ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ০৯)

 



#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৯

🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
মুন্নি:- আর নিলাকে এই সেল্ফিগুলো পাঠিয়ে দিয়েছে। দেখ এখন তোকে নিলা সামনে পেলে কি করে। দেখ এই এক বছর আমি তোর সাথে কি করি।
তারপর গোছল দিয়ে রেডি হয়ে কলেজ গেলাম। ক্লাস করতিছি এমন সময় ফোন আসলো আমি ক্লাসের বাহিরে এসে দেখি মুন্নি কল দিয়েছে।
আমি:- এই অসময়ে কল দিয়েছেন কেন।
মুন্নি:- বাসায় আয় এখনই ।
আমি:- কলেজ শেষ করে আসতাছি।
মুন্নি:- ভাইয়া এসে দেখুক আমরা দুই জনে আলাদা রুমে থাকি। তখন সব শেষ হয়ে যাবে।
আমি:- কি বলতে চাচ্ছেন আপনি।
মুন্নি:- ভাইয়া আসতিছে আমাদের এখানে, ভাইয়া ফোন করে বলেছে।
আমি তারা তারি কলেজ থেকে এসে মাত্র ঘরে ঢুকবো তখনই শুনলাম রুমের ভেতরে ভাইয়ার কন্ঠ আমার আর বুঝতে বাকি রইলো আম্মুরা চলে এসেছে। আমি বাসায় প্রবেশ করে দেখি ভাইয়া টিভি দেখছে। তার পর ফ্রেশ হয়ে এসে ভাইয়ার সাথে কথা বলছি এমন সময় মুন্নি এস হাজির
মুন্নি:- আপনি কি কফি খাবেন।
আমি:- কফি খাবেনা মানে কফি ভাইয়ার অনেক পছন্দ।
মুন্নি:- আমি ভাইয়াকে না আপনাকে বলছি।
আমি:- হুম একটু বনিয়ে নিয়ে আসেন।
I am তো অবাক। মুন্নি আমাকে সব সময় তুই তুই করে আলে আর সেই মুন্নি আমাকে আপনি করে বলছে।
রাতে খাবার খাওয়ার পর আমি আর ভাইয়া বাইরে ঘুরতে গেলাম। ঘুরে এসে দেখি অনেক রাত হয়ে গেছে বাট মুন্নি এখনও ঘুমায়নি।
ভাইয়া:- মুন্নি তোমরা গিয়ে ঘুমিয়ে পড়।
মুন্নি:- আমাকে বলল আপনি না হয় বাইয়ার সাথে ঘুমিয়ে যান!
ভাইয়া:- আমি একা থাকতে পাবো ঘুমিয়ে যাও। শুভ রাত্রি।
তারপর আমি আর মুন্নি রুমে চলে আসলাম আর ভাইয়া গেল অন্য রুমে।
মুন্নি:- যা গিয়ে সোফায় শুয়ে পড়।
তারপর আমি বালিশ নিয়ে সোফায় শুয়ে পরলাম। এই ভাবে কয়েকটা দিন কেটে গেলো। তারপর ভাইয়া বাড়িতে বলে গেল।
পরের দিন আমি কলেজ ক্যাম্পাসে বসে আসি এময় সময় দেখি মুন্নি আমাদের দিকে আসতিছে। মুন্নিকে দেখে আমার মাথায় একবা বুদ্ধ আসলো আমি সঙ্গে সঙ্গে মামুন ভাইকে শিখিয়ে দিলাম কি কি করতে হবে। তারপর আমি মুন্নিকে না দেখার ভান করে অন্য দিকে তাকিয়ে রইলাম। মুন্নি আমাদের কাছে আসতেই মামুন ভাই বলল-
মামুন ভাই:- আচ্ছা আমিনুর তুই মুন্নির এত অত্যাচার সহ্য করতিছিস কেনো?
আমি:- সত্যি বলব নাকি মিথ্যা বলব?
মামুন ভাই:- সত্যিটাই বল?
আমি:- কারণ আমি মুন্নি আপুকে ভালোবেসে ফেলছি তাই।
মামুন ভাই:- তোর কি মাথা ঠিক আছ। তুই কি বলছিস এই সব। মুন্নিকে তুই ভালোবেসে ফেলছিস।
আমি:- মুন্নি আপু একটু রাগী হলে। ওনি অনেক ভালো।
মামুন ভাই:- ভালো তো তা মুন্নিকে কখনও বলেছিস তুই মুন্নিকে ভালোবাসিস।
আমি:- আপনার কি মাথা খারাপ মুন্নি আপুকে বললে উনি আমাকে জানে মেরে ফেলবে।
আমি মামুন ভাইকে চোখ টিপি মেরে জানতে চাইলাম মুন্নি আছে নাকি গেছে তার পর মামুন ভাইও চোখ দিপি মারলো তার মানে বুঝলাম মুন্নি এখনও আমার পিছনে আছে।
মামুন ভাই:- তো এখন কি করবি?
আমি:- আমার আর কিছু করার নেই। যদি উনি কখনও ভালোবাসে তাহলে ভালো না হলে আর কিছু করার নেই।
মামুন ভাই:- মুন্নি তো তোর বউ । মুন্নির কাছে থেকে স্বামীর অধিকার নিলেই তো হয়।
আমি:- আসলে ভাই জোর করে শরীর পাওয়া যায় বাট মন পাওয়া যায়না। তাই আমি এমন করবো না কখনও।
মামুন ভাই:- একবার তো মুন্নিকে বলতে পারিস মুন্নি তো কে লাভ করে কি না?
আমি:- না ভাই আমি এমনটা কখনও বলবো না মুন্নি আপুকে।
মামুন ভাই:- কি আর করবি। আল্লাহ যদি মুন্নির সাথে তোর সাথেই সারা জীবন থাকা রেখে থাকে তাহলে একদিন মুন্নি ঠিকই ওর ভুল বুঝতে পারবে?
আমি:- ঠিক বলেছেন ভাইয়া।
মামুন ভাই:- মুন্নি তো চলে যাচ্ছে।
তারপর ঐ দিনের মত ক্লাস শেষ করে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ড্রেস পরিবর্তন করে পেছনে ঘুরেই দেখি মুন্নি দুই হাতে দুইটা কফি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
আমি:- কি ব্যাপার সূর্য আজ কোন দিকে উঠেছে।
মুন্নি:- আমার ইচ্ছা হলো তাই নিয়ে আসলাম।
তারপর কাফিটা আমার হাতে দিয় উনি চলে গেল। এক ভাবে দিন কাঁটতে লাগলো, মুন্নির HSC পরিক্ষারও আর কিছু দিন বাকি। তাই ও কলেজে যাওয়া বাদ দিয়ে বাসায় পড়তে লাগলো। কলেজেও ওদের আর ক্লাস হয় না। এখন একটা মজার ব্যাপার হলো মুন্নি আর আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে না।
তার কিছু দিন পর জান্নাত আমাদের কলেজে ভর্তি হলো। মামুন ভাই আমাকে ফোন দিয়ে বলল কলেজে নাকি জান্নাত এসছে। তাই আমি তারা তারি কলেজে চলে গলাম।
আমি:- কোথায় জান্নাত।
মামুন ভাই:- কলেজে একটা বড় কাছ আছে ঐ দিকে গেছে।
তারপর আমি ঐ দিকে গেলাম গিয়ে দেখি জান্নাত একটা ছেলের হাত ধরে বসে আছে। আমি জান্নাতের সামনে যেতেই জান্নাত দাড়িয়ে গেল।
জান্নাত:- আরে আমিনুর কেমন আছে?
আমি:- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। তুমি কেমন আছে?
জান্নাত:- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। পরিচয় হও ওর নাম আবরার। আমার স্বামী।
আমি:- ওও ভালো। তুমি কোনো টেনশন করো না কলেজে সমস্যা হলে আমায় ফোন দিয়ে জানিও।
জান্নাত:- ওকে । তা মুন্নি আপু কেমন আছে।
আমি:- আলহামদুলিল্লাহ ও ভালো আছে।
তারপর আমি বাসায় রুমের দরজা বন্ধ করে কান্না করতে লাগলাম। মুন্নি অনেক বার আমায় ডেকেছে বাট আমি সারা দেই নি। তার পর আর ডাকেনি, বিকেলে ঘুম থেকে উঠে ফেশ হয়ে বাহিরে গেলাম। রাতে খাবার নিয়ে বাসায় আসলাম। তারপর দুইজনে খাওয়া দাওয়া করে আমার রুমে ঘুমাতে এসে দেখলাম আমার রুমে তালা ঝুলছে।
আমি:- আমার রুমে তালা ঝুলছে কেন।
মুন্নি:- কোনো কথা না বলে আমার রুমে গিয়ে সোফায় ঘুমা।
আমি:- সোফায় থাকতে পারবো না?
মুন্নি:- তাহলে খাটে গিয়ে শুয়ে পড়।
কিছুক্ষণ পরে মুন্নি এসে আমর পাশে শুয়ে পরল আমি মোবাইল টিপতাছি। তারপর আমি ফোন রেখে শুয়ে আছি হঠাৎ সেদিনের লিপস্টিকের কথা মনে পরতেই আমি লাফ দিয়ে শোয়া থেকে বসলাম।
মুন্নি:- কি ব্যাপার এই ভাবে উঠলি কেন?
আমি:- আমি সোফায় ঘুমাবো।
মুন্নি:- কেন এখানে ঘুমালে কি সমস্যা তোর?
আমি:- আপনার সাথে ঘুমালে যদি সেই দিনের মতো করেন। তার চেয়ে ভালো আমি সোফায় গিয়ে ঘুমাবো।
তারপর আমি বালিশ নিয়ে সোফায় গিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম। এই ভাবে দেখতে দেখতে মুন্নির পরিক্ষা শেষ হয়ে গেল। এত দিয়ে আমি মুন্নিকে অনেক ভালোবেসে ফেলেছি। তাই ভাইলাম আজ মুন্নিকে প্রপোজ করবো। একটা গোলাপ ফুল বাজার থেকে কিনে নিয়ে বাসায় গেলাম। বাসায় গিয়ে সরাসরি মুন্নির সামনে হাটু গেরে বসে বললাম-
আমি:- আমি আপনাকে ভালোবেসে ফেলছি প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না। আসলে কলেজে প্রথম যেদিন আপনাকে দেখি সেদিনিই আপনাকে ভালোবেসে ফেলছি। প্লিজ আমাকে ফিরিয়ে দিবেন না।
মুন্নি:- বলল.............


#চলবে,,,,,,

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}

★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.