ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি (পর্ব:- ০৯)


#গল্প:- অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৯

তারপর ফাতেমা চলে গেল আমি আর সোহান ওয়াজ শুনে বাসায় চলে আসলাম, পরের দিন সকালে ফোনের আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে গেলো দেখি ফাতেমা ফোন দিয়েছে…..!

আমি চুপ করে আছি কি করবো বুঝতে পারিতিছি না…..!

আমি ফাতেমার ফোনটা ধরলাম ধরার পরই ফাতেমা আমায় বলতিছে…..!

ফাতেমা:- শয়তান, কুত্তা ফোন ধরিস না কেন…..?

আমি শুধু চুপচাপ ফাতেমার কথা শুনতেছি…..!

ফাতেমা:- কি হলো কথা বলিস না কেন…..?

আমি:- ফাতেমা আমি আর রিলেশনে থাকবো না, আমায় মাফ করে দিও…..!

ফাতেমা:- কি বলতেছিস তুই এই সব…..!

আমি:- হুম আমি ঠিকই বলতেছি…..!

ফাতেমা:- হঠাৎ করে কেন তুই এই রকম করতেছিস, প্লিজ এমন করিস না…..!

আমি:- সরি আমি থাকতে পারবো না আর রিলেশনে…..!

তারপর আমি ফোন কেটে দিলাম কি করবো বুঝতে পারতেছি না, আমার মাথা কাজ করতেছে না আমি  এখন কি করবো…..!

(পাঠক-পাঠীকারা আপনাদের মনে হয়তো একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে কিছু বুঝলাম না, পড়তে থাকুন সামনে বিস্তারিত জানতে পারবেন)

শুয়ে থাকতে থাকতে কখন যে ঘুমিয়ে গেছি বলতেই পারিনা দুপুরে সোহানের ফোনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো আমি ফোনটা ধরতেই সোহান বলল…..!

সোহান:- কই রে তুই…..!

আমি:- বাড়িতে, কেন কি হয়েছে…..?

সোহান:- তারাতারি মাঠে আয়…..!

আমি:- দূর আমি যাইতে পারবো না। এখন বিরক্ত করিস না তো ঘুম পারবো আমি…..!

সোহান:- আসবি নাকি আমি তোর বাসায় আসবো…..!

আমি:- কি করবি কর ভাই আমি এখন ঘুমাবো…..!

কথাটা বলে আমি ফোন কেটে দিলাম…..!

হঠাৎ মনে হলো আমার গায়ে বৃষ্টি পড়তেছে, চোঁখ খুলে দেখি সোহান হাতে বালতি নিয়ে দাড়িয়ে আছে।

আমি:- কি হয়েছে গায়ে পানি দিছিস কেন…..!

সোহান:- আমি তোরে মাঠে আসতে বলছি আর তুই ঘুমাচ্ছিস…..!

আমি:- ঘুম ধরলে আমি কি করবো…..!

সোহান:- উঠবি নাকি আর এক বালতি পানি নিয়ে আসবো…..!

আমি:- থাক লাগবে না পানি আনা, আমি উঠতেছি…..!

তারপর উঠে ফ্রেশ হয়ে আসলাম…..!

আমি:- এখন বল কি হয়েছে…..!

সোহান:- আমার সাথে এক জায়গায় যেতে হবে…..!

আমি:- না গেলে হয়না…..!

সোহান:- কি বললি তুই…..!

আমি:- বললাম  চল যাই কোথায় জানি যাবি তুই…..!

তারপর সোহানের সাথে চলে গেলাম ঐ জায়গাতে, গিয়ে দেখি ফাতেমা বসে আছে…..!

আমি:- সোহান তুই আমাকে এখানে কেন নিয়ে আসছিস সত্যি করে বলতো…..!

সোহান:- ফাতেমা আপুর সাথে দেখা করানোর জন্য…..!

এরমধ্যে ফাতেমা এসেই আমার হাত ধরে বলতিছে প্লিজ ফাহাদ এমন করো না…..!

আমি:- ফাতেমা আমার হাত ছারো বলছি…..!

ফাতেমা:- ছাড়বো না…..!

তারপর আমি ফাতেমার থেকে ঝটকা দিয়ে হাত ছেড়ে নিলাম…..!

ফাতেমা:- কেন হঠাৎ পাল্টে গেলে তুমি…..!

আমি:- আগে বুঝতাম না রিলেশন করা গুণাহর কাজ এখন বুঝি তাই এই সবের মধ্যে আমি নেই…..!

ফাতেমা:- কে বলেছে তোমায় রিলেশন করা গুণাহর কাজ…..!

আমি:- গতকাল মাহফিলে শুনেছি…..!

ফাতেমা:- ‍তুমি আমার মন খাংতেছো তুমি জানোনা একটা মন ভাঙ্গা মসজিদ ভাঙ্গার সমান…..!

আমি:- এই সব ফালতু কথা তুমি কোই পাইছো এই সব ফালতু কথা শয়তানের ফাদে পড়ে তুমি এইসব কথা বলতিছো। আর রিলেশন করা গুণাহর কাজ। সো আমি আর এই গুণাহের কাজে নেই আমায় মাফ করে দিও।

কথাটা বলে চলে আসছিলাম, হঠাৎ ফাতেমা পিছন থেকে বলল…..!

ফাতেমা:- শুন ছোট লোকের বাচ্চা তুই আজ আমার সাথে যা করছোন এর ফল ভালো হবে না মনে রাখিস…..!

কথাটা শুনে আমি চলে আসলাম…..!

 

{ও যুবক ভাই,

বর্তমানে এই ফেতনার যামানায় নিজের ঈমান আমল কে বাঁচাতে হলে স্র্রোতের বিপরীতে চলতে হবে ।

সব যুবক যে ‍পথে যাবে আমি ওই পথে যাব না ।

সব যুবক যদি রিলেশন করে আমি রিলেশন করব না ।

সব যুবক ‍যদি নামাজ না পরে আমি নামাজ পরব ।

সব যুবক যদি মেয়ে দের সাথে আড্ডা মারে আমি মারব না ।

এক কথায় সব যুবক যদি গুণার কাজ করে আমি গুণার কাজ করব না ।

 

ভাইরে বর্তমানে এমন যুবক পাওয়া সোনার হরিণ হয়ে গেছে যে আল্লাহর শফত করে বলতে পারবে আমি হারাম রিলেশন নামক যিনার সম্পর্ক থেকে বেঁচে আছি।

 

ভাইরে এই যৌবন একদিন তেমার থাকবেনা বৃদ্ধ তুমি একদিন হবে।

ওই বৃদ্ধ বয়সের সেজদায় তুমি আর আল্লাহকে স্বরণ করতে পারবে না।

ওই সময় সেজদায় তোমার চোঁখের সামনে শুধু ভাঁসবে কোন মেয়ের সাথে কি চ্যাট করেছো । কোন মেয়ের সাথে আড্ডা মেরেছো এই সব গুণাহের স্মৃতি ভাঁসবে তোমরা চোঁখের সামনে ।

 

হাদীসে এসেছে মানুষ যখন যিনা করে তখন তার কাছে আর ঈমান নামক জিনিস টা থাকেনা । অর্থাৎ তখন সে ঈমানদার থাকে না। আবার যখন সে যিনা থেকে মুক্ত হয় তখন তার কাছে আবার ঈমান ফিরে আসে ।

 

ভাইরে হাতের দ্বারা যে যিনা হয় সেটা হাতের যিনা । পায়ের দ্বারা যে যিনা হয় সেটা পায়ের যিনা ইত্যাদি এই রকম অনেক জিনা আছে ।

তুমি যখন একটা মেয়ের সাথে চ্যাট করতিছো তখন তুমি হাতের ‍যিনা করতিছো । যখন দেখা করার জন্য যাচ্ছো তখন তুমি পায়ের যিনা করতিছো । যখন তার দিকে এক ধ্যানে তাঁকিয়ে আছো তখন তুমি চোঁখেল যিনা করতিছো ।

এই রকম করে তুমি অনবরত যিনার গুণা করতেই আছো । আর যখন তুমি যিনার গুণা করতিছো তখন তোমার ভিতরে আর ঈমানদার নেই । আল্লাহ না করুন যদি ওই সময় আযরাইল (আঃ) আসে তা হলে তোমার কি উপায় হবে ।

ঈমানদার ছাড়া তো কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না ।

সমস্ত যিনার গুণা থেকে বাঁচার একটাই উপায় সেটা হলো চোখের হেফাজত করা ।

হে যুবক ভাই আসুন আল্লাহর কাছে তওবা করি আগে যা করেছি তার থেকে আল্লাহর কাছে তওবা করি আর রিলেশন নামক যিনাক গুণা করব না ।

আল্লাহ আমাদের সকল কে যিনার গুণা থেকে বেঁচে থাকার তৌফিক দান করুন। আমিন, সুম্মা আমিন ।

আমার গল্প লেখার লক্ষ্য সমাজ ও নেট দুনিয়াতে অশ্লিলাতা নোংরামি দূর কারা তাই এই কথা গুলো মাঝে মাঝে বলি কেউ কিছু মনে করবেন না আপনার ভালো লাগলে মানবেন আর ভালো না লাগলে মানবেন না}

 

যাহোক গল্পে ফিরি…..!

বাসায় এসে চলে গেলাম বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে…..!

আর ঐ দিকে ফাতেমা ঘরে শুয়ে থেকে কান্না করতেছে। হঠাৎ ফাতেমার ভাই নিলয় দেখে যে ফাতেমা রুমে শুয়ে থেকে কান্না করতেছে…..!

নিলয়:- কি হয়েছে ফাতেমা তুই এই ভাবে কান্না করতেছিস কেন…..!

তারপর ফাতেমা ওর ভাই নিলয়কে সকল ঘটনা ঘুলে বলে, এই সব কথা শুনে নিলয় বলল…..!

নিলয়:- কি বলতেছি তুই এই সব দেখ আমি ঐ ছেলের কি অবস্থা করি। ঐ ছেলের কোনো ছবি আছে তোর কাছে…..!

ফাতেমা:- হুম ভাইয়া আছে, এর এমন অবস্থা করবে ভাইয়া যেন আমার নাম এর সারা জীবন মনে থাকে…..!

নিলয়:- ঠিক আছে তুই চিন্তা করিস না…..!

তারপর নিলয় ওর ফোনো ফাহাদের ছবি টা শেয়ার করে নিয়ে বাইরে চলে গেলো।

বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে দিতে কখন যে রাত ১১ টা বেজে গেছে বলতেই পারিনা। তারপর বন্ধুদের কাছে থেকে বিদায় নিযে চলে আসছিলাম হঠাৎ কে জানি আমার পেছন থেকে আমার মাথায় বাড়ি দিলো…..…..…..…..!

 

 

#চলবে…….

 

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}


★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.