ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

হুজুরের অভিমানী বউ (পর্ব:- ০৩ ও শেষ)


 #গল্প:- হুজুরের অভিমানী বউ

#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৩ ও শেষ

🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
রোদ্দুর রুমে এস লাইট অন করে চিৎকার করে উছলো।
আমিও অপ্রস্তুত ভাবে লাফ দিয়ে বসে ওর সাথে চিৎকার করতে শুরু করলাম। ভাবলাম রুমে হয়তো সাপ পোকা মাকড় কিছু একটা দেখে সে চিৎকার করছে 😂
রোদ্দুর চিৎকার থামিয়ে বললো- এই আপনি কে 😳
😱 আমি ওর কথায় অবাক হয়ে গেলাম। রোদ্দুর আমাকে চিনতেই পারছেনা!
এক দিনের মধ্যে কি এমন ঘটলো যে সে আমকে চিনতে পারবে না?
মাইগ্রেইনে কি তবে ওর মাথা খারাপ হয়ে গোলো নাকি?
নিলাঃ- “রোদ্দুর তুমি আমাকে চিনতে পারছো না 😬?
আমি তোমার নিলা”
সে বিস্ময়ের দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললো-আপনি দেখতে ঠিক আমার বউয়ের মত।
নিলাঃ- 😱 মানে কি?
রোদ্দুরঃ- আমার বউ তো বাপের বাড়িতে তাহলে আপনি কে?
নিলাঃ- আমি চলে এসেছি রোদ্দুর।
রোদ্দুরঃ- আমার বউ তো চিরদিনের জন্য বাপের বাড়ি চলে গেছে।
বিশ্বাস না হলে এই চিঠিটা পড়ে দেখুন!
নিলাঃ- রোদ্দুর আমি ফিরে এসেছি, আমি নিলা।
রোদ্দুরঃ- বুঝেছি আপনি ভুত প্রেত ডাইনী টাইপের কিছু হবেন 👿
নিলাঃ- আজব তো। আমাকে পেত্নীর মত দেখতে লাগছে?
রোদ্দুরঃ- আসল রূপ তো দেখাচ্ছেন না, আমার বউয়ের রূপ ধারণ করে আছেন।
আমি ওর কথা শুনে মহা বিপদে পড়লাম। হনুমানটাকে বুঝাতেই পারলাম না যে আমি তার বউ নিলা।
আমি খাট থেকে নেমে বললাম- রোদ্দুর আমাকে ছুয়ে দেখো আমি নিলা।
আমার কথা শুনে সে চিৎকার করে বললো- এই না খবরদার না, আমার কাছে আসবে না। আমি ভুত দেখে খুব ভয় পাই। আর বউ ছাড়া পৃতিবীর সব নারীকেও ভয় পাই 😇
এবার আমার খুব রাগ হলো তাই জোর করে ওকে জড়িয়ে ধরলাম।
ওমা হনুমানটা চুপ করে আছে।
মনে মনে ভাবলাম ভয়ে জ্ঞান হারায়নি তো?
নিলাঃ- এখন বলো আমি কে?
রোদ্দুরঃ- আমার বউ।
নিলাঃ- কি করে বুঝলে?
রোদ্দুরঃ- তোমার শরীরের ঘ্রাণ বললো তুমি আমার বউ।
নিলাঃ- এত দেরী করে বাসায় ফিরলে কেনো?
রোদ্দুরঃ- কাজ ছিল।
তারপর রোদ্দুর বাথরুমে গেলো ফ্রেশ হতে। হঠাৎ ফোন বেজে উঠলো। দেখলাম আম্মু ফোন দিছে।
আমি রিসিভ করে হ্যালো বলার আগেই আম্মু বললো- শোনো বাবা তুমি তো জানোই আমার মেয়েটা একটু আললাদী আর ছেলে মানুষ তাই একটু মানিয়ে নিও।
তুমি তো ওকে নিসে এসে একটুও দেরী করলে না তাই কিছু বলতে পারিনী বলে ফোন করলাম।
মেয়েটা সারা রাত এক মিনিটও ঘুমায়নি। ওকে খাইয়ে তারাতাড়ি ঘুমাতে বইলো।
কি হলো বাবা তুমি কথা বলছো না কেনো?
আমি লাইনটা কেটে দিলাম।
আম্মুকে বুঝতে দিলাম না যে আমি সব জেনে গেছি।
হনুমানটা অফিস শেষ করে আমাকে নিতে গেছিল।
আমি ওখান থেকে চলে এসেছি শুনে সে ওখানে দেরি করেনি।
এ জন্যই হনুমানটা বাসায় ফিরতে এত দেরি হয়েছে।
তাহলে মনে হয় সে আমাকে ভালবাসে। কিন্তু ভাব দেখায় যেনো আমাকে পাত্তাই দেয় না। এ জন্যই তো আমিও ওকে বুঝতে দিই না যে আমিও হাবু ডুবু হয়ে আছি।
তাহলে এতক্ষণ সে আমার সাথে ভুতের নাটক করছিল? ভালোই তো অভিনয়ে এক্সপার্ট দেখছি!
[হুজুররা সব সময় সব বিষয়ে এক্সপার্ট হয় বুঝলা চান্দুরা]
আমাকে এ ভাবে ভয় দেখালো!
রাগে আমার হাত পা কাঁপা শুরু হলো।
যতই ভাবি একটু ভালো হয়ে যাবো, এই হনুমানটা আমাকে কিছুতেই ভালো হতে দেয় না!
সে বাথরুম থেকে বের হতেই বললাম- তুমি গেস্ট রুমে ঘুমাবা।
রোদ্দুরঃ- সেকি কেনো?
নিলাঃ- বউ ছাড়াই তো তোমার দিব্যি চলে তাই আমার কাছে শুইবা না।
আমি গেস্ট নই এটা আমার বাড়ি তাই ইচ্ছে হলে তুমি ঐ রুমে যাও।
ওর কথা শুনে খুব কাঁন্না আসলো
একটি বারও বললো না যে, নিলা তোমাকে ছাড়া আমার একটি মিনিটও চলবে না।
আমি রাগ করে পাশের রুমে গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
কিন্তু ঐ হনুমানটা ছাড়া আমার ঘুম আসছে না 😞
আমার ভেতরের আমিটাই আমার সাথে শত্রুতা করছে। আমি যেনো আর আমিতেই নেই, আমিটাও ঐ হনুমানের হয়ে গেছে।
আর ঐ হনুমানটা আকাকে একটুও ভালোবাসে না 😖
এই সব ভাবতে ভাবতে কেঁদেই ফেললাম 😭
তারপর কখন ঘুমিয়ে গেছি বুঝতেই পারিনি।
সকালে ঘুম ভেঙ্গে দেখি রোদ্দুর আমার পাশে শুয়ে আছে।
আমি অবাক হলাম কিন্তু কিচ্ছু বললাম না।
বিছানা থেকে নেমে আসতেই সে আমার হাত টেনে ধরে আমাকে বিছানায় ফেলে দিয়ে আমার কানে কানে বললো- বউ ছাড়া আমার দিব্যি চলবে কিন্তু এই তার ফেড়া পাগলী নিলাকে ছাড়া আমার এক সেকেন্ডও চলবে না 😍
আর এই কথাটা আমার পাগলিটা একদমই বুঝে না।
ওর কথা শুনে আমি স্ট্যাচু হয়ে গেলাম আর মনে মনে বললাম- তাহলে হনুমানটা বোধ হয় আমাকে ভালোবাসে 😘
কিন্তু ওকে ছাড়াও যে আমার প্রতিটি সেকেন্ডেই নষ্ট, সেটা আমি কিছুতেই ওকে বলবো না।


#সমাপ্ত,,,,,,

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}

★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.