অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি (পর্ব:- ১৭)
আঙ্কেল:- বুঝলে সোহানের মা কাল থেকে তাহলে কম করে বাজার করতে হবে যাক আমার পকেটের টাকাও একটু বেচে যাবে…..!
বুঝলি ফাহাদ সেই রাতেই দেখি
দুই পা ওয়ালা একটা বিড়াল গভীর রাতে খাবার চুরে করে খাচ্ছে…..!
সোহান:- আম্মু এই সব কথা
ফাহাদকে বলার কি দরকার ছিলো…..!
আন্টি:- ফাহাদ বাবাকে বলেছি
বেশ করেছি,,, তা বাবা ফাহাদ তুই কখন আসছিস…..!
আমি:- আন্টি গতকাল রাতে আচ্ছি…..!
আন্টি:- তা এতদিন কোথায় ছিলি…..!
আমি:- ঢাকায় ছিলাম আন্টি…..!
আন্টি:- ঢাকায় গিয়ে আমাদেরকে
ভুলে গেছিস…..!
আমি:- কোথায় তোমাদের ভুলে
গেছি আন্টি,,,, ভুলে গেলে কি আসতাম…..!
আন্টি:- ভুলে যদি না যাইতি
তাহলে একবারও তো ফোন দিয়ে আন্টির খরব নেসনি…..!
আমি:- আমি তো আপনার ফোনে
ফোন দিয়েছিলাম আন্টি বাট আপনি ফোন রিসিভ করেননি…..!
আন্টি:- হয়েছে এবার মিথাা
বলা বন্ধ কর আর ফ্রেশ হয়ে সোহানের সাথে নাস্তা করতে নিচে আয়…..!
আমি:- আচ্ছা আন্টি আপনি যান
আমি সোহানের সাথে নিচে আসতেছি…..!
আন্টি:- আচ্ছা আয়…..!
তারপর আন্টি নিচে চলে গেলো
আমাদের জন্য নাস্তা রেডি করতে…..!
আমি:- কিরে সোহান তাহলে এতদূর
পাকা কাজ সেরে ফেলেছিস…..!
সোহান:- কিসের পাকা কাজ…..?
আমি:- তোর বিয়ের…..!
সোহান:- খবর দার তুই আমার
বিয়ের ব্যাপারে আব্বু আম্মুর সাথে তাল মিলাবি না…..!
আমি কিছু বলার আগেই আন্টি
নিচে থেকে আমাদের ডাক দিলো নাস্তা করতে যাওয়ার জন্য…..!
তারপর আমি আর সোহান ফ্রেশ
হয়ে নাস্তা করার জন্য নিচে চলে গেলাম,,,গিয়ে দেখি আঙ্কেল আমাদের জন্য নাস্তার টেবিলে
অপেক্ষা করতেছে…..!
আমি:- আসসালামু আলাইকুম আঙ্কেল…..!
আঙ্কেল:- ওলাইকুম আসসালাম,,,
এত দিন পরে কোথায় থেকে বের হলে ফাহাদ বাবা…..!
আমি:- এতদিন ঢাকায় ছিলাম
আঙ্কেল…..!
আঙ্কেল:- এতদিন ঢাকায় কি
করলে লেখাপড়া নাকি চাকুরি…..!
আমি:- দুইটাই করেছি আঙ্কেল…..!
আঙ্কেল:- তো কি করবে এখন…..!
আমি:- কলেজের অধ্যক্ষ পদের
জন্য আবেদন করবো শুনলাম গাইবান্ধা সদরের ভিতরে একটা কলেজে অধ্যক্ষা স্যারের নাকি চাকুরির
মেয়াদ শেষ ঐ পদে আবেদন করবো আর বাকিটা আল্লাহর হাতে…..!
আঙ্কেল:- আরে এটা সেই কলেজ
যে কলেজের প্রফেসর আমি…..!
আমি:- ওহ আচ্ছা…..!
আঙ্কেল:- তুই চিন্তা করিস
না দেখি আমি কিছু করতে পারি নাকি তোর জন্য…..!
আমি:- আচ্ছা আঙ্কেল…..!
আঙ্কেল:- তা বিয়ে শদি কি
করে ফেলেছিস নাকি…..!
আমি:- না আঙ্কেল ঐসব চিন্তা
এখন মাথায় নেই…..!
আঙ্কেল:- গুড বয়,,,, তুই
একটু এই ব্যাক্কলকে বুঝস তো…..! (সাহানকে ইঙ্গিত করে)
আমি:- ওকে আঙ্কেল…..!
হঠাৎ আন্টি বলে উঠলেন…..!
আন্টি:- তুমি কি একটু চুপ
করো তো এদের কে এখন নাস্তা করতে দেও…..!( আঙ্কেলকে ইঙ্গিত করে)
তারপর আমরা নাস্তা করে সোহানকে
নিয়ে চলে গেলাম কলেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়গের জন্য কি কি প্রয়োজন সেই খবর নেওয়ার জন্য…..!
বিকালে সোহানের বাসায় এসে
ফ্রেশ হয়ে খাবার ভেয়ে দিলাম এক ঘুম…..!
ঘুম থেকে উঠে দেখি মাগরিবের
আযান দিয়ে দিয়েছে,,, যদিও এই সময়ে ঘুমানোর অভ্যাস আমার নেই,,,, আজ সারাদিন একটু পারিশ্রম
করায় বিকেলে ঘুম ধরেছিল…..!
আর আছরের পরে এবং ফজরের পরে
ঘুমালে শরীরের অনেক ক্ষতি হয়,,,তাই আমরা সকলে এই দুইটা সময় ঘুমানো থেকে বিরত থাকবো
ইন শা আল্লাহ্…..!
তারপর আমি সোহান কে ঘুম থেকে
ডাকদিয়ে তুলে ফ্রেশ হতে গেলাম,,,,, আমি ফ্রেশ হয়ে আসার পরে সোহানও ফ্রেশ হয়ে আসলো।
আমি:- কিরে আঙ্কেল আন্টিকে
যে বিয়ের কথা বলেছিস তা কোন মেয়েকে পছন্দ করিস নাকি…..!
সোহান:- এ তুই চুপ করবি এই
সব নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাইনা…..!
আমি:- ওকে না বললি,,,তোরই
লস হইলো,,, আমি ভেবেছিলাম আঙ্কেল আন্টিকে বুঝিয়ে বলব তারা যেন তোর বিয়ে দিয়ে দেয়…..!
সোহান:- সত্যি বলবি…..!
আমি:-বলতে তো চেয়েছিলাম বাট
এখন আর বলব না…..!
সোহান:- প্লিজ বন্ধু বল প্লিজ
প্লিজ প্লিজ…..!
আমি:- ওকে, বলবো বাট একটা
শর্তে…..!
সোহান:- কি শর্ত বল…..!
আমি:- ফরহাদ, মামুন এরা কোথায়
আছে এখন…..!
সোহান:- ওরা সবাই এলাকাতেই
আছে…..!
আমি:- তাহলে ওদের কে ফোন
দিয়ে শহরে আসতে বল কিছুক্ষণ আড্ডা দিবো…..!
সোহান:- আচ্ছা ওদের কে আসতে
বলতেছি,,,, যাক বাবা বাচলাম আমি ভেবে ছিলাম কি না কি বলবি আর কোন প্যারায় যে পরি এখন
সেটা থেকে বাঁলাম…..!
আমি:- আরে থাম শর্তের কথা
তো এখনও বলিনি…..!
সোহান:- বল কি শর্ত আছে তোর…..!
আমি:- আমাদের সকলকে ট্রিট
দিতে হবে…..!
সোহান:- আমি কি জন্য ট্রিট
দিবো আর কিসের ট্রিট দিবো আমি…..!
আমি:- আমি যে আঙ্কেল আন্টিকে
যে তোর বিয়ে করানোর জন্য রাজি করাবো সেই জন্য…..!
সোহান:- একদম সঠিক জায়গায়
আঘাত করেছি,,,, কি আর করবো চল তাহলে ট্রিট নেওয়ার জন্য…..! (মন খারাপ করে বলল কথাটা)
তারপর আমি আর সোহান চলে গেলাম
সকলের সাথে আড্ডা দিতে এন্ড সোহানের থেকে ট্রিট নেওয়ার জন্য…..!
আমরা পৌর পার্কের বসে আড্ডা
দিচ্ছিলাম হঠাৎ কে যেন পিছন থেকে বলে উঠলো…..!
কেমন আছো ফাহাদ…..?
#চলবে…….
{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments