ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ০৪)



#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৪

🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
আমার কন্ঠ শুনে মুন্নি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো সত্যি বলতে আমি ওর চোখ দেখে সত্যি ভয় পেয়েছি বাট বুঝতে দিলাম না।
মুন্নি:- আমার মন ভালো নাকি খারাপ তোকে কি বলতে হবে?
আমি:- না তুমি মন খারাপ পরে বসে আছো তাই জিজ্ঞাস করলাম
মুন্নি:- অনেক আনন্দ হচ্ছে তোর তাই না। তোকে আমি দেখে নিবো?
আমি:- আপু একবার বেজ্জতি হয়েও কি তোমার সরম হয়নি। আবার বেজ্জতি হতে চাও নাকি?
মুন্নি:- তুই দেখ আমি তোর কি অবস্থা করি!
আমি:- আমার পায়ে কুড়াল মারতে গিয়ে যেন নিজের পায়ে কুড়াল না লাগে।
মুন্নি:- সেটা সময়ই বলে দিবে!
আমি:- ঠিক আছে। তো আপু কলেজে তো ক্ষমতা ছেলেরা পেতে যাচ্ছে চুপ করে বসে থাকবে নাকি কিছু করবে?
মুন্নি:- দেখবো তোদের হাতে কি করে ক্ষমতা যায়।
আমি:- ওকে আপু তুমি দেখতে থাকো।
এই কথা বলে চলে আসলাম আর ঐ দিকে মুন্নি শুধু রাগে ফুলতিছে। দেখতে দেখতে নির্বাচন হয়ে গেল। নির্বাচনের ফলাফল শুনে তো আমি অবাক হয়ে গেলাম। মুন্নি নাকি নির্বাচনে জিতেছে। আমার তো রাগে মাথা মাথা ফেটে যাচ্ছে কারণ সব দিক দিয়েই আমরা এগিয়ে ছিলাম। সবাই মিলে প্রিন্সিপাল সারের কাছে গেলাম স্যার বলল মুন্নিকে নাকি ওর বাবা পাশ করিয়েছে। আমার থেকে তো বেশি রেগে আছে মামুন ভাই। মামুন ভাই তো রেগে ফায়ার!
স্যার আমাদের পরিক্ষার কথা যত দিন পর্যন্ত নির্বাচনের সঠিক ফলাফল দেওয়া হবে না ততদিন সবাই কলেজে আসবে না বলে দিলাম।
এই কথা বলার পর স্যার আমাদের কে তার রুমে নিয়ে গেলেন গিয়ে দেখি ওখানে আগে থেকে মুন্নি আর ওর কিছু বান্ধবী বসে আছে। ওদের দেখে তো আমার আরও রাগ লাগতিছে। মনে হয় ঘুশি গিয়ে নাক মুখ সমান করে দেই।
প্রিন্সিপাল স্যার:- দেখো বাবারা এবারের মত বিষয়টা মেনে নাও। সামনে বার সুষ্ঠ নির্বাচন হবে!
আমি:- স্যার আমরা বাইরে যেটা বলেছি সেটাই করব আমরা কলেজে আসবো না এবং কাউকে কলেজের চার সিমানের কাছেও আসতে দিবো না।
প্রিন্সিপাল স্যার:- বুঝার চেষ্টা করো বাবারা।
আমি:- না স্যার আমরা আমাদের কথার উপর থেকে একচুল পরিমান সরবো না। আমার আমাদের কথার উপর অটল আছি।
এই কথা বলে আমরা কলেজ থেকে চলে আসলাম ৭ সপ্তাহ আমরা কলেজে যাইনি এবং কাউকে যেতেও দেইনি। ৮ম দিনে হঠাৎ স্যার ফোন দিয়ে বলল নিদ্ধান্ত হয়েছে কলেজের লিডার ছেলেদের ভিতর থেকে বানানো হবে, বলে স্যার ফোন কেটে দিলিন। পরের দিনে আমরা সবাই কলেজে গেলাম দেখি মুন্নি রাগে লাল হয়ে আছে মনে হয় মুন্নির মুখে আগুন জ্বলছে। আমি ওর কাছে গিয়ে বললাম---
আমি:- আমি কি বলেছিলাম এবার কলেজ লিডার হবে ছেলেদের একজন। কোথায় গেল আপনার এবং আপনার বাবার ক্ষমতা।
মুন্নি কোন উত্তর না দিয়ে কেনো জানি আমার কথা শুনে হাসতিছে।
মুন্নি:- এবার সারাক্ষণ তোর গলায় ঝুলিয়ে থাকবো।
আমি:- আপনার কখনও লজ্জা হবে না।
মুন্নি:- তুই আমার মান সম্মান শেষ করে দিয়েছিস যার সাহস এখনও কেউ করে নি। এবার দেখ আমি তোর সাথে কি করি। কখনও আমাকে তোর চোঁখের সামনে থেকে সরাতে পারবি না। কথাটা মনে রাখিস।
এই কথা বলে মুন্নি চলে গেল। আমার তো খুশিতে মনের ভিতরে উরু উরু করতিছে। কলেজ আজ খুব আনন্দে কাঁটলো আজ। কলেজ শেষ করে বাসায় আসলাম। হাত মুখ ধুয়ে বিশ্রাম নিচ্ছি হঠাৎ দেখি বাড়ি থেকে ফোন দিয়েছে। ফোনটা রিসিভ করে বললাম---
আমি:- আসসালামু আলাইকুম আম্মু।
আম্মু:- ওলাইকুম আসসালাম।
আমি:- তুমি কেমন আছো?
আম্মু:- আলহামদুলিল্লাহ ভালো। একটা খুশির খবর আছে?
আমি:- কেন আম্মু ভাইয়ার কি বিয়ে ঠিক হয়েছে।
আম্মু:- হুম তুই ঠিক ধরেছিস।
আমি:- আম্মু মেয়েটা কে?
আম্মু:- আরে যে মেয়েকে তোর ভাই পছন্দ কেরতো তার সাথেই বিয়ে ঠিক করেছি।
আমি:- ঠিক আছে আম্মু। আমি আগামীকালকেই বাড়িতে যাবো।
আম্মু:- ঠিক আছে। সাবধানে আসিস।
আমি:- ওকে আম্মু।
পরের দিন কলেজ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে গিয়ে বয়ের সব ঝামেলা শেষ করে আমার চলে আসলাম। এই কয়দিন মুন্নি আপুকে খুব মিস করেছি কারণ ক্রাশ বলে কথা। অনেক কয়বার মুন্নি আপুর সাথে জোগাজোগ করার চেষ্টা করেছি বাট আপু করেনি।
পরের দিন কলেজে গেলাম গিয়ে দেখি মুন্নি আপু হাসতিছে আমি গিয়ে সামনে দাড়ানোর সাথে সাথেই আপুর হাসি উধাও।
মুন্নি:- কিরে শয়তান এতদিন কোথায় ছিলি ভয়ে পালাছিলি নাকি?
আমি:- না আপু বাড়িতে গিয়েছিলাম।
মুন্নি:- কেন রে?
আমি:- বড় ভাইয়ার বিয়ে হলো তাই।
মুন্নি:- তোদের পরিবারে কে কে আছে?
আমি:- আমি, আম্মু, ভাইয়া আর ভাবি।
মুন্নি:- তার মানে তোর আব্বু নেই?
আমি:- হুম।
মুন্নি:- তোর গ্রামের নামটা ভুলে গেছি তোর গ্রামের নামটা যেন কি?
আমি:- গাইবান্ধা জেলা************************************আর বাকি টুকু থাক প্রিয় পাঠকরা না জানাই ভালো।
মুন্নি:- তুই এখন যা আমার অনেক কাজ আছে?
আমি:- ওকে ঠিক আছে।
এই ভাবে চলে গেল বেশ কিছু মাস দেখতে দেখতে টেষ্ট পরিক্ষা চলে আসলো। পরিক্ষার পরে কিছু দিন কলেজ ছুটি হলো তাই বাসার রওয়া দিলাম। বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে গেলো
বাসায় এসে সবার সাথে কথা বলে আমার রুমের বাইরে থেকে আমি এক চিৎকার দিলাম আমার চিতকার শুনে সবাই হাজির
আম্মু:- কি হয়েছে রে এই ভাবে চিৎকার করলি কেন?
আমি:- আমার রুমে মনে হয় একটা মেয়েকে দেখলাম তাই।
আম্মু:- এখানে মনে হওয়ার কি আছে। তোর রুমে সত্যি একটা মেয়ে আছে।
আমি:- কিহহ্ বলো আম্মু তুমি?
আম্মু:- আমি যা বলছি তুই সত্যিই শুনছিস।
আমি:- ওকে তোমরা নিচে যাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসতিছি।
আম্মুরা সবাই নিচে গেল। আসলে আমার রুমে আর কেউ না যে মেয়েটা আছে ও হচ্ছে মুন্নি।
মুন্নি:- কিরে পিচ্চি কি খবর তোর?
আমি:- আপনি আমাদের বাসায় আসছেন কেন?
মুন্নি:- বাইরে গেলেই সেটা তোর আম্মুর কাছে থেকে শুনতে পাবি?
আমি:- আম্মুকে আপনি কি বলেছেন?
মুন্নি:- সেটা নিচে গেলেই শুনতে পারবি।
আমি:- ওকে আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি। যদি উল্টা পালটা হয় তো দেখেন আজ আপনার কি অবস্থা করি?
মুন্নি:- কি করবি তুই।
আমি:- সেটা সময় হলেই দেখতে পাবেন?
ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে দেখি মুন্নি নেই তাই নিচে গেলাম গিয়ে দেখি মুন্নি টেবিলে খেতে বসেছে। আমিও খেতে বসলাম হঠাৎ ভাইয়া বলে উঠল।
ভাইয়া:- আমিনুর একটা কথা শোন আমরা সবাই একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি?
আমি:- কি সিদ্ধান্ত।
আমার তো ভয়ে হাত পা কাপতিছে কারণ ঐ মুন্নি ভাইয়াদের কি না কি বলেছে।
ভাইয়া:- মুন্নির সাথে আমরা তোর বিয়ে ঠিক করেছি।
ভাইয়ার কথা শুনে আমার গলায় ভাত আটকে গেলো সঙ্গে সঙ্গে আমি কাশতে লাগলাম। তখন সবাই আমায় পানি খাওয়াতে ব্যাস্ত হয়ে পড়ল।
ভাইয়া:- কি হয়েছে তোর।
আমি:- কিছু হয়নি ভাইয়া। তুমি যেনো কি বলছিলে?
ভাইয়া:- মুন্নির সাথে তোর বিয়ে ঠিক হয়েছে?
আমি:- এই সব কি বলছো ভাইয়া উনি আমার ১ বছরের সিনিয়র।
ভাইয়া:- এখন চুপচাপ খেয়ে ছাদে আয় তোর সাথে কথা আছে।
আমি খেয়ে দেয়ে রুমে এসে ভাবতে লাগলাম মুন্নি কেন আমায় বিয়ে করতে চাচ্ছে। ও কি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমায় বিয়ে করতিছে। হঠাৎ মুন্নি আমার রুমে আসল।
মুন্নি:- কিরে পিচ্চি কেমন অবাক করে দিলাম তোকে? এটাতো কিছুই না সামনে আরও অনেক কিছু দেখতে পারবি।
আমি কিছু বলার আগেই ভাইয়া ছাদ থেকে ফোন দিয়ে ছাদে যেতে বলল।
আমি:- আপনাকে আমি দেখে নিবো।
এই কথা বলে আমি ছাদে গেলাম।
আমি:- আমার চেয়ে কত বড় একটা মেয়ের সাথে তোমরা আমার বিয়ে দিতে চাচ্ছ তোমাদের কি মাথা খারাপ হয়ে গেছে ভাইয়া?
ভাইয়া:- তোর তো মাত্র ১ বছরের বড় এতে কোনো সমস্যা হবে না বুঝতে পারছিস।
আমি:- তুমি জানো না ভাইয়া মুন্নি আমার উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য আমাকে বিয়ে করতে চাচ্ছে।
ভাইয়া:- মুন্নি আমাদেরকে সব কিছু বলেছে।
আমি:- এত কিছু জানার পরেও তোমরা ওকে এই বাড়ির বউ হিসাবে মেনে নিচ্ছ।
ভাইয়া:- জানিসি তো আম্মুর মুখের উপর কথা বলা যাবে না। আম্মুর পছন্দ হয়েছে এতে আমাদের আর কিছু করার নেই।
আমি:- ভাইয়া তোমরা বোঝার চেষ্টা কর।
ভাইয়া:- আমরা সব বুঝি আমাদেরকে কিছু বোঝাতে হবে না আর সত্যি কথা কি মুন্নি তোকে অনেক ভালোবাসে। কিরে কি ভাবসিছ এত?
আমি:- ভাইয়া তোমরা ওর কথা বিশ্বাস করো না। ওর বাবা অনেক বড় লোক ঐ মেয়েকে আমাদের বাড়ির বউ হিসাবে মানায় না। মুন্নিকে কোনো বড়লোক বাড়ির বউ হওয়ার যোগ্য। তাই বলছি কি তোমরা মুন্নিকে বুঝিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেও এটাই ভালো হবে।
ভাইয়া:- তাহলে শোন মুন্নির বাবা নিজে এসে মুন্নিকে আম্মুর হাতে তুলে গিয়ে গেছে।
আমার আর বুঝতে বাকি রইলো না মুন্নি এবার আমার জীবনা তেজপাতা করে ছারবে।
আমি:- বিয়ে কবে?
ভাইয়া:- বিয়ে কবে ২৪ তারিখ তখা দুই দিন পরে?
আমি:-ভাইয়া তুমি একটু আম্মুকে বোঝাও প্লিজ আমি ঐ মেয়েকে বিয়ে করতে পারবো না।
ভাইয়া:- মু্ন্নি ঠিকিই বলেছিল তুই বিয়ে ভাঙ্গার অনেক চেষ্টা করবি।
আমি:- ভাইয়া তুমি যদি আজ আমার জায়গায় থাকতে তাহলে বুঝতে আম কেন বিয়ে ভাংতে চাচ্ছি।
ভাইয়া:- মুন্নি তোকে অনেক ভালোবাসে।
এই কথা বলে ভাইয়া নিচে চলে গেলো। আমিও সোজা আম্মুর দরড়ার সামনে গিয়ে নক করলাম।
আমি:- আম্মু ভেতরে আসবো?
আম্মু:- আয়।
আমি:- আম্মু তোমার সাথে কিছু কথা ছিলো?
আম্মু:- যা বলবি সোজা সুজি বলবি।
আমি:- আম্মু আমি চাচ্ছিলাম কি বিয়ে টা দুই বছর পরে করতে এই দিকে আমার HSC পরিক্ষাটাও দেওয়া শেষ হয়ে যাবে।
আম্মু:- তোকে লেখা পড়া করতে কেউ নিষেধ করেছে। তুই কুমিল্লা মুন্নি মামুনিদের বাসায়ে থেকে দুইজনে লেখা পড়া করবি। তাও তোকে এখন বিয়ে করতে হবে।
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে।
এই দিকে এই সব টেনশোনে আমার মাথা ব্যাথা করতিছে তাই ভাবিকে এক কাপ কফি দিতে বললাম। এই কথা বলে রুমে আসলাম।
হঠাৎ মুন্নি আমর রুমে কফি নিয়ে হাজির!!!


#চলবে,,,,,,

[ অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ ]

★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.