কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ০৬)
#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৬















সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরে দেখি মুন্নি মাত্র ওয়াশরুম থেকে বের হলে তার পরে আমি ফ্রেশ হয়ে এসে দুই জনে নাস্তা করতে নিচে গেলাম নাস্তা করে রুমে এসে মোবাইল টিপতাছি হঠাৎ কোথা থেকে যেন মুন্ন এসে আমার বাসে বসল আর বলল---
মুন্নি:- কিরে কুমিল্লায় যাবি নাকি এখানে সবার সামনে মার খাবি?
আমি:- যখন সময় হবে তখন চলে যাব।
মুন্নি:- রাগ করে আছিস নাকি আমার উপরে?
আমি:- আপনার উপরে রাগ করবো কেন? আপনি তো আমার ক্রাশ। [আস্তে করে বললাম!]
মুন্নি:- কি বললি আমি তোর ক্রাশ। তাহলে আমি তোর ক্রাশ।
আমি:- এত আস্তে কথাটা বললাম ও শুনলো কেমনে। আপনি যেহেতু আমার ক্রাশ আবার বউও তাই আসেন একটু আদর করি।
মুন্নি:- কি বলতে চাচ্ছিস তুই।
তারপর মুন্নিকে ধাক্কা দিয়ে বিছানায় ভেলে দিয়ে ওর হাত দুটো চেপে ধরলাম বিছানার সাথে।
মুন্নি:- ঐ তুই কি করতে চাচ্ছিস।
আমি:- আমার বউ কে এখন আদর করব।
মুন্নি:- আমায় ছেড়ে দে বলছি না হলে তোর এমন অবস্থা করবো যে নিজেকে আর নিচতে পারবি না।
তারপর মুন্নির উড়না দিয়ে ওর হাত ২টা বেধে রুমের দরজা লাগালাম। দরজা লাগানো দেখে মুন্নি ভয়ে চুপশে গেছে। তারপর মুন্নির পেট থেকে শাড়ি সরালাম। কত সুন্দর তোমার পেট এই কথা বলে মুন্নির পেটে সুরসুরি দিলাম।
মুন্নি:- তুই কোন সাহসে আমার পেটে হাত দিয়েছিস?
আমি:- তাহলে হাত না দিয়ে কিস করি?
মুন্নি:- খবর দার আমায় কিস করবি না।
তারপর মুন্নির কোনো কথা না শুনে ওর পেটে কিস করলাম। মুন্নির দিকে তাকিয়ে দেখি ভয়ে চোখ বন্ধ করে আছে।
আমি:- আরও আদর করব।
মুন্নি:- আমার শুধু হাত খুলে দে তারপর দেখ আমি তোর কি অবস্থা করি?
আমি:- ওয়েট করেন দেখেন আমি আরও কি কি করি আপনার সাথে আজকের পর থেকে আমি না আপনি কারো সামনে মুখ দেখাতে পারবেন না।
হঠাৎ আম্মু মুন্নি কে ডাক দিল। ধুর ভালো লাগেনা বউ এর সাথে একটু রোমান্স করবো তাও করতে দিবে না সারাক্ষণ শুধু ডাকা ডাকি।
তারপর মুন্নির হাত দুটো খুলে দিলাম । হাত খুলে দেওয়ার সাথে সাথেই মুন্নি দৌর দিয়ে পালিয়ে গেল।
দেখতে দেখতে অনেক কয়টা দিন কেটে গেলো। তারপর মুন্নিকে নিয়ে কুমিল্লায় চলে আসলাম। একটা নতুন বাসা ভাড়া নিলাম। পরের দিন কলেজে গিয়ে মামুন ভাই দের সাথে বসে আড্ডা দিচ্ছি এমন সময় মুন্নির এক বান্ধবি এসে বলল ভাইয়া মুন্নি আপনাকে ডাকতিছে ।
আমি গিয়ে দেখি মুন্নি হাতে একটা কাগজ নিয়ে বসে আসে। আমি গিয়ে বললাম---
আমি:- কি ব্যাপার আমাকে ডাকলেন কেন?
মুন্নি:- এই পেপারে তোর একটা সাক্ষর লাগবে?
আমি:- কিসের পেপার এটা।
মুন্নি:- ডিভোর্স পেপার। এই খানে তোর সাক্ষর লাগবে। সাক্ষর করার ৬ মাস পরে আমাদের ডিভোর্স হয়ে যাবে।
আমি:- কি বলছেন আপনি এই সব।
মুন্নি:- তোর কি মনে হয় আমি তোর সাথে সংসার সংসার কারার জন্য বিয়ে করেছি। আমি তোকে জ্বালানোর জন্য বিয়ে করেছিলাম। সো এখন সাক্ষর কর?
আমি:- আপু ৬ মাস বেশি হয়ে যাচ্ছে আরও কম হলে ভালো হতো আপু।
মুন্নি:- মুখ সামলিয়ে কথা বলবি কে তোর আপু।
আমি:- ও সরি।
মুন্নি:- যত দিন আমাদের মধ্যে ডিভোর্স না হবে তত দিন আপু ডাকবি না।
আমি:- আমার একটা চেনা উকিল আছে আপনি যদি বলেন তা হলে ওনাকে বললে তিন মাসেই ডিভোর্স করিয়ে দিবে।
মুন্নি:- ডিভোর্সের জন্য এত তারা কিসের তোর? দ্বারা তোকে ৩ মাসে ডিভোর্স করাচ্ছি।
আমি ওখান থেকে চলে আসতেছি। হঠাৎ মুন্নি পিছন থেকে ডাক দিয়ে বলল---
মুন্নি:- কলেজের কেউ যেন না যানে আমি তোর বউ।
তারপরে ক্লাস করে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত হয়ে গেছে বলতেই পারিনা। তারপর আমার জন্য খাবার নিয়ে বাসায় গেলাম।
বাসায় এসে দেখি মুন্নি দরজা খোলা রেখে কাথা মুরি দেয় শুয়ে আছে। আমি বিছানায় বসার পর অনুভব করলাম বিছানা কাপনিতে মুন্নির দিকে তাকিয়ে দেখি মুন্নি কাপতিছে । মুন্নির গায়ে হাত দিয়ে দেখি প্রচুর জর ওর গায়ে। তারপর বাটিতে করে পানি আর একটা কাপড় থেকে একটু কাপার ছিরে নিয়ে এসে মুন্নির মাথায় পটি দিয়ে দিতে লাগলাম।
তারপর ডাক্তারের কাছে ফোন দিলাম। ডাক্তার এসে মুন্নিকে দেখে ঔষধ দিয়ে গেলেন। আমি মুন্নির কপালে পট্টি দিতে লাগলাম। ঘুমন্ত অবস্থা যে সুন্দর লাগছিল এতদম পরীর মত। আমি মুন্নির উপর আবার ধপাস করে ক্রাশ খেলাম। এই সব ভাবতে ভাবতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতেই পারিনি।
সকালে ঘুম থেকে উঠে দেকি মুন্নি আমার দিকে অগ্নি চোখে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ ঠাসসসস করে মুন্নি আমার গালে চর বসিয়ে গিলো।
মুন্নি:- তোর তো সাহস কম না তুই আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাস।
আমি:- বিশ্বাস করেন আমি ইচ্ছা করে জড়িয়ে ধরিনি।
মুন্নি:- একটা কথাও বলবি না একদম চুপ। আামায় একা পেয়ে সুযোগ খুজছিলি তুই তাই না। আজ থেকে তুই অন্য রুমে থাকবি।
আমি:- মুন্নিকে কিছু বললাম না কারণ কখন যে মুন্নিকে ভালোবেসে ভেলছি নিজেও জানিনা।
তারপর রুম থেকে বেড়িয়ে অনলাইনে খাবার অর্ডার করে আমি ফ্রেশ হয়ে এসে খাবার খেয়ে মুন্নির জন্য খাবার রেখে কলেজে চলে গেলাম।
কলেজে ক্যাম্পাসে বসে আসি হঠাৎ দেখি ফোন বেজে উঠল, দেখি আম্মু ফোন দেয়েছে আমি ফোন রিসিভ করার সাথেই আম্মু বলে উঠল--
আম্মু:- বউমার নাকি শরীর ভারাপ। আর তুই বউমাকে বাসায় একা রেখে কলেজে এসেছি। বউয়ের চেয়ে কি তোর কলেজ বড় হলো।
আমি:- আম্মু...
আম্মু:- একদম চুপ বউমার শরীর ভালো হওয়ার আগ পর্যন্ত তোর কলেজ যাওয়া বন্ধ বলে দিলাম। আর তুই তারা তারি বাসায় যা আমি বউ মার সাথে কথা বলব--
আমি:- ওকে।
তারপর ফোন কেটে দিয়ে বাসায় এসে দেখি মুন্নি শুয়ে শুয়ে টিভি দেখতিছে।
আমি:- আম্মুকে আপনি ফোন দেয়ে কি বলেছেন?
মুন্নি:- যা শুনেছিস তাই বলেছি। আমাস সেবা করার জন্য একজনকে নার্স লাগতো তাই ভাবলাম তোকেই রেখে দেই।
আমি কোনো কথা না বলে আমার যাবতিয় সব জিনিস নিয়ে গিয়ে পাশের রুমে রাখলাম কারণ আমাকে এখানেই থাকতে হবে তাই।
মুন্নি:- আমিনুর একটু শুনে যা তো?
আমি:- কেনো?
মুন্নি:- কথা না বলে তারাতারি আয় কাজ আছে।
আমি:- জ্বি বলেন। (মুন্নির কাছে এসে)
মুন্নি:- আমার পা গুলো খুব ব্যাথা করতিছে একটু টিপে দিতো প্লিজ?
আমি:- আপনার পা টিপে দিতে পারবো না।
মুন্নি:- ভালোই ভালোই দিবি নাকি আম্মুকে ফোন দিয়ে মিথ্যা কথা বলব তোকে কলেজ থেকে আসতে বলায় তুই বাসায় এসে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছিস।
তারপর আমি কোনো কথা না বলে মুন্নির পা টিপে দিতে শুরু করলাম। এখন মুন্নি সুস্থ তাই পরের দিন আমি কলেজে গেয়ে একা একা ক্যাম্পাসে বসে আছি। হঠাৎ কোথা থেকে মুন্নি এসে আমায় বলল---
মুন্নি:- আমার সাথে আয় তো?
আমি:- কেন?
মুন্নি:- কোন কথা না বলে আমার সাথে আয়।
তারপর আমি মুন্নির সাথে গেলাম । মুন্নি আমাকে নিয়ে কলেজ কেন্টিনে নিয়ে গেল হঠাৎ মুন্নি বলে উঠল---
মুন্নি:- এটেনশোন প্লিজ!
সবাই মুন্নির দিকে ফিরলো।
মু্ন্নি:- আমি তোমাদের একটা গুরুত্বপূর্ণ কথা বলতে চাই।
সবাই:- কি?
মুন্নি:- আসলে আমিনুর আর আমি স্বামী-স্ত্রী। কিছু দিন আগে আমাদের বিয়েছে। সবার যেন এই কথা মনে থাকে যে আমিনুরের স্ত্রী আছে।
এই কথা বলে মুন্নি ওখান থেকে চলে গেলো সবাই দেখি আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আমি। আমি মামুন ভাইয়ের কাছে গেলাম।
মামুন ভাই:- কিরে মুন্নি এটা কি বলল। আমার কিছু বুঝে আসতিছে না তুই মুন্নি কে কেন বিয়ে করতে গেলি?
আমি:- আম্মু আর ভাইয়ার কথায়।
মামুন ভাই:- বর্তমানে কি সেই জামানা আছে যে তুই তোর পরিবারের কাথায় বিয়ে বরলি?
আমি:- তুই যেরকম ভাবতাছিস সেই রকম কিছু না আমি শুধু আম্মুর মুখের দিকে তাকিয়ে বিয়ে করেছি।
মামুন ভাই:- আমি তোর কথার কিছু বুঝতাছি না আমাকে সব কিছু খুলে বল তো।
তারপর আমি মামুন ভাইকে সব কিছু খুলে বললাম।
মামুন ভাই:- এখন কি করবি ও যেহেতু তোর সাথে এক বছর থাকতে চেয়েছে ও তো তাহলে এই এক বছরে তোর জীবনটা একদম নষ্ট করে দিবে?
[একটা কাথা বলতে আপনাদের ভুলে গেছি আসলে মুন্নি আমাদের বিয়ের এক বছরের জন্য কন্টাক পেপার বানাতে দিয়েছে।]
আমি:- মুন্নিতো কালেজে আর কয়েক মাসে থাকেবে তারপর ওর এইচ এস সি পারিক্ষা সো এই কয়েকটি আমাকে সাবধানে থাকতে হবে।
মামুন ভাই:- ঠিক আছে এই কয়েক দিন সাবধানে আছিস।
আমি:- আচ্ছ।
তারপর মামুন ভাইয়ের থেকে বিদায় দিনে বাসায় ফ্রেশ হওয়ার পর শরীরটা খুব ক্লান্ত লাগছিল তাই দিলাম একটা ঘুম। ঘুম ভাঙ্গার পর দেখি সন্ধা হয়ে গেছে । হঠাৎ মুন্নি বলে উঠল---
মুন্নি:- দুপুরে আমাকে না বলে কলেজ থেকে চলে আসছিস কেন?
#চলবে,,,,,,
{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments