চললি। তো আমি কবে বড় আব্বু হবো। আপনি যদি চান তাহলে আমরা সেটার চেষ্টা করতে পারি।
তার পর কিছু বলার আগেই মুন্নি আমার ঠোটগুটোকে মুন্নি নিজের দখলে নিয়ে নিলো। আর বাকিটা ইতিহাস। কি ব্যাপার পাঠক পাঠিকারা আপনারা এখনও কি দেখতে অপেক্ষা করছেন। তারাতারি ভাগেন।।।।


#সমাপ্ত,,,,,,

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}

★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.