কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ (পর্ব:- ০১)
#গল্প:- কলেজের সিনিয়র আপু যখন বউ
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০১















মুন্নি:- মানুষ বিয়ে করে কেন? সবাই যে কারণে বিয়ে করে আমিও সেই কারণেই করেছি?
আমিনুর:- আপনি কি মানুষ?
মুন্নি:- ঐ তুই কি বলতে চাইতেছিস?
আমিনুর:- না মানে আপনাকে দেখলে আমার পেত্নীর কথা মনে পড়ে?
মুন্নি:- দেখ এখন রাগাবী না! তা নাহলে মেরে তোর গাল লাল করে দিবো?
আমিনুর:- এহহহহহ বললেই হলে। আমার জীবনটা আপনি তেজপাতা করে দিতে আসছেন সেটা আমি ভালো করেই জানি। কলেজের প্রতিশোধ নিতে আমাকে বিয়ে করেছেন তাই না!
মুন্নি:- হুম তো কি করবি তুই। এখন বেশি কথা না বলে এই দিকে আয় বাসর করতে হবে?
আমিনুর:- মানে?
মুন্নি:- মানে বুঝাচ্ছি?
মুন্নি এক পা- একপা করে আমার দিকে আসতে লাগলো! আমি পিছাতে লাগলাম। অল্প কিছু যাওয়ার পরেই আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেলো! এদিকে মুন্নি একদম আমার কাছাকাছি চলে আসলো! আমার মনে হচ্ছে আমি মুন্নির হার্টবিট শুনতে পাচ্ছি। ভাবতেছি মুন্নি কি করতে চাইতেছে? কারণ আমাদের দুই জনের মাঝে একটুও ফাঁকা নেই !
এমন সময় খেয়াল করলাম মুন্নি ওর ঠোট দুটো আমার দিকে এগিয়ে আনছে। আমি বুঝতে পারছি মুন্নি কি করবে তাই আমার মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরার জন্য হাতটা উপরের দিকে তুলতেই বুঝলাম মুন্নি ওর হাত দিয়ে আমার হাত দিয়ে চেপে ধরে আছে। আমি কোনো উপায় না পেয়ে আমার চোঁখ দুটি বন্ধ করে ফেললাম! হঠাৎ মুন্নি আমার কামড় দিয়ে ধরেছে। আমি চিৎকার দিতে পারছিনা ও অনেক জোরে কামর দিছে অবশেষে আমাকে ছাড়লো? আমার ঠোট দুটো কেটে রক্ত পরতিছে আমি চুপ করে দাড়িয়ে আছি।
মুন্নি:- বাবু আরেকটু আদর করি?
আমি মাথা নেড়ে না করলাম!
মুন্নি:- ওকে তাহলে তুমি এখন ঘুমাও আমি ফ্রেশ হয়ে আসি?
বলেই মুন্নি চলে গেলো ফ্রেশ হতে আমি গিয়ে আয়নাতে ঠোটগুলো দেখতে লাগলাম! আপনারা হয়তো ভাবেছেন আমি ছেলে হয়ে কেন বউয়ের অত্যাচার সহ্য করছি। কিন্তু না শুধু আম্মুর কথায় আজকের রাতটা মুন্নি কে মাফ করে দিলাম। মুন্নির সাথে আমার সাপ-বেজির সম্পর্ক। চলুন একটু পেছন থেকে ঘুরে আসি
আমি আমিনুর ইসলাম। আমরা পরিবারে সদস্য তিনজন! আমি, বড় ভাইয়া আর আম্মু। আব্বু ছোট বেলায় মারা গেছেন (গল্পতে)। আব্বুর একটা ছোট বিজনেস ছিলো যেটা এখন ভাইয়া সামলায়! আর আমি লেখাপড়া করি!
আমরা সবাই গ্রামে থাকি কিন্তু এখন সবাইকে ছেড়ে কুমিল্লায় যেতে হবে! আমি সারাটা দিন আম্মুর কাছে শুয়ে রইলাম! হাইস্কুল লাইফ শেষ করে কাল আমি কলেজে যাবো। মনে আনন্দটাই অন্য রকম কিন্তু ভয় একটা রেগিং নিয়ে একটু চিন্তা আছে। তাও অনেক আনন্দ হচ্ছে কাল প্রথম কলেজে যাবো। রাতে চলে আসলাম কুমিল্লায়। আমি আর আমার একটা বন্ধু আর কাউকে চিনিনা এখানে । দুজনেই এসেছি গ্রাম থেকে। তাই দুইজনে আলাদা একটা বাসা নিলাম। পরেরদিন সকালে রেডি হয়ে চলে গেলাম কলেজের গেটের সামনে দাড়িয়ে ভাবতে লগলাম ভিতরে গেলে যে কি হবে। গেট দিয়ে ঢুকে সামনে একটু যেতেই একটা বড় ভাই ডাক দিলো ভদ্র ছেলের মতো ওনার সামনে গেলাম!
বড় ভাই:- নতুন এসিছিস!
আমি:- জ্বি ভাইয়া!
বড় ভাই:- আমার সাথে আয় তো?
আমি:- কেনো ভাইয়া?
বড় ভাই:- তোকে মামুন ভাইয়া ডেকেছে?
আমি:- মামুন ভাই কে? আর আমকে চেনে কিভাবে?
বড় ভাই:- ঐ বেশি কথা বলিস কেনো আসতে আয়।
তারপর আর কোনো কথা না বলে ওনার সাথে কলেজ কেনটিনে গেলাম গিয়ে দেখি বড় ভাইয়ারা বসে আসে বুঝতে পারলাম আজ কপালে খারাপ কিছু আছে!
বড় ভাই:-কিরে মামুন কই?
অন্য বড় ভাই:- ওয়াশরুমে গেছে!
আমি দাড়িয়ে ছিলাম তখন কে একজন আসলো দেখে মনে হচ্ছি ওনাকে আমি কোথায় যেনো দেখেছি। হঠাৎ মামুন ভাইয়া বলে উঠল?
মামুন ভাই:- তুমি আমিনুর না?
আমি:- জ্বি ভাইয়া?
মামুন ভাই:- আমাকে চিনতে পারছিস আমি মামুন তুই যখন ক্লাস Eight এ পড়তি আর আমি এস এস সি পরিক্ষা দেই। তোকে আমার এখনো মনে আছে।
আমি:- তুমি তো নিলাকে ভালোবাসতে তাই না।
মামুন ভাই:- তোর নিলাকেও মনে আছে?
বড় ভাই:- কিরে তুই চিনিস ওকে।
মামুন ভাই:- হুম।
বড় ভাই:- তুমি তাহলে চলে যাও।
মামুন ভাই:- ঐ কই যাবে আমিনুর। আরে ওকে দিয়ে এখন আমাদের প্রয়োজন মেয়েদের সাথে আমাদের অনেক শত্রুতা জমে আছে মেয়েরা আমাদের অনেক জ্বালাইছে। এখন আমারা আমাদের গোল রক্ষক পেয়ে গেছি।
আমি:- ভাইয়া আপনি কি বলছেন এইসব।
মামুন ভাইয়া:- তুই এখনে বসে আমি তোকে সব বুঝিয়ে বলছি। আর এত ভালো মানুষ হওয়ার দরকার নেই আমি জানি তুই কেমন!
তারপর মামুন ভাইয়ার কথা শুনে বুঝলাম যে এই কলেজে মেয়েদের রাজত্ব চলে যার কারণে ছেলেদের একটুও দাম নেই। ছেলেদের সাথে মেয়েদের ঝগড়া তাই আমাকে ওনারা গোল রক্ষক হিসাবে নিয়ে নিলো! মামুন ভাইয়া সাবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিলো। আজকের মত কলেজ শেষ করে বাসায় আসলাম।
পরের দিন কলেজে যেতেই একটা আপু ডাক দিলো।
#চলবে,,,,,,
[অনুমতি ছাড়া কেউ গল্প কপি করবেন না]
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments