ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

মর্ডান মেয়ে যখন হুজুরের প্রেমে (পর্ব:- ০৩)

 


#গল্প:- মর্ডান মেয়ে যখন হুজুরের প্রেমে
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৩

🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
আমি আর আসিফ একদিন কলেজ থেকে হেটে বাড়ি ফিরছিলাম। তখন আমরা শুনি দুইটা মেয়ে চিৎকার করে বলছে বাচাও বাচাও।
গিয়ে দেখি কয়েক জন ছেলে দুইটা মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করছে। দেখলাম মেয়ে দুইটা আর কেউ না নিলা আর ওর বান্ধবী সুমাইয়া।
আমি ওই ছেলেদেরকে বললাম ওদেরকে ছেড়ে দেন।
ওদের ভিতর থেকে একজন বলল সমস্যা কি এখন থেকে চলে যা না হলে তোদের মেরে ফেলব।
আপনারা এইখানে দুইজন মেয়েকে ধর্ষণ করবেন আর আমরা কিছু বলবো না এটা হবে পারে না। ইসলাম এটাকে সমর্থন করে না।
[বর্তমানে বাংলাদেশ পত্রিকা খুললেই চখে পরে ধর্ষণের খবর। কারা র্ধষণ করে সেটা না হয় নাই বললাম কারণ যারা পত্রিকা পরেন তারা দেখেন কারা ধর্ষণ করে। দুনিয়ার ভিতরে সবচেয়ে নিকৃষ্ট জানোয়ার এই ধর্ষকরা। প্রিয় দ্বীনে বনেরা ইসলাম আপনাদেরকে এত বেশি সম্মান মর্যাদা দিয়েছে যা আর কেউ বা কোনো ধর্ম দেয়নি কিন্তু আফসোস। আজ অনেক সুশিল সমাজের লোক এবং অনেক মেয়েরা নারী পুরুষের সমান অধিকার চায়। পরিশেষে একটি কথা প্রিয় দ্বীনি বনেরা ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী চলেন ইন শা আল্লাহ বাংলাদেশ থেকে ধর্ষণ কমে যাবে।]
তারপর ওরা আবার বলল এখান থেকে ভাগ নাহলে বেঁচে ফিরতে পারবিনা।
তারপর মাথা গেল গরম হয়ে জানোয়ারদের এত বুঝানোর পরে যখন বুঝলো না। বাম পাশে দেখি কয়েকটা লাটি পরি আছে তার পর লাটি নিয়ে ওদের মারতে শুরু করলাম। মারামারির এক পর্যয়ে ওদের একজনের ছুরির আঘানে আমার হাত কিছুটা কেটে যায়। তারপর আরও রাগ উঠে গেল । ওদের এমন পিটা দিলাম পুরো আধমরা করেছি পিটিয়ে।
তারপর আমার জুব্বা খুলে নিচের দিকে তাকিয়ে নিলা ও সুমাইয়াকে দিলাম জড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
তারপর ওরা পাঞ্জাবি জড়িয়ে নিলো। তারপর ওদেরকে বাহিরে নিয়ে এসে ওদের কে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য আমার চাচাত ভাইকে ফোন দিলাম কারণ ওর মাইক্রো গাড়ি আছে ওদের এই অবস্থায় অন্য কোন গাড়িতে বাসায় পৌছে দেওয়া যাবে না। তাই আমার চাচাত ভাইকে আসতে বললাম চাচাদের বাসায় যখন ছিলাম আমার চাচাত ভাইয়ের সাথে অনেক ফ্রি ছিলাম। আমার চাচাত ভাই আসলো তারপর গাড়িতে উঠে ওরা বাসায় যাওয়ার রাস্তা বলে দিচ্ছিল আমার চাচাত সেই ভাবে গিয়ে ওদের কে বাসায় পৌছে দিয়ে আমার চাচাত ভাই কে বিদায় দিয়ে আমি আর আসিফ আমাদের ভারা বাসায় ভিরে আসলাম।
তারপর ফ্রেশ হয়ে হাতে বেন্ডেজ করলাম। কিছুক্ষণ পরে যোহরের আযান হলো ভাত রান্না উঠিয়ে দিয়ে মসদিদে গেলাম নামাজ পরতে। এসি দেখি ভাই হয়ে গেছে তারপর ভাত খেয়ে ঘুম দিলাম
দেখতে দেখতে সন্ধা হয়ে গেল।
আর ঐদিকে নিলা ভাবছে, আমরা কত খারাপ ব্যবহার করলাম ওদের সাথে, ওরা তো আমাদের না বাঁচিয়ে চলে যেতে পারতো।
আর আমরা কিনা ওদের সাথে কত খারাপ ব্যবহার করলাম। আবির তো কোন দিক দিয়ে খারাপ না। ওর চেহারাটাও কত সুন্দর।
আগামীকাল যে করেই হোক আমরা ওদের কাছে থেকে ক্ষমা চাবো। এসব ভাবতে ভাবতে নিলা ঘুমিয়ে গেল।
পরেরদিন নিলা কলেজে গিয়ে দেখে সুমাইয়া বসে আছে, নিলা সুমাইয়ার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাস করল কিরে সুমাইয়া এখানে একা একা বসে কি ভাবতিছিস।
আমরা ওদের সাথে কত খারাপ ব্যবহার করলাম আর ওরাই আমাদের বাঁচাল। সত্যি আমরা ওদের সাথে অনেক অন্যায় করেছি।
হুম রে ঠিক বলছিস। আজকে যে করেই হোক ওদের কাছে থেকে ক্ষামা চেয়ে নিব।
হুম ঠিক বলছিস আমি ও চাব।
তারপর আমি আর আসিফ প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী নাস্তা খেয়ে রেডি হয়ে কলেজে গেলাম। গেট দিয়ে ঢোকার সময় নিলা ও সুমাইয়া আমাদের আসনে এসে দাড়াল। তারপর আমি বললাম-
আজকেও কি আমাদের অপমান করবেন?
তারপর নিলা বলল আমাদেরকে মাফ করে দেও আবির।
নিলা ও বলল প্লিজ আসিফ আমাদেরকে মাফ করে দেও।
আমি ওদের কথা শুনে অবাক আমি কখনও ভাবিনি ওরা আমাদের কাছে ক্ষমা চাবে। আল্লাহ তায়ালা সঠিক বুঝ দিয়েছে।
তারপর আমি বললাম আপনার ক্ষমা চাচ্ছেন কেন। আপনারা তো কিছুই করেন নি।
নিলাঃ- না আমরা তোমাদের সাথে অনেক অন্যায় করেছি। প্রতিদিন তোমাদেরকে সবার সামনে অপমান করেছি। প্লিজ আমাদেরকে ক্ষমা করে দেও।
সুমাইয়াঃ- প্লিজ আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও।
আমি:- আপনাদের উপর রেগে নেই। আমি অনেক আগেই আপনাদের ক্ষমা করে দিয়েছি।
আসিফ:- হুম আমরা আপনাদের উপর রেগে নেই। তাই ক্ষমা পরার কোন প্রশ্নই আসে না।
নিলা:- তোমরা আমাদের ক্ষমা করনি। যদি ক্ষমা করতে তাহলে এই ভাবে কথা বলতে পারতে না। প্লিজ আমাদেরকে ক্ষমা করে দেও।
আমি:- আরে কি করছেন হাত ছাড়ুন। আমি তো বললাম আমরা আপনাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
নিলা:- তাহলে আপকে থেকে আমরা ফ্রেন্ডস।
সুমাইয়া:- হুম আজকে থেকে আমরা ফ্রেন্ডস।
আমি:- সরি আমার কোন মেয়ে বন্ধুর প্রয়োজন নেই। আর বিয়ের আগে কোন মেয়ের সাথে মেলামেশা করা শরিয়তে যায়েজ নেই হারাম। তাই আমরা আপনাদের সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে পারবো না।
সুমাইয়া:- কিন্তু কেন।
আমি:- কারণ তো আপনাদের বললাম ইসলামে এটা হারাম।
তারপর আমি আর আসিফ ক্লাসের দিকে যেতে লাগলাম আর ঐদেকে নিলা আমার দিকে তাকিয়ে মনে মনে ভাবছে ওরা আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করল না কেন। কলেজের সব ছেলেরাই আমাদের সাথে বন্ধুত্ব কারার জন্য পাগল হয়ে আছে। আর আমরা নিজেরা বললাম তাও ওরা রাজি হলো না। না যে করেই হোক ওদের সাথে আমরা বন্ধুত্ব করেই ছাড়ব। তারপর নিলা সুমাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখে সুমাইয়া আসিফের দিকে তাকিয়ে আছে।
সুমাইয়ার তাকিয়ে থাকা দেখে নিলা জিজ্ঞাস করল
নিলা:- সুমাইয়া, এই সুমাইয়া।
সুমাইয়া:- হুম, কি হয়েছে।
নিলা:- তুই কি ভাবছিস রে।
সুমাইয়া:- কই কিছু না তো।
নিলা:- মিথ্যা বলবি না তুই কিছু একটা ভাবতিছিস।
সুমাইয়া:- আবির ভাইয়ার বন্ধু আসিফ কত কিউট। চেহারাটা কত সুন্দর। একেবারে নূরের মত। আর শরীর থেকে কত সুন্দর আতরের ঘ্রাণ আসছে।
[যুবক ভায়েরা আতর সুগন্ধী ব্যবহার করুন, সুগন্ধী ব্যবহার করা সমস্ত নবীর সুন্নাত। বাকারাত রোজ আতরটা একবার ব্যাবহার করে দেখতে পারেন, ঘ্রাণটা খুব মিষ্টি, আমার ফেবারিট আতর এইটা।]
{আর অনেক মেয়ে এখন সুগন্ধী ব্যবহার করে হাহিরে যায়, প্রিয় দ্বীনি বনেরা ঐ সুগন্ধীর ঘ্রাণ অনেক যুবক শোকে এতে আপনাদের জিনার গুণা হয়।}
যাক গল্পে ভিরি।
নিলা:- হুম বুঝতে পারছি। সুমাইয়া মামনী আসিফের প্রেমে পরে গেছে।
সুমাইয়া:- ধুর কি বলিস এইসব।
নিলা:- হুম, বুঝি বুঝি আমি সব বুঝি।
সুমাইয়া:- হুম তুই তো সব কিছুই বুঝিস। তুই মনে হয় আবির ভাইয়ার প্রেমে পরিস নি। তা না হলে এতক্ষণ ধরে আবির ভাইয়ার দিকে এইভাবে ঢ্যাব ঢ্যাব তরে তাকিয়ে ছিলি কেন?
নিলা:- ধুর কি যে বলিস তুই।
সুমাইয়া:- থাক আর কিছু বলতে হবে না। এখন ক্লাসে চল।
নিলা:- হুম চল।
তারপর নিলা আর সুমাইয়া ক্লাসের যেতে লাগল। নিলা ভাবছে সত্যিই তো আবির কত সুন্দর। কি সুন্দর চেহারা। মুখটাও কি সুন্দর। যেকোনো মেয়ে প্রথম দেখাতেই প্রেমে পরে যাবে। এই সব ভাবতে ভাবতে নিলা ক্লাসের আসছে।
আর এদিকে আমি আর আসিফ ক্লাসে গিয়ে একটা বেঞ্চ বসলাম। তারপর নিলা ও সুমাইয়া ক্লাসে আসল। ওরা আসার পর থেকে শুধু আমাদের দুইজনের দিকে তাকিয়ে আছে। তারপর দেখি রিদয় আর উজ্জল আমাদের দিকে আসছে। আপনাদের বলতেই ভুলে গেছি। রিদয় আর উজ্জল আমাদের নতুন বন্ধু।
ওরা আমাদের কাসে এসে বলল-
রিদয়:- আসসালামু আলাইকুম।
আমি:- ওলাইকুম আসসালাম। কিরে কেমন আছিস।
রিদয়- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তোরা কেমন আছিস।
আমি:- আলহামদুলিল্লাহ আমরাও ভালো আছি।
রিদয়:- কিরে আবির, আজকে তো দেখলাম নিলা আর সুমাইয়া তোদের সাথে ভালো ব্যবহার করছে। যে মেয়েরা তোদের সাথে প্রতিদিন অপমান করতো তারাই কিনা আজকে তোদের সাথে ভালো ব্যবহার করলো। আসলে কাহিনি কি রে দোস্ত?
তার পর আমি আর আসিফ ওদের কে গত কালের সব কিছু বললাম। তা শুনে রিদয় বলল-
রিদয়:- এজন্যই ওরা ওদের নিজের ভুল বুঝতে পেরো তোদের কাছে ক্ষমা চাইছে।
আমি:- হুম।
একটু পরে স্যার ক্লাসে আসলো ওরা ওদের বেঞ্চে চলে গেল। তারপর স্যার ক্লাস নেওয়া শুরু করলো। ক্লাস শেষ করে আমরা দুইজন বের হবে যাব এমন সময় নিলা ও সুমাইয়া আমাদের সামনে এসে পথ আটকে দাঁড়াল। আমি বললাম-
আমি:- কি ব্যাপার আমাদের পথ আটকিয়ে দাঁড়ালেন কেন? সরুন।
নিলা:- সরতে পারি যাদি তোমরা আমাদের সাথে বন্ধুত্ব কর।
আমি:- তখন তো বললাম আমরা আপনাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে পারবো না।
নিলা:- জানো কলেজের সব ছেলেরা আমাদের সাথে বন্ধুত্ব করার জন্য পাগল হয়ে আছে। আর আমরা নিজেরা তোমাদের কাছে আসলাম বন্ধুত্ব করতে তাও তোমরা বন্ধুত্ব করতে চাচ্ছো না।
আমি: সবার মত আমরা পাগল না। সরেন আমাদের কে যেতে দেন কাজ আছে।
এই বলে আমি আর আসিফ পাশ কেটে চলে আসলাম। ঐদিকে সুমাইয়া বলছে---


#চলবে,,,,,,

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}

★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)


No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.