অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি (পর্ব:- ০১)
#গল্প:- অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০১
রেল লাইনে বসে আছি একা একা. আমার চোঁখ দিয়ে শুধু অঝরে পানি পরতিছি…
কি অপরাধ ছিলো আমার যে কারণে এত কষ্ট সহ্য করতে হলো….
মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে নিজেকে শেষ করে দেই ট্রেনের নিচে গিয়ে…
কিন্তু নিজেকে শেষ করে দিতেও পারতিছি না কারন আত্মহত্যা করা মহা পাপ…
দুনিয়ার কষ্ট সহ্য করতে না পেরে আমি আত্মহত্যার পথ যদি বেচে নেই তাহলে পরকালে আমার কি উপায় হবে আমায় যে জাহান্নামে যেতে হবে…
এই সব চিন্তা করে নিজেকে শেষ করে দিতে পারতিছি না,,
{অনেক ভাই-বোনেরা আছেন যারা ডিপ্রেশনে পড়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন, কেন ভাই এমনটা কেন করতে হবে আপনাকে, যত কষ্টই হোক আল্লাহর উপর ধর্য ধারন করুন…আল্লাহ্ তায়ালা ধর্য ধারণ কারিকে বিনা হিসাবে জান্নাত দিবেন…আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়ার আগে একবার ভাবুন তো আপনার চেয়ে তো আরও অনেক মানুষ দুনিয়াতে বেঁচে আছে যারা আপনার থেকে আরও বেশি কষ্টে আছে তারা তো আল্লাহর উপর ধর্য ধারণ করে আছে, তাহলে আপনি কেন পারবেন না…}
যাহোক গল্পে ফিরি,,,
চলুন আমার অতীতটা জেনে আসি…
আমার নাম ফাহাদ (মূলত এটা আমার আসল নাম না)। আমার বাসা গাইবান্ধা জেলায়… আমার পরিবারে আমি, বাবা, মা এবং পিচ্চি একটি বোন আছে,.. মধ্যবৃত্ত পরিবারের সন্তান আমি…অনেক সুখেই ছিলাম...
আমার এইচ এস সি পরীক্ষা চলে কোন বোর্ড পরিক্ষায় আমার পাশে কোনো মেয়ে পড়েনি....
আমরা ৬ জন বন্ধু পরিক্ষা দিতে যাচ্ছি এমন সময় সোহান বলল.
সোহান:- কিরে ফাহাদ কি চিন্তা করতিছিস, তোর পাশে যে মেয়ে পড়বে তাকে ক্যামনে পটাবি?
আমি:- ধুর কি ফালতু কথা বলতিছিস,, আমি কবিতা মুখস্ত করতিছি…
হঠাৎ মামুন বলে উঠলো…
মামুন:- তোর প্রাক্তন GF নাকি ?
আমি:- এই বার কিন্তু সবগুলারে পিটামু… তোরা জানিস না মুই একদম পিয়র সিঙ্গেল..
ফরহাদ:- এ ওরা দুইজন বলছে তা আমাদের পিটাবি কেন?
আমি:- ওদের কে চুপ করে থাকতে বলতে পারিস না তোরা?
ফরহাদ:- পারি তো বাট বলবো না ফাজলামি করতে ভালোই লাগতিছে 





এই রকম ফাজলামি করতে করতে পরীক্ষার হলে পৌছে দেখি খাতা দিয়েছে একটু দেরিতে যাওয়া পড়েছে আমাদের…
আমরা আমাদের রোল অনুযায়ি রুম বের করলাম আমরা ৬ বন্ধুর মধ্যে তিনজন পরেছি একরুমে আর তিনজন পরেছে অন্য রুমে কারন আমরা মানবিক বিভাগে আর ওরা তিনজন বিজ্ঞান বিভাগে...
আমি রুমে প্রবেশ করার পরে আমার সিটে বসার পরে খাতা নিয়ে রোল, রেজিস্ট্রেশন নাম্বর পূরণ করে আমার ডান পাশে তাকেই আমার চোখ কপালে…
এ আমি কি দেখছি একটা আস্ত পরী বসে আছে…
আমি এক ধ্যানে উনার দিকে তাকিয়ে আছি…হঠাৎ ঐ মেয়ে বলে উঠল..
ঐ মেয়ে:- এই যে মিস্টার কি দেখছেন এই ভাবে তাকিয়ে,, জীবনে কি মেয়ে দেখেন কি কখনও ?
আমি:- পরি দেখতিছি !
ঐ মেয়ে:- কি বললেন আপনি ?
এই রে কাম সেরেছে ভুলে মুখদিয়ে কি কথা বের হয়ে গেল,,,(মনে মনে বললাম)
এরই মধ্যে ঘন্টা পড়ে গেল MCQ দিচ্ছে সারেরা…
তারপর মনোযোগ দিয়ে পরিক্ষা দিতে শুরু করলাম,,পরিক্ষা আর কি দিবো ডান পাশে পরি বসে আছে বারবার লুকিয়ে লুকিয়ে দেখতেছি…..{মনুরা বাস্তবে কিন্তু আমি এই রকম না}
এর মধ্যে হঠাৎ সোহান (আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড) ও আমার পিছনের সিটে বেঞ্চে বসেছে, হঠাৎ সোহান বলল…
সোহান:- কিরে কি দেখতেছিস লুকিয়ে লুকিয়ে নাম্বার লাগলে বল বলে নিয়ে দিচ্ছি।
আমি:- এ ফালতু কথা বাদ দিয়ে চুপচাপ লেখ তো?
সোহান:- আমি ফালতু কথা বলতিছি তাই না?
আমি:- ফালতু কথাইতো বলতিছিস…
পরিক্ষা শেষ হলে আমরা রুম থেকে বের হলাম ঐ মেয়েও বের হলো বাট হঠাৎ কোথায় যে গায়েব হয়ে গেল পরীটা…
সেই দিনের মতো বাড়িতে আসলোম…বিকাল বেলা বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতেছিলাম হঠাৎ সোহান এসে হাজির, এসেই ও বলল…
সোহান:- মামুন জানিস আজ ফাাহাদ কি করছে?
মামুন:- কি করছে রে ?
আমি:- এ খবরদার এদের বলবি না, বললে তোর খবর আছে বলে দিলাম?
মামুন:- এ সোহান তুই বল তারপর আমরা দেখবো ফাহাদ কি করে?
সোহান:- আজ আমাদের পাশে মেয়ে বসেছিল.. ফাহাদের পাশে যে বসেছিল,, ফাহাদ তো পরিক্ষা দেওয়া বাদদিয়ে সারাক্ষণ ঐ মেয়ের দিকে তাকিয়ে ছিল?
মামুন:- বলিস কি সত্যি নাকি ? ফাহাদ মেয়েটার নাম কি মামা?
সোহান:- আরে সরিসার তেলের মতো সত্য কথা !
আমি:- সোহানের বাচ্চা দারা আজ দেখ তোর কি অবস্থা করি আমি?
আমার উঠার সাথে সাথে সোহান দৌর দিছে, আমি ছারার পাত্র না আমি সোহানের পিছে পিছে দৌর দিলাম..
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাতে বাড়ি এসে নামাজ পড়ে এসে রাতের খাবার খেয়ে পড়তে বসলাম.. দেখতে দেখতে দুইদিন গেল.. পরিক্ষার দিন হল রুমে ঢুকে আমার বেঞ্চে বসতে না বসতেই ঐ পরীটা বলে উঠলো…..
#চলবে……….
{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments