অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি (পর্ব:- ০২)
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে
রাতে বাড়ি এসে নামাজ পড়ে এসে রাতের খাবার খেয়ে পড়তে বসলাম.. দেখতে দেখতে দুইদিন গেল..
পরিক্ষার দিন হল রুমে ঢুকে আমার বেঞ্চে বসতে
না বসতেই ঐ পরীটা বলে উঠলো…..(পরী মানে ঐ মেয়েটা)
ঐ মেয়ে:- এই যে মিস্টার আপনার
সমস্যা কি হুম পরীক্ষার সময় আপনি লেখা বাদ দিয়ে আমার দিকে্ অমন ঢেপ ঢেপ করে তাকিয়ে
থাকেন কেন?
আমি কিছু বলার আগেই সোহান
পিছন থেকে বলে উঠল…
সোহান:- ফাহাদ নাকি আপনাকে
দেখে ক্রাশ খেয়েছে তাই অমন করে তাকিয়ে থাকে…
আমি তো সোহানের কথা শুনে
লজ্জায় শেষ…কি বলেবো বুঝতে পারতিছিনা..
ঐ মেয়ে:- উনি কি সত্যি কথা
বলতিছে নাকি মিথ্যা বলতিছে ?
আমি:- না মানে!
ঐ মেয়ে:- কি না মানে করতিছেন
সোজা সুজি বলেন ?
আমি:- জ্বি সোহান সত্যি
কথা বলেছে… আচ্ছা মিস আপনার নাম কি?
ঐ মেয়ে:- কেন? যার উপর ক্রাশ
খেলেন তার নাম জানেন না?
আমি:- না জানিনা বলেন?
ঐ মেয়ে:- আমার নাম ফাতেমা।
আমি:- একদম মচৎকার নাম তো
আপনার? (আমি মজা করে চমৎকারকে মচৎকার বলি)
ফাতেমা:- এত পাম দেওয়া লাগবে
না।
আমি:- কোথায় আমি পাম দিলাম
যা সত্যি তাই তো বললাম!
ফাতেমা:- হয়েছে এইবার চুপ
করেন?
আম:- আচ্ছা ঠিক আছে..
কিছুক্ষণ পরে হঠাৎ ফাতেমা
আমায় বলল….
ফাতেমা:- এই যে মিস্টার ফাহাদ
আপনার ফেসবুক আইডি নাম বলুন তো?
আমি:- আমার ফেসবুক আইডির
নাম আপনাকে কেন বলবো?
ফাতেমা:- ঐ বেশি কথা না বলে
আপনার ফেসবুক আইডির নাম বলুন তো ?
আমি:- ওকে। আমার ফেসবুক আইডির
নাম পিচ্চি লেখক।
ফাতেমা:- পিচ্চি লেখক কেন
আপনার নাম তো ফাহাদ তাই না?
আমি:- হুম আইডিতে ঢুকলেই বুঝতে পারবেন কেন পিচ্চি লেখক নাম দেওয়া।
ফাতেমা:- ওকে ঠিক আছে।
তারপর পরিক্ষা দেওয়া শেষ
করে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া করে ফেসবুকে ধুকতেই দেখি একটা মেয়ের
আইডি থেকে ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট এসেছে…
আমি ফ্রেন্ড রিকোয়েষ্ট এ্যাকসেপ্ট কারার সাথে সাথেই কয়েকটা মেসেজ আসলে
ঐ আইডি থেকে…
ফাতেমা:- আসসালামু আলাইকুম
লেখক সাহেব…কি করতিছেন…এইযে মিষ্টার কথা বলেন না কেন….ও হ্যালো… আরে আমি ফাতেমা আপনার
পাশে বসে পরীক্ষা দিচ্ছি।
আমি:- ওলাইকুম আসসালাম।..
এতগুলো মেসেজ কেউ দেয়..
ফাতেমা:- তা কি করবো, আপনি
তো মেসেজের রিপ্লাই দিচ্ছেন না…
আমি:- আরে পরীক্ষা দিয়ে এসে
ফ্রেশ হলাম নামাজ পড়লাম তাই রিপ্লাই দেইনি…
ফাতেমা:- তাহলে আপনার ফেসবুক
আইডির পিচ্চি লেখক নাম দেওয়ার এটাই রহস্য।
আমি:- বুঝলাম না।
ফাতেমা:- এই তো আপনি গল্প
লেখেন তাই…
আমি:- হুম..
ফাতেমা:- আমি তো আপনার অনেক
আগের গল্প পাঠীকা…আপনি যে গ্রুপে পোষ্ট করতেন ঐ খানে আপনার গল্প পড়তাম প্রতিদিন…
আমি:- ওহ আচ্ছা ভালো তাহলে…
ফাতেমা:- হুম কখনও ভাবিনি
আপনার সাথে এই ভাবে পরিচয় হবে…
আমি:- তাহলে এখন খাওয়া দেন..
ফাতেমা:- কিসের খাওয়া…
আমি:- এই তো আপনি যে আমার
সাথে পরিচিত হলেন সেটার খাওয়া দেন…
ফাতেমা:- এই যে মিস্টার আমি
কেন খাওয়া দিবো খাওয়া তো দিবেন আপনি…
আমি:- কেন আমি খাওয়া দিবো?
ফাতেমা:- কারণ আপনার গল্প
পড়ার মত একটা মানুষ পাইছেন সেই জন্য খাওয়া দিবেন?
আমি:- আমার এত টাকা বেশি
হয়নি যে আপনাকে খাওয়াবো এই কারণে…
ফাতেমা:- আচ্ছা বাই রাতে
কথা বলবো এখন একটু কাজ করবো….
আমি:- রাতে কথা বলতে পারবো
না আমি?
ফাতেমা:- কেন?
আমি:- পড়তে বসবো রাতে আগামীকাল
পরিক্ষা আছে।
ফাতেমা:- আমি এত কিছু জানিনা
আপনি রাতে মেসেজ দিবেন এটাই ফাইনাল…
আমি:- দেখা যাক…বলে অফলাইনে
গেলাম.. কারন অন লাইনে থাকলে আরও কথা শুনাবে তাই…
রাতে পড়া শেষ করে ঘুমানোর
আগে মেসেন্জারে ঢুকে দেখি ফাতেমা এতো গুলো মেসেজ দিয়েছে না জানি কি কি বলেছে…
থাক প্রিয় পাঠক পাঠীকারা
আপনাদের এত কিছু দেখতে হবে না…কারণ এত পরিমাণ গালি দিয়েছে …..ইদুর, বানর,,, তেলাপোকা,,,.আচ্ছা
পাঠক পাঠিকারা এইগুলো কি গালি নাকি প্রাণিদের নাম… 😁😁😁
পরের দিন পরিক্ষার হলে গিয়ে
দেখি ফাতেমা আর ওর বান্ধবিরা কলেজের গেইটে দাড়িয়ে আছে… আমি তো ফাতেমাকে দেখেই ভয় পাইছি
আমার দিকে রাগি লুক নিয়ে তাকিয়ে আছি…
গেইটে যেতেই ফাতেমা বলল…
ফাতেমা:- ফাহাদের বাচ্চা
আজ তোর খবর আছে শুধু পরিক্ষার শেষ হওয়ার জন্য অপেক্ষা কর….
আমি:- কে….কে…..কেন..? (ভয়েতে
ঠিক মতো কথা বলতে পারতিছি না)
হঠাৎ সোহান ফাতেমাকে তালদিয়ে
বলে উঠল…
সোহান:- আপু ওরে এমন ভাবে
শায়েস্তা করবেন যেন ভালে হয়ে যায় ও খুব ফাজিল পোলা…
ফাতেমা:- আপনি চিন্তা করেন
না শুধু পরীক্ষার পরে দেখেন কি অবস্থা কারি আজ?
আমি:- আরে আমি কি করেছে আপু?
ফাতেমা:- এ আমি তোর কোন জন্মের
আপুরা…দারা দেখ আজ তোর কি অবস্থা করি…তার আগে মিষ্টি খেয়ে নে…
আমি:- কিসের মিষ্টি?
ফাতেমা:- গতকাল না তুই খাইতে
চাইলি…
আমি:- এমনি বলেছি খাবো না
আমি?
ফাতেমা:- কি বললি তুই খাবিনা
এই মিমি… হকিস্টিকটা দেতো আমার কাছে…
বলার সাথে সাথে দেখি মিমি
নামের মেয়েটা হকিস্টিক দিচ্ছে.... আমি তো ভয়ে শেষ..
একটা মিষ্টি নিয়ে পরীক্ষার
হলে দিলাম দৌড় পেছনে আর তাকানো নেই।
পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট
আগে খাতা জমা দিয়ে আমি বাসায় চলে আসছি…. আমি ভয়ে চলে আসছি না জানি পরীক্ষার পরে ফাতেমা
কি অবস্থা করবে আমার….
আমি যে চলে আসছি ফাতেমা বুঝতেই
পারেনি…
এইদিকে ৪ দিন পরীক্ষা নেই
বাবা বেচে গেছি ঐ ডাইনির হাত থেকে।
ঐ দিকে ফাতেমা আমায় না দেখতে
পেয়ে সোহান কে বলল….
ফাতেমা:- ভাইয়া ফাহাদ কোথায়
?
সোহান:- ওতো চলে গেছে বাড়িতে?
ফাতেমা:- আপনি কি ভাবে জানলেন?
সোহান:- আমার ফোনে মেসেজ
দিয়েছে… যে ও বাড়ি চলে গেছে…
ফাতেমা:- মনে মনে বলতিছে
দূর কেন যে পাগলটার সাথে অমন করতে গেলাম…প্রথমে ওর গল্প পড়েতো ওরে মনে মনে ভালোবেসে
ফেলেছি বাট ওরে না চিনার কারণে বলতে পারিনি….
পরীক্ষা দিয়ে এসে ফ্রেশ হয়ে
নামাজ পড়ে খাওয়া দাওয়া করে দিলাম এক ঘুম…
সন্ধায় ঘুম থেকে উঠে নামাজ
পড়ে এসে পড়তে বসলাম,,,
এশার নামাজ পড়ে এসে খাবার
খেয়ে গল্প লেখতে বসলাম…
হঠাৎ দেখি ফাতেমা মেসেজ দিয়েছে…
যে….
ফাতেমা:-…………………………….
#চলবে…….
{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments