কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ০২)
#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০২















আমি তাকিয়েই তো ক্রাস খেয়ে গেলাম! দেখতে পুরাই একটা আস্ত পরী। আমি এখ ধ্যানে তাকিয়ে আছি হঠাৎ উনি আমায় ডাক দিলো।
কিরে পিচ্চি এভাবে তাকিয়ে কি দেখিস?
না মানে কিছু না। কিছু কি বলবেন?
হুম, এই পিচ্চি এই দিকে আয় তো!
আপনি আমার থেকে মাত্র ১ বছর সিনিয়র, তাহলে আমাকে আপনি পিচ্চি বলেন কিভাবে?
তোকে তো কখনও কলেজে দেখিনি নতুন নাকি?
হুম কেনো?
তুই কিউটের ডিব্বা তাই তোকে রেগিং করবো?
আমি কিছু না বলে চুপচাপ দাড়িয়ে রইলাম! হঠাৎ একটু পরে মামুন ভাইয়া আসলো।
মামুন ভাইয়া:- মুন্নি তুই ওকে ধরেছিস কেনো?
[এতক্ষণে বুঝলাম পরীটার নাম মুন্নি।]
মুন্নি:- সেটা কি তোকে বলতে হবে?
মামুন ভাইয়া:- হুম! ও আমার ছোট ভাই বুঝেছিস ওকে ধরলে কি ভালো হবে নে বলে দিলাম।
আমি দেখি মুন্নি আপুর থেকে একটু দূরে মুন্নি আপুর বান্ধবী দারিয়ে আছে তাই আমি আপুর বান্ধবীকে পটাতে শুরু করলাম। কারণ আমার বড় ইচ্ছা বড় আপুর সাথে প্রেম করব। হঠাৎ মুন্নি আপুর নজর পরতেই একটা ধমক দিলো।
মুন্নি:- ঐ তোর এত বড় সাহস তুই আমার বান্ধবীকে পটাচ্ছি। আমার বান্ধবীকে পটানোর তোর সাহস হয় কি করে?
আমি চুপ করে আপুর দিকে রাড়ি চোঁখে তাকালাম! আপু এতদিন তো ভালোই কলেজে রাজত্ব করেছো। তো সময় থাকতে ভালো হয়ে যাও বাই?
এই কথা বলে ওখান থেকে সোজা ক্লাসে চলে গেলাম ক্লাস শেষ করে সোজা বাসায় চলে আসলাম। পরের দিন কলেজে কাউকে না পেয়ে সবাইকে খুজতে লাগলাম। হঠাৎ একটা রুমের কাছে আসতেই কে জানি আমাকে টান দিয়ে একটা ক্লাস রুমে ঢুকিয়ে নেয় সাথে সাথে দরজা লাগিয়ে দেয়। আমি পেছনে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলাম কারণ পুরো ক্লাসে শুধু মেয়ে আর মেয়ে দ্বারা ভর্তি।
আমি:- আমাকে এখানে কেন আনা হয়েছে?
মুন্নি:- তুই গতকাল কি বলেছিলি মনে নেই?
আমি:- কখন?
মুন্নি:- তোর বাসা কোথায় রে। হঠাৎ এসে আমাদের রাজত্ব শেষ করবি তাই না।
আমি:- গ্রামে।
সবাই আমার উত্তর শুনে হাসিতে যেন মেঝেতে গড়াগড়ি করবে। আমি শুধু সবাইকে দেখছি।
মুন্নি:- তুই গ্রামের ছেলে হয়ে আমাদের রাজত্ব কেড়ে নিবি তাই না?
আমি:- কিছু দিন অপেক্ষা করেন তার পর সব কিছু দেখতে পাবেন।
মুন্নি:- তুই দেখতে এত কিউট গ্রামে থকতে তো মনে হয় ভালো ছিলি। শহরে এসে খারাপ হয়ে গেলো কেন?
আমি:- আমি শহরে যেরকম আছি। গ্রামেও ঠিক একই রকম ছিলাম। আমি আমার এলাকার সিংহ।
মুন্নি:- দেখতাছি তুই গ্রামে কেমন সিংহ ছিলি? দাড়া!
আমি:- কিভাবে দেখবেন?
মুন্নি:- তোর গ্রামে খোজ নিবে।
আমি:- গ্রামে খোজ নিতে যাইয়েন না।
মুন্নি:- কেন গ্রামে খোজ খবর নিলে কি তোর গোপন সব কথা ফাস হয়ে যাবে নাকি?
আমি:- নাম খোজ নেওয়ার পর আর ভয়েই আমার সামনে আসবেন না। তখন আমার সামনেই আসতেই ভয় পানেন।
মুন্নি:- ওহ! তাই নাকি।
আমি এই বলে রুমের দরড়া খুলে বাহিরে এসতেই দেখি মামুন ভাইয়ারা সবাই দাড়িয়ে আছে।
মামুন ভাই:- ওরা কি তোকে মেরেছে নাকি?
আমি:- আমাকে মারতে সাহস লাগবে যে সাহস ওদের নেই।
মামুন ভাই:- তুই এই কলেজে প্রথম যে যে কিনা টর্চার রুম থেকে মার না খেয়ে বাহির হয়েছিস।
আমি:- ঐটা টর্চার রুম নাকি? ওদের এমন ভয় দেখাইছি আমার সাথে কথায় বলবে না ভয়েতে।
মামুন ভাই:- তাই নাকি?
আমি:- হুম।
কিছুক্ষণ পর মুন্নি আপুরা ক্লাস রুম মানে টর্চার রুম থেকে বের হলেন আপুদের মুখ শুকানো দেখে মামুন ভাইয়েরা হাসতে লাগলো ওদের জ্বালানোর জন্য।
মামুন ভাই:- ঐ মুন্নি এবার আমরা সিংস এনেছি এখন আমাদের সামনে এসে রাজত্ব করিস।
তারপর আমরা কলেজ ক্যাম্পাসে বসলাম।
আমি:- আচ্ছা ভাইয়া এই কলেজে মেয়েদের লিডার কয়জন?
মামুন ভাই:- ৩ জন?
আমি:- এদের সবার মুন্নি কি এদের সবার লিডার?
মামুন ভাই:- হুম!
আমি:- আচ্ছা ভাইয়া কলেজে মুন্নির কি কোনো ক্রাশ আছে বা মুন্নি কি কাউকে ভালোবাসে?
মামুন ভাই:- না কেন?
আমি:- আর বাকি ২ জনের কি অবস্থা ওদের কি কোনো বয়ফ্রেন্ড আছে?
মামুন ভাই:- হুম আছে। তুই এত কিছু জিজ্ঞাস করছিস কেন বলতো?
আমি:- কারণ মেয়েরা যাকে ভালোবাসে, তার সব কথায় শুনে আমরা সেটার মাধ্যমে ফায়দা তুলব।
এখন ওদের দুই জনের বয়ফ্রেন্ডকে আমাদের টিমের উঁচু পদ দিয়ে দেও তারপর দেখো ওরা দুইজন আমাদের কথায় চলবে। আর মুন্নির ব্যাপস্থা পরে করব!
মামুন ভাই:- ওকে। মুন্নিকে সায়েস্তা করতে হলে ওর সম্পর্কে আগে আমাকে জানতে হবে?
মামুন ভাই:- তাহলে শুন। মুন্নি হলো মা বাবার একমাত্র মেয়ে। ওর বাবা বড়লোক এবং বড়লোক হওয়ার কারনেই এই কলেজের সভাপতির পদটাও ওর বাবাকে দিয়েছে কলেজ কমেটি। মুন্নি একটু সুন্দরী হওয়ায় ওর অহংকারও টাও একটু বেশি কোনো ছেলেকে টাইম দেয় না।
আমি:- ঠিক আছে আমি মুন্নিকে দেখো নিবো এখন তোমাদের যা করতে বললাম তাই করো।
মামুন ভাই:- ওকে। যা করবি তারা তারি আগমী ২৫ তারিখ কিন্তু কলেজ লির্ডার নির্বাচন।
[আমাদের কলেজে আবার এই নির্বাচন হয় সমস্থ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে একজন লিডার থাকবে সেই শিক্ষার্থীদের ভালো মন্দ সব বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে কথা বলবে]
আমি:-ওকে তুমি কোনো চিন্তা করো না।
তারপর ক্লস শেষ করে বাসায় ফিরে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া করে বই পড়ছিলাম।
হঠাৎ করে আমার ফোনটা বেঁজে উঠল দেখি একটা আননোন নাম্বার থেকে কল এসছি। কলটা রিসিভ করলাম।
ঐপাশ থেকে একটা মেয়ের কন্ঠ।
আমি:- কে আপনি?
নিলা:- ভাইয়া আমি নিলা।
আমি:- আরে নিলা কেমন আছিস।
নিলার পরিচয়টা দেই নিলা হচ্ছে আমি এর আগে যে স্কুলে পরেছি সেই কলেজের প্রধান শিক্ষকের মেয়ে এইবার ক্লাস টেনে পড়ে।
নিলা:- ভালো ভাইয়া। ভাইয়া তুমি যে কলেজে এখন পড় ঐ কলেজ থেকে একটা মেয়ে আব্বুর কাছে ফোন দিয়েছিল তোমার সম্পর্কে জানতে।
আমি:- তো স্যার কি বলল।
নিলা:- জানিনা ভাইয়া। আব্বু আমাকে বলেনি আর কিছু।
আমি:- ওকে ভালো থাকেস। বলে ফোন কেটে দিলাম।
পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখি মুন্নি দাড়িয়ে আছে। আমি মুন্নির কাছে গিয়ে বললাম---
আমি:- কি ব্যাপার ম্যাডাম আমার ব্যাপারে কি বলল আমার আগের হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
মুন্নি:- তুই কিভাবে জানলি?
#চলবে,,,,,,
[অনুমতি ছাড়া কেউ গল্প কপি করবেন না]
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments