ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ০৮)

 



#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৮

🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
মুন্নি:- এমনি। কেন হাত ধরতে দিবি না নাকি ?
আমি:- যদি খারাপ কোন মতলাপ না থাকে তাহলে ধরতে পারেন।
মুন্নি:- খারাপ মতলব করবো আমি, তাও আবার তোর প্রতি?
বলে মুন্নি হাত ধরে রইল। এই প্রথম মুন্নি নিজ ইচ্ছা করে আমার হাত ধরেছে এর ফিলিংস বোঝাতে পারবো না। GF যদি হাত ধরে এতে কোনো ফিলিংস নেই। যদি স্ত্রী স্বামীর হাত ধরে এর ফিলিংস বলে বোঝানো সম্ভব না। সব সময় হালালে আরাম হয়।
তারপর পরে উঠি ছাতা নিয়ে বাহিরে থেকে খাবার নিয়ে এসে দুইজনে খেয়ে নিলাম। খেয়ে আমি শুয়ে পরলাম মুন্নি আমার পাশে শুয়ে পরল।
আমি:- আপনি এখানে শুয়ে পড়লেন কেন?
মুন্নি:- বেশি কথা না বলে চুপচাপ শুয়ে থাক।
আমি:- ওকে ঠিক আছে আপনি এখানে ঘুমান আমি সোফায় গেলাম।
মুন্নি:- সোফায় যেতে হবে না মাঝখানে কোলবালিস দিয়ে এখানেই তুই ঘুমা।
তারপর কোলবালিস দিয়ে আমি চুপচাপ চোখ বন্ধ করে ঘুমের ভান করে আছি। হঠাৎ মুন্নি বলে উঠল।
মুন্নি:- আমিনুর তোকে একটা কথা বলার ছিল?
আমি:- কোনো উত্তর না দিয়ে চোখ বন্ধ করে চুপচাপ শুয়ে আছি আর মুন্নির কথা গুলো শুনতিছি।
মুন্নি:- কিরে ঘুমিয়ে গেছিস নাকি?
আমি:- কোনো উত্তর দিলাম না।
তারপর মুন্নির কোন সারা শব্দ না পেয়ে চোখ ঘুলে দেখি মুন্নি মুন্নি আমায় জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে পরেছে। আমি মুন্নির কানের কাছে গিয়ে বললাম।
আমি:- এই ভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন কেন?
মুন্নির কোনো সারা শব্দ নেই পাগলিটা মনে হয় ঘুমিয়ে পরেছে। মাঝে মাঝে আকাশে বিদুৎ চমকানোর আলো মুন্নির মুখে এস পরছিল তাতে মুন্নিকে আরও সুন্দর লাগছিল।
তারপর মুন্নিকে দেখতে দেখতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি বলতেই পারিনা। সকাল ঘুম ভাংলো বিছানা থেকে কেন জানি উঠতে পারতিছি না চোখ খুলে দেখি মুন্নি আমায় এমন ভাবে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে যে আমি নড়তে চরতেই পারতিছি না।
মুন্নির মাথার চুল গুলো এলো মেলো হয়ে গেছে তাই ফুঁ দিয়েতেই মুন্নি সজাগ হয়ে গেলো। মুন্নি নিজের দিকে দেখি আমাকে ছেড়ে দিয়ে সরে গেলো।
মুন্নি:- তুই আমার কাছে আসলি কেন?
আমি:- দুঃখিত আমি এই পাশেই শুয়েছিলাম আপনি একটা ছেলেকে একা পেয়ে কোলবালিস ফেলে দিয়ে সুযোগ নিয়েছেন।
মুন্নি কিছু না বলে চুপ করে আছে।
আমি:- সত্যি করে বলেন তো আপনি আমার সাথে কি কি করেছেন?
মুন্নি:- কি কি করছি মানে। তোর কি মনে হয় আমি তোর মত খারাপ ছেলের সুযোগ নিবো?
আমি:- সেটা তো আমি ঘুম থেকে উঠেই দেখেছি।
মুন্নি:- চুপ করে থাকবি বেশি কথা বলবি না। এখন গিয়ে আমার জন্য কফি বানিয়ে নিয়ে আয়?
আমি:- পারবো না আমি আপনি বানিয়ে খেয়ে নেন।
মুন্নি:- ভালোই ভালোই যাবি নাকি আম্মুর কাছে ফোন দিবো?
আমি:- যাচ্ছি।
তারপর আমি কফি বানিয়ে এসে দেখি মুন্নি আবার ঘুমিয়ে পড়েছে। তারপর আমি মুন্নিকে ডাক দিলাম।
মুন্নি:- কি হলো ডাকতাছিস কেন?
আমি:- এই তো কফি খেয়ে নিয়েন।
বলে কফিটা টেবিলের উপরে রেখে আমি ফ্রেশ হয়ে এসে আমির কফিটা থেয়ে পড়তে বসলাম। আর অনলাইনে খাবার অর্ডার দিয়ে দিলাম।
বৃষ্টির কারণে আজ আর কলেজে গেলাম না। তাই বারান্দায় বসে বসে পরছিলাম হঠাৎ আমার ফোনে একটা কল আসলো।
আমি:- কে আপনি?
নিলা:- এত তারাতারি আমাকে ভুলেগেছেন। গতকাল আপনাকে প্রপোজ করলাম।
আমি:- আচ্ছা তুমি।
নিলা:- গত কালকের কলেজের ঐ ঘটনার জন্য আমি দুঃথিত।
আমি:- মুন্নি তো আস্ত একটা পাগলি ওর কথায় আমার খারাপ লাগে না।
নিলা:- গতকাল কফি খেতে আসেন কি কেন?
আমি:- ঝড়ের কারণে যাইনি। আর মুন্নি ডাইনিও অনেক প্যারায় রেখেছিল গত কাল।
নিলা:- আপনাকে কিছু বলছে নাকি পরে।
আমি:- আরে ঐ ডাইনিটা আমার কিছুই করতে পারেনি।
পিছনে দরজাতে তাকাতেই আমার চোখ কপালে উঠে গেল। আমি কি করবো বুঝতাছি না। তাই নিলাকে ঝাড়ি দিয়ে বললাম---
আমি:- আমার বউ ডায়নি নাকি রাক্ষসী সেটা কি তোমার থেকে শুনতে হবে আর কখনও যদি আমাকে ফোন দিয়েছো তো খবর আছে।
মুন্নি যেন আমায় সন্দেহ না করে তাই ফোন কেটে দিয়ে মুন্নিকে বললাম---
আমি:- একটা মেয়ে আপনাকে রাক্ষসী বলছিল তাই একটু শায়েস্তা করলাম।
মুন্নি:- তাই নাকি তা কি কি বলছে আমার নামে।
মুন্নির দিকে দেখে বুঝলাম মুন্নি প্রচুর রেগে আছে।
আমি:- মেয়েরা আর একটা মেয়েকে যা বলে আর কি।
মুন্নি:- ওহহ। এই কথাও কি বলেছে ঐ ডাইনিটা আমার কিছুই করতে পারেনি।
আমার আর বুঝতে বাকি রহলো না যে মুন্নি সব কিছু শুনে ফেলেছে। হঠাৎ মুন্নি বলল---
মুন্নি:- কিরে কিছু মনে পড়ল।
আমি:- ঐ মেয়ে আপনার সম্পর্কে একম একটা কথা বলেছে যেটা আমি আপনাকে বলতে পারবো না।
মুন্নি:- কি বলেছে।
আমি:- বললে আপনি রেগে যাবেন।
মুন্নি:- আমি তোকে বলতে বলছি না। তুই বল?
আমি:- বিয়ের আগে নাকি আপনার অনেক কয়টা ছেলের সাথে রিলেশন ছিলো। আমি আপনাকে কত বিশ্বাস করতাম। আর আপনি আমাকে ধোকা দিলেন।
মুন্নি:- মুখ সামলিয়ে কথা বলবি। তোর মুখে যা আসবে তাই বলবি নাকি?
আমি:- মেয়েটা বলল আপনার মেসেন্জার লেপটপ ই-মেইল আইডি চেক করলেই নাকি সব পেয়ে যাবো।
মুন্নি:- ঐ মেয়ের সাহস কি করে হয় আমার নামে মিথ্যা বলার।
আমি:- মেয়েটা মিথ্যা বলেছে নাকি সত্যি বলেছে সেটা আপনার সব কিচু চেক করলেই বোঝা যাবে!
মুন্নি:- তুই ও আমাকে বিশ্বাস করছিস না।
আমি:- এখানে বিশ্বাস অবিশ্বাসের কি আছে। আপনি যদি সাধু হোন তাহলে লেপটপ দেখাতে এত ভয় পাচ্ছেন কেন?
মুন্নি:- আমার রুমে আয় তোকে আমার লেপটপ দেখাচ্ছি।
আমি:- ওকে চলেন।
মুন্নি আমার রুম থেকে বের হওয়ার সাথেই আমার রুমের দরজা লাগিয়ে দিলম আর মনে বলছি আজ জব্বর বাচা বেঁচে গেছি। মুন্নি দরজার ঐপাশে থেকে দরজা থাক্কাচ্ছে আর বলছে--
মুন্নি:- ঐ আমিনুরের বাচ্চা আজ খালি তুই দরজা খোল এক আমি তোকে কাঁচা চাবিয়ে খাবো। এখনও সময় আছে ভালোয় ভালোয় বলছি দরজা খোল।
আমি কছু না বলে খাটে শুয়ে গজল শুনতে লাগলাম। কিছক্ষণ পর পরিস্থতি স্বাভাবিক হয়ে গেল তাও আজ রুম থেকে বের হওয়া যাবে না। রুম থেকে বের হলেই আমার খবর আছে।
এই দিকে দুপুর হয়ে এলো খুদাও লেগেছে খুব কি করবো বুঝতাছি না, বাইরেও বের হওয়া যাবে না। তারপর লুকে লুকে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে ঘুমিয়ে গেলাম । ঘুম ভাঙলো কারো হাতের স্পর্শে। আমি চোখ খুলেই তো অবাক মুন্নি আমার রুমে আসলো কিভাবে পরে মনে করে দেখলাম দুপুরে ফ্রেশ হয়ে আসার পর দরজা লাগতে ভুলে গেছি।
আমার হাত পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখি মুন্নির ওড়না দিয়ে আমার হাত পা বাধা। আর মুন্নির কাছে মেয়েদের সাজ গোজের জিনিস মানে মেকআপ এই সব।
মুন্নি:- বাবু তোমার ঘুম ভাঙ্গেছে তাহলে।
আমি:- বাবু কে? আমকে এই ভাবে কেন বেধে রেখেছেন?
মুন্নি:- ওলে আমার বাবুটার বুঝি মনে নেই তুই কি করছিস?
আমি:- সরি আমি তখন নিজেকে আপনার হাত থেকে বাচানোর জন্য ঐ সব করেছি।
মুন্নি:- তো এখন তোর কি হবে?
আমি:- বললাম তো সরি আমার ভুল হয়ে গেছে।
মুন্নি:- আমি রাক্ষসী, ডাইনি তাই না। এখন দেখ এই রাক্ষসী ডাইনি কি করে।
মুন্নি ওর ঠোটে লিপস্টিক লাগিয়ে আমার গালে চুমু দিয়ে তার পর আমার ছবি তুলতিছে।
আমি:- আপনি কি করছেন এই সব?
মুন্নি:- যা করছি চুপচাপ শুধে দেখে সহ্য করে করে যা।
কিছুক্ষণ পরে মুন্নি আমার হাত পায়ের বাধন খুলো দিলো।
মুন্নি:- এখন গিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখ তাহলেই বুঝবি রাক্ষসী, ডাইনি কি জিনিস।
তারপর আমি ফ্রেশ হতে ওয়াশরুমে গিয়ে আয়নায় নিজেকে নিচতে পারতিছি না আমার পুরে মুখে শুধু লিপস্টিকের দাক। আমি ফ্রেশ হয়ে রুমে ডুকতেই মুন্নি বলল---
মুন্নি:- কিরে কেমন শর্কড খেলি?
আমি:- আগে বলেন আপনি ছবি তুলছেন কেন ছবি গুলো কি করবেন?
মুন্নি:- কেন আমি বুঝি আমার বাবুটার ছবি তুলতে পারবো না।
আমি:- সোজা সুজি বলুন ছবি কেন তুলছেন?
মুন্নি:- যদি কোনো মেয়েকে তোর আশে পাশে দেখি তাহলে আমি বেশি কিছু করবো না শুধু ছবি গুলো ঐ মেয়েকে দেখাবো!
মুন্নির কথা শুনে আমি কিছু বুঝতাছি না মুন্নিকে কি বলব।
মুন্নি:- শোনো বাবু এখন থেকে কোন মেয়ের সাথে কথা বলার আগে ১০০ বার ভাববি।
আমি চুপচাপ শুধু ওর কথা গুলো শুনতিছি।
মুন্নি:- আর নিলাকে এই সেল্ফিগুলো পাঠিয়ে দিয়েছে। দেখ এখন তোকে নিলা সামনে পেলে কি করে।


#চলবে,,,,,,

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}

★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.