ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ০৩)

 



#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৩

🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰🥰
পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখি মুন্নি দাড়িয়ে আছে। আমি মুন্নির কাছে গিয়ে বললাম---
আমি:- কি ব্যাপার ম্যাডাম আমার ব্যাপারে কি বলল আমার আগের হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক।
মুন্নি:- তুই কিভাবে জানলি?
আমি:- আপু আমি বলেছিলাম না সিংহ সব জায়গাতেই সিংহ। আপনি সিংহের এলাকায় খবর নিয়েছেন তা কি আমি জানবো না।
মুন্নি:- তুই হয়তো জানিস না এটা শহর গ্রাম না। আর এই কলেজের সভাপতি আমার বাবা!
আমি:- ও তাই নাকি। তো আপনি কি আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন?
মুন্নি:- না, তোকে সাবধান করে দিচ্ছি। বেশি লাফালাফি করলে কলেজ থেকে বের করে দিবো?
আমি মুন্নির কথা শুনে হাসতিছি?
মুন্নি:- কি হলো হাসতিছিস কেনো?
আমি:- আপু আমাকে কলেজ থেকে বের করে দিলে মুখ দেখাবে কি করে?
মুন্নি:- মানে?
আমি:- একটা পিচ্চি ছেলের ভয়ে আপনি এই পিচ্চিটারে কলেজ থেকে বের করে দেবেন। তখন সবাই তো আপনাকে দেখে হাসাহাসি করবে?
মুন্নি:- কি বললি তুই!
আমি:- আপু তুমি রাগলে না তোমাকে একদম পরীর মত লাগে?
এই কথা বলে আমি দিছি এক দৌর, মুন্নি আপু তখন বলল---
মুন্নি:- তোকে কলেজ থেকে বের করে দিবো না। তোকে কলেজে রেখেই শায়েস্তা করব! ওয়েট কর শুধু।
আমি:- ওকে।
আমি এক দৌরে মামুন ভাইদের কাছে এসে বসলাম।
মামুন ভাই:- কিরে এখন কি করবো?
আমি:- ওরা এখন কি প্লান করে সেটা আমাদের জানতে হবে?
মামুন ভাই:- কিভাবে?
আমি:- ওদের টিমে ঝগড়া লাগাতে হবে।
মামুন ভাই:- কিভাবে?
আমি:- তোমার পরিচিত কোনো মেয়ে থাকলে ওদের টিমে ঢুকিয়ে দেও তাহলেই হবে!
মামুন ভাই:- তুই এত বুদ্ধি কোথায় থেকে আসে রে? তুই এর থেকে রাজনীতি কর:
আমি:- একদম আজেবাজে কথা বলবা না কিন্তু?
এই কথা বলে আমি উছে বাসায় চলে আসলাম এই ভাবে দুই দিন চলে গেল। ঐদিক থেকে মুন্নির টিম থেকে অনেক মেয়েরা আমাদের টিমে চলে আসতিছে এটা দেখে মুন্নি শুধু রাগে ফুলতিছে। স্টুডেন্ট লিডার নির্বাচলের ও আর তিন দিন আছে। এবার যে করেই হোক লিডার নির্বাচনে ছেলেদের থেকে লিডার বানাতেই হবে!
হঠাৎ কলেজ থেকে একটা ছেলের ফোন আসলো?
আমি:- কিরে এত সকালে ফোন দিয়েছেস কেন?
ঐ ছেলে:- ভাই মুন্নি টর্চার রুমে আমাদের একটা ছেলেকে মারতেছে তুমি তারাতাড়ি কলেজে চলে আসো?
আমি:- ওকে ওয়েট কর আমি আসতিছি। কি ব্যাপার কলেজে কোনো সমস্যা হলে তো মামুন ভাই ফোন দিতো কিন্তু মামুন ভাই ফোন না দিয়ে এই ছেলে ফোন দিলো কেন আমি সঙ্গে সঙ্গে মামুন ভাই কে ফোন দিলাম।
আমি:- ভাই কলেজে কি কোনো সমস্যা হয়েছে?
মামুন ভাই:- না তো। কলেজে তো কোনো ঝামেলা হয়নি।
আমি:- একটা ছেলে কলেজ থেকে ফোন দিয়ে বলল কলেজে নাকি সমস্যা হয়েছে।
মামুন ভাই:- আরে বোকা। এটা হয়তো মুন্নির কোনো চাল হবে নিশ্চই। কলেজে ঝামেলা হবে আর আমি জানবো না!
আমি:- ওকে। তুমি একটা কাজ করো এখন।
মামুন ভাই:- কি কাজ?
আমি মামুন ভাই কে যে কাজটা করতে বললাম ঐটা এখন গোপনেই থাক পরে জানতে পারবেন।
ফোন কেটে দিয়ে আমি রেডি হয়ে কলেজে গেলাম গিয়ে দেখি একটা ছেলে দারিয়ে আছে আমি ওর কাছে গেলাম।
ভাই ওরা কলেজের ভিতরে আছে তুমি যাও!
আমি:- ওকে।
আমি ভেতরে গিয়ে অবাক হয়ে গেলাম কারণ। মুন্নি ছাড়া ভেতরে আর কেউ নেই। আমি রুমের কোণায় তাকিয়ে দেখি মামুন ভাই জানালার পিছনে ক্যামেরা নিয়ে চুপচাপ লুকিয়ে আছে।
আসলে আমি মামুন ভাইকে বলেছিলাম মামুন ভাই যেন ক্যামেরা নিয়ে আসে, আমার সাথে যা যা ঘটবে তা যেন মামুন ভাই ভিডিও করে সেই জন্য।
আমি:- কি ব্যাপার আপু আমাকে এখানে ডাকলেন কেন?
মুন্নি:- তোকে আজ সবাই মেরে কলেজ থেকে বের করে দিবে।
আমি:- কেনো? আমি কি করেছি?
মুন্নি:- তুই তো কিছুই করবি না। যা করার করবো আমি সব দোষ হবে তোর। আর বাকি সব পরে দেখতে পারবি?
আমি:- একবার ভেবে নেন। আমাকে বিপদে ফেলতে গিয়ে যেন আবার নিজে বিপদে না পড়েন।
মুন্নি:- ওকে তুই শুধু দেখতে থাক কে বিপদে পড়ে।
হঠাৎ মুন্নি আপু নিজে নিজের জামার কিছু অংশ ঠিড়ে চিৎকার করতে লাগলো আর বলছে বাচাও বাঁচাও।
হঠাৎ শিক্ষার্থীরা দরজা ভেঙ্গে রুমে প্রবেশ করলো এই সুজুকে আমি মামুন ভাইয়ের থেকে ক্যামেরাটা নিয়ে নিলাম। সব শিক্ষার্থীরা আমার দিকে রাগী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।
সবাই আমাকে নিয়ে প্রিন্সিপালের রুমের নিয়ে গেলো। তারপর পিন্সিপাল কলেজের সভাপতি মানে মুন্নির বাবাকে ফোন দেয়ে কলেজে আসতে বলল। বাহিরে সব শিক্ষার্থীরা আমাদের শাস্তির দাবি চাচ্ছে। পিন্সিপাল ও সভাপতি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ প্রিন্সিপাল স্যার বলে উঠল---
প্রিন্সিপাল:- তুমি কি আমিনুর যে কি না ফাষ্ট ইয়ারের শিক্ষার্থী হয়ে সেকেন্ড ইয়ারের শিক্ষার্থীদের সাথে ঘুরাফেরা করো।
আমি:- জ্বি স্যার।
প্রিন্সিপাল:- আমি তো তোমার সম্পর্কে অনেক ভালোই জানতাম হঠাৎ এই ২৭ দিনে কি হয়ে গেলে। তাও আবার আমদের কলেজের সভাপতির মেয়ের সাথে ছিহহহহ!
আমি:- স্যার মিটিং কি আরও করবেন নাকি আমি মিটিং এখানেই শেষ করে দিবো?
প্রিন্সিপাল স্যার:- মানে?
আমি:- স্যার আমি কি আপনার রুমের কম্পিউটারটা অন করতে পারি?
প্রিন্সিপাল স্যার:- কেনো?
আমি:- স্যার আমি সবাইকে কিছু দেখাতে চাই?
তারপর স্যার অনুমতি দিলো আমি কম্পিউটারে ক্যামেরা টা সেট করে ভিডিও চালু করে দিলাম। মুন্নি তো ভিডিওটা দেখে ওর চোখ কপালে উঠে গেছে। সবাই ভিডিও দেখছে আর মুন্নির দিকে তাকাচ্ছে। আমি ক্যামেরাটা নিয়ে নিলাম।
তারপর আমি ক্যামেরা থেকে আমার ফোনে নিয়ে কলেজের গ্রুপে আপলোড দিয়ে দিলাম। বাহিরের সবাই ভিডিওটা দেখে মহুত্তের ভিতর চুপ হয়ে গেল।
আমি বাহিরে গিয়ে সবার উদ্দেশ্যে বললাম আপনারা তো দেখলে কোন দলের লিডার কেমন সো ভালো সময় থাকতে আমাদের টিমে চলে আসেন অনেক ভালো থাকবেন সবাই।
এইকথা বলে সোজা দুপুরে বাসায় বলে আসলাম তারপর খাওয়া দাওয়া করে দিলাম এক ঘুম। হঠাৎ ফোনের চিল্লাচিল্লিতে আমার ঘুমের ১৩ টা বেজে গেলো। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি মামুন ভাই ফোন দিয়েছে তাই ফোনটা রিসিভ করলাম---
আমি:- হুম ভাইয়া বলো?
মামুন ভাই:- একটা গুড নিউজ আছে রে?
আমি:- কি গুড নিউজ ভাই?
মামুন ভাই:- আরে কলেজের সব শিক্ষার্থীরা আমাদের নিমে আসতে চাচ্ছে বলতো এখন কি করবো?
আমি:- কি করবে মানে সবাই কে টিমে নিয়ে নাও। আর ভাই মুন্নির কি খবর?
মামুন ভাই:- মুন্নির বাবাকে দেখলাম মুন্নিকে নিয়ে বাসায় যাচ্ছে। তুই একটু সাবধানে থাকিস মনে হয় মুন্নি তোর উপর প্রতিশোধ নিবে?
আমি:- তুমি কিভাবে বুঝলে?
মামুন ভাই:- মুন্নি খুব রেগে ছিলো।
আমি:- ওকে তুমি কোনো চিন্তা কর না। বাই আমি এখন ঘুমাবো।
বলে ফোন কেটে দিলাম পরের দিন কলেজে গিয়ে দেখি মুন্নি আর ওর দুইটা বান্ধবী বসে আছে ওদের কাছে গেলাম।
আমি:- আপু আপনার কি মন খারাপ?
আমার কন্ঠ শুনে মুন্নি আমার দিকে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকালো সত্যি বলতে আমি ওর চোখ দেখে সত্যি ভয় পেয়েছি বাট বুঝতে দিলাম না।
মুন্নি:- আমার মন ভালো নাকি খারাপ তোকে কি বলতে হবে?
আমি:- না তুমি মন খারাপ পরে বসে আছো তাই জিজ্ঞাস করলাম
মুন্নি:- অনেক আনন্দ হচ্ছে তোর তাই না। তোকে আমি দেখে নিবো?
আমি:- আপু একবার বেজ্জতি হয়েও কি তোমার সরম হয়নি। আবার বেজ্জতি হতে চাও নাকি?
মুন্নি:- তুই দেখ আমি তোর কি অবস্থা করি!


#চলবে,,,,,,

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}

★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.