অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি (পর্ব:- ২৭ ও শেষ)
তারপর আমি নিলিমাকে খাইয়ে দিতে লাগলাম,,,,নিলিমা গ্লাস থেকে পানি খেয়ে গ্লাস থুতেই আমি গ্লাসটা নিয়ে নিলিমা যেখানে ঠোঁ লাগিয়ে পানি খেয়েছে আমিও গ্লাসের ঠিক সেই জায়গায় ঠোঁট লাগিয়ে পানি থেকে নিলাম.....!
নিলিমা:- এই দুষ্ট আমি গ্লাসের যে জায়গায় ঠোঁট লাগিয়ে পানি খেলাম তুমিও গ্লাসের ঠিক সেই জায়গায় ঠোঁট লাগিয়ে পানি খেলে কেন.....?
আমি:- কারণ স্ত্রীর গ্লাসের যে জায়গায় ঠোঁট লাগিয়ে পানি খায় আর স্বামী গ্লাসের ঐ জায়গায় ঠোঁট লাগিয়ে পানি খাওয়া সুন্নাত,,,,,হযরত মুহাম্মাদ সা. পানির পাত্রের ঠিক সেই জায়গায় ঠোঁট লাগেয়ে পানি খেতেন, গ্লাসের যে জায়গায় হযরত আয়শা (রা:) ঠোঁট লাগিয়ে পানি পান করতেন,,,আর সেই কারণে গ্লাসের যে জায়গায় স্ত্রী ঠোট লাগিয়ে পানি পান করবে, আর স্বামী গ্লাসের ঐ জায়গায় ঠোঁট লাগিয়ে পানি পান করা সুন্নাত,,,,বুঝেছো.....!
নিলিমা:- হুম.....!
খাওয়া শেষ হলে আমি বাইরে গেলাম এলাকার মুরুব্বিদের সাথে দেখা করতে.....!
আমি:- আসসালামু আলাইকুম দাদু.....! (আমি এলাকার মুরুব্বিকে দাদু বলে ডাকি.....!
দাদু:- ওলাইকুম আসসালাম. দাদু,,,,কোথায় থেকে বের হলি এত দিন পরে.....!
আমি:- বাইরে ছিলাম দাদু লেখাপড়ার জন্য.....!
দাদু:- তা এখন কি করতেছো.....!
আমি:- ##### এই কলেজে প্রিন্সিপাল পদে চাকুরি হয়েছিলো কিন্তু নিলয় (এখনকার এমপি) ঐ আমার চাকুরিটা খেয়ে দিয়েছে.....!
দাদু:- শুধু তোমার সাথে নয় নিলয় অনেক লোকের সাথেই এমন করেছে.....!
আমি:- একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি একা একা.....!
দাদু:- কি সিদ্ধান্ত নিয়েছো দাদুভাই.....!
আমি:- নিলয়ের বিপক্ষে এইবার এমপি নির্বাচন করবো ইন শা আল্লাহ.....!
দাদু:- কি বলছো দাদুভাই এই সব.....!
আমি:- ঠিকই বলছি দাদু.....!
দাদু:- তুমি কি নিলয়ের সাথে পেরে উঠতে পারবে, কারণ এতদিন নিলয়ের বিরুদ্ধে যারাই নির্বচানে অংশ নিয়েছে তাদেরকে নিলয় হত্যা করেছে, কাউকে গুম করেছে,,, কারও হাত পা ভেঙ্গে দিয়েছে.....!
আমি:- তুমি কোনো চিন্তা করো না দাদু আমি ঐ সব সামলে নিবো তোমরা শুধু দোয়া করিও.....!
দাদু:- তুমি এখানে না হয় ভোট পেলে আর অন্য দিক থেকে কি ভোট পাবা.....!
আমি:- আলহামদুলিল্লাহ্ মোটামুটি সব জায়গায় আমার খবর নেওয়া শেষ সবাই চায় নিলয় আর ক্ষমতায় না থাকুক কিন্তু নিলয়েল বিপক্ষে কেউ ভোটে দাড়ায় না সেই জন্য আর নিলয়কে ভোট না দিলেও সে বিজয়ী হয় কারণ সে প্রার্থী একজন.....!
দাদু:- তাহলে তো আর চিন্তা নেই.....!
আমি:- জ্বি,, আচ্ছা দাদু থাকো পরে আবার আসবো এখন বাড়িতে যাওয়া লাগবে.....!
দাদু:- আচ্ছা ঠিক আছে.....!
তারপরে আমি বাসায় চলে এসে সোহান কে ফোন দিলাম.....!
আমি:- কই রে তুই.....!
সোহান:- বাড়িতে.....!
আমি:- আসবি কখন.....!
সোহান:- রেডি হয়ে বসে আছি আব্বু আম্মুর জন্য.....!
আমি:- ওকে আয়.....!
আমি বসে থেকে গল্প লেখতেছি হঠাৎ নিলিমা এসে আমার কোলে মাথা রেখে শুয়ে পড়লো.....!
আমি:- এই পাগলি এই ভাবে শুয়ে পড়লে কেন.....?
নিলিমা:- এমনি, আচ্ছা তোমায় একটা কথা বলি.....!
আমি:- বলো.....!
নিলিমা:- তুমি কি আমায় ভালোবাসো.....?
আমি:- হুম অনেক অনেক বেশি ভালোবাসি পাগলি.....!
নিলিমা:- একদম মিথ্যা কথা বলবে না.....!
আমি:- কোথায় মিথ্যা কথা বললাম.....!
নিলিমা:- বিয়ের আগে তো তোমায় অনেকবার বলে ছিলাম আমি তোমায় ভালো বাসি কিন্তু তুমি বলছো আমায় তুমি ভালোবাসে না তাহলে এখন কেন বলতেছো আমায় তুমি ভালোবাসো, .....!
আমি:- হুম আগে তো তোমায় আমি ভালোবাসতামই না কিন্তু বিয়ের পরে তেমাায় ভালোবাসি.....!
নিলিমা:- মিথ্যাবদী.....!
আমি:- তবে রে,,,,,,, .....!
নিলিমা:- এই দুষ্ট ছারো কি করতেছো.....!
আমি:- ছাড়বো না.....!
নিলিমা:- ছাড়ো বলছি.....!
আমি:- বলছি না ছাড়বো না,,,,তুমি জানো না বউ এর সাখে খুনশুটি করাও সুন্নাত এবং এতে নেকি হয় বুঝেছো.....!
নিলিমা:- তেমায় কে বলেছে নেকি হয়.....!
আমি:- তো নেকি হবে না আমি যদি তোমার সাথে দুষ্টামি না করে অন্য হারাম মেয়ের সাথে দুষ্টমি করতাম তাহলে তো গুণা হতো তাহলে তুমি যে আমার হালাল বিবি তাহলে তোমার সাথে দুষ্টামি করলে কেনো নেকি হবে না হুম.....!
নিলিমা:- হুম তুমি খুব দুষ্টু.....!
আমি:- তো দুষ্টু হবে না আর হ্যাঁ হুজুররা একটু বেশি দুষ্টু এন্ড রোমান্টিক হয় বুঝেছো.....!
[তবে পাঠক-পাঠিকারা আমি কিন্তু হুজুর না সব সময় সুন্নাতি পোশাক পরে থাকার চেষ্টা করি আরকি🙃🙃🙃]
নিলিমা:- হুম.....!
দেখতে দেখতে ওয়ালিমা শেষ হয়ে গেলো আলহামদুলিল্লাহ্.....!
সন্ধার সময নিলিমাকে নিয়ে ওদের বাড়িতে গেলাম,,,,লোকে বলে যে শশুর বাড়ি মধুর হারি যারা নতুন বেয়ে করেছে তারাই বুঝে,,,,(কিন্তু দুঃখের বিষয় আমি এখনও অবিবাহিতো)
দেখতে দেখতে প্রায় ৫টা মাস কোন দিকে দিয়ে যে চলে গেলো বলতেই পারিনা.....!
২৪ তারিখে নির্বাচন,,,আমার নির্বাচনের মাঠ অনেক ভালোই পজিশনে আছে আলহামদুলিল্লাহ্…..সকল এলাকায় হুজুরদের নিয়ে একটা করে কমিটি গঠন করেছি.....!
সোহান:- নির্বাচনের তো আর মাত্র একদিন আছে কিযে হয় রে.....!
আমি:- আরে ভয় করিস না ইন শা আল্লাহ্ শেষ হাসিটা আমরাই হাসবো.....!
সোহান:- কিন্তু এখন তো নিলয়ের কথায় সব হয় ওর দল ক্ষমতায়,,, আবার নির্বাচনের দিনে ওর ছেলেরা ভোট কেন্দ্রে লোকজন কে মারধর করে নিলয়ের প্রতিকে ভোট দেওয়ায়.....!
আমি:- ধন্যবাদ.....!
সোহান:- ধন্যবাদ দিচ্ছিস কেন.....!
আমি:- সেটা আগামীকালই বুঝতে পারবি.....!
সোহান:- ওকে.....!
আমি:- তুই এককাজ কর এলাকায় এলাকায় আমাদের যে কমিটি আছে তাদের সকল কে খবর দিয়ে বল সকলের এলাকর লোকদের কে নিয়ে দুপুর ২ টায় যেন সকলে এক জায়গায হয় আর আমি সকলের উদ্দ্যেশে কথা বলবো সকলে বক্স এর ব্যাবস্থা করতে বলিস,,,,আমি সকলের ফোনে কনফারেন্সে কথা বলবো আর সকলে তাদের ফোনের কানেকশন বক্সে লাগয়ে দিবে বুঝেছিস.....!
সোহান:- হুম,,তুই কোনো চিন্তা করিসনা আমি সব ব্যবস্থা করতেছি.....!
তারপরে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে ঘুমানোর প্রস্তুনি নিচ্ছি তখন নিলিমা এসে আমায় বললো.....!
নিলিমা:- এই সব ভেজালের ভিতরে না গেলে হয় না.....!
আমি:- আরে পাগলি দেখনা সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে দূরনীতিবাজরা বসে আসে এখন তো সময় আসতেছে যে ঐ জায়গা গুলোতে কিছু ভালো লোকের যাওয়া যাতে মানুষ তাদের হক সঠিক ভাবে পায়.....!
নিলিমা:- হুম..বাট আমার খুব ভয় হয়.....!
আমি:- কেন ভয় হয়.....!
নিলিমা:- তোমকে হারানোর খুব ভয় হয.....!
আমি:- আরে পাগলি দেখে নিয়ো আমার কিছু হবে না,,,,তারপরে নিলিমাকে নিয়ে ঘুমিয়ে গেলাম.....!
পরের দিন দুপুর ২ টার সময় ফোন কনফারেন্সে কথা বলা শুরু করলাম.....!
আমি:-আসসালামু আলাইকুম,,,আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন,,,,,,কোনো ভূমিকা ছাড়াই কথাটা বলি আপনাদের অধিকার নিজের ভোট নিজে দেওয়া কারও জোর জুলুমে ভয় ডরে তাকে ভোট দেওয়া এটা আপনাদের অদিকার না,,,,কিন্তু আফসোসের বিষয় নিলয় আপনাদের ভোটের অধিকারটা ছিনিয়ে নিয়েছে,,,,এখন আপনারে ভোটের অধিকার ফিরিয়ে নিতে হলে আপনাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে,,,,আপনারা যদি ঐক্য বদ্ধ হয় তাহলে একটা নিলয় কেন,,,হাজারটা নিলয়ও আপনাদের কিছু করতে পারবে না,,,আপনাদের যাকে পছন্দ হয তাকে ভোট দিবেন কিন্তু নিজের ভোট নিজেই দিবোন কারও জোর জুলুমে নয়,,,,,,আমি এখন যে কথাটা ঘোষণা করতে যাচ্ছি সেটা হলো: মা-বোনেরা শুনুন নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে যদি কেউ ভোট চুরি করতে আসে বা আনাদেরকে জোর জুলুম করে কোনো প্রতীকে ভোট দেওয়ার জন্য তাহলে সঙ্গে সাঙ্গে নিজের পায়ের সেন্ডেল খুলে এক গালে যদি একটা বাড়ি দিতে পারেন তাহলে আমি তাকে ৫০০ টাকা পুরুষকার দিবে দুই গালে বাড়ি দিরে ১০০০ হাজার তারপরে যে কয়টা বাড়ি দিবেন প্রতি বাড়িতে ৫০০ টাকা করে বৃদ্ধি হবে,,,,,আর এমন জুতা পরে যাবেন যেন জুতা খুলতে দেরি না হয়.....!
{ ইচ্ছা ছেলো অনেক কিছু বলার কিন্তু ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের জন্য পারলাম না বলতে }
আজ সকাল ৭ টা হতে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে,,, আমি আব্বু, আম্মু ও নিলিমাকে নিয়ে গেলাম ভোট দিতে,,, ভোট দেওয়া হলে আমি আব্বু আম্মু আর নিলিমাকে বাসায়ে রেখে সোহানকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রগুলো ঘুরতে লাগলাম। একটা ভোট কেন্দ্রে একটু গন্ডগোল মনে হওয়ায় ভিতরে গেলাম গিয়ে দেখি সব ঠিক ঠাক তাই বাইরে এসে আমি যাচ্ছি সমনে গারি আসে হঠাৎ কোথা থেকে কয়েকজন ছেলে এসে আমাকে লাঠি দিয়ে এলোপাতারি পিটাতে লাগলো,,,,, একটা ছেলে আমার মাথায় বাড়ি দেওয়ার পর আমার আর কিছু মনে নেই……!
তারপর সোহান আমায় হাসপাতালে গিয়ে গেলো আর বাড়িতেও খবর দিলো.....!
নিলিমা তো বাসায় আমার এই অবস্থার কথা শুনে কান্না করতে শুরু করেছে হাসপাতালে এসেও কান্না থামাচ্ছে না.....!
আম্মু;- বৌমা তুমি আর কান্না করো না দেখিও ফাহাদের কিছুই হবে না.....!
কে শুনে কার কথা নিলিমার কান্না থামানোর কোনো কথায় নেই.....!
বিকেল গরিয়ে সন্ধা হতে লাগলো নিলয় যখন দেখলো ও নির্বচনে বিজয়ী হবে না তখন ফোন কেন্দ্রে ক্ষমতা দেখিয়ে সকল কর্মকর্তাকে দিয়ে বলালা যে ফলাফল ঘোষণা হবে থানায় নির্বাচন কমিশন অফিসে আর নির্বাচন কমিশনার ফলালফ ঘোষণা করবেন.....!
হঠাৎ নির্বাচন কমিশনার পুশিকে ফোন দিয়ে নির্বাচন কমিশন অফিসের সমনে ফোর্স নিয়ে আসতে বললো,,,,নিলয় তো এই কথা শুনে সেই পরিমাণ খুশি.....!
নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে সকলে অবস্থান করেতেছে নির্বাচনের ফলাফল শুনার জন্য.....!
নির্বাচন কমিশনার ফলাফল ঘোষণ করতে শুরু করলো,,,, .....!
নির্বাচন কমিশনার:- এই আসনের মোট প্রার্থী ছিলো মোট দুই জন। নিলয় ইসলাম নৌকার পাল মার্কা এবং মুহাম্মাদ ফাহাদ হাতপাখা মার্কা.....!
এই আসেনে প্রাপ্ত ভোট ৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৯ শত ৪৭টি এর মধ্যে দুই জন প্রার্থী পেয়েছে.....!
হাতপাখা মার্কা:- ৩ লক্ষ ২১ হাজার ৭ শত ৪৩
নৌকার পাল:- ৫ হাজার ২ শত ৪
হাতপাখা মার্কা বিপুল পরিমান ভোটে বিজয়ী হয়েছে.....!
নিলয়:- এই কমিশনার তুই একই টা কি করলি জীবনের ভয় নেই তোর.....!
নির্বাচন কমিশনার:- আমি যা করেছি ঠিকিই করেছি,,,জান্নাতের কথা মনে আছে তোর.....!
নিলয়:- কোন জান্নাত.....!
নির্বাচন কমিশনার:- যে জান্নাত কে তোর ছেলেরা ইপ্টিজিং করেছিলো যার প্রতিবাদি করেছলো ফাহাদ স্যার যখন তিনি ##### কলেজের অধ্যক্ষ ছেলেন কিন্তু তুই যখন জানলি এই মেয়ের জন্য তোর ছেলেদের ফাহাদ লাঠি দিয়ে দৌড়ানি হয়েছে তখন তুই তোর ছেলেদের দিয়ে ঐ জান্নাত কে উঠিয়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছিস তারপর তুই তোর বোন ফাতেমা আক্তার মিনা কে দিয়ে জান্নাতকে দে#হ ব্যবস্যা করতে বাধ্য করেছিস কিন্তু ব্যাচারা জান্নাত পরে কি করেছে জানিস ,,, ও আত্ম হত্যা করেছে.....!
নিলয়:- জান্নাতের সাথে করেছি তাতো তোর সমস্যা কোথায়.....!
তখন নির্বাচন কমশনার পা থেকে জুতা খুলো নিলয়ের গালো জুতা দিযে বাড়ি দিতে লাগলো পুলিশ তখন তাকে আটকায়, .....!
নির্বাচন কমিশনার:- ঐ জান্নাত আর কেউ না আমার ছোট মেয়ে ছিলো,,,,, এসপি স্যার এই নিন প্রমাণ,,,,(একটা ভিডিও দিয়ে বললেন কথাটা)
তারপর পুলিশ নিলয় আর ওর বোন মিনা কে নিয়ে যায়,,,, আদালত থেকে নিলয় এবং মিনার ফাঁ#সি আদেশ আসে.....!
এই দিকে আমি হাসপাতালে ভর্তি আছি আজ তিন দিন হলো,,,, হঠাৎ চোখ খুলে দেখি আমার বুকে কেউ শুয়ে আছে ভালো করে তাকিয়ে দেখি নিলিমা শুয়ে আছে.....!
আমি:- নিলিমা এই নিলিমা আরে পাগলি উঠো ব্যাথা পাচ্ছি তো.....!
নিলিমা:- আম্মু আব্বু ওর জ্ঞান ফিরেছে (চিৎকার দিয়ে)
তারপর আব্বু আম্মু ডাক্তারকে নিয়ে ক্যাবিনে আসলো.....!
ডাক্তার:- এখন কেমন লাগতেছে স্যার.....!
আমি:- আমায় স্যার বলতেছেন কেনো.....!
ডাক্তার:- আপনি তো আমাদের বর্তমান এমপি.....!
আমি:- এমপি মান বুঝলাম না.....!
তারপর আব্বু আমায় সব কথা খুলে বললেন.....!
আমি:- ওহ.. আমায় স্যার বলার দরকার নেই,,,মাথায় একটু ব্যাথা করতেছে.....!
ডাক্তার:- সমস্যা নেই আমি ঔষধ দিচ্ছি খেলেই ঠিক হয়ে যাবে.....!
আব্বু:- আমরা রুগীকে কখন বাসায় নিয়ে যেতে পারবো.....!
ডাক্তার:- আপনারা চাইলে এখনই নিয়ে যেতে পারেন.....!
তারপর আব্বু আম্মু আমায় বাসায় নিয়ে আসলো,,,,বাসায় এসে রুমে গিয়ে নিলিমা আমায় ফ্রেশ হতে হতে সাহায্য করলো,,, ফ্রেশ হওয়া শেষ হলে আমায় বিছানায় শুয়ে দিয়ে নিলিমাও ফ্রেশ হয়ে আসলো.....!
আমি:- এই পাগলি শুনো তো.....!
নিলিমা:- কি.....!
আমি:- তোমার চোখের নিচে দিয়ে কালো দাগ কেন কান্না করছো তাই না.....!
নিলিমা:- না.....!
আমি:- এই একদম মিথ্যা কথা বলবে না.....!
নিলিমা:- হুম কান্না করেছি.....!
আমি:- কেন কান্না করেছো হুম.....!
নিলিমা:- তা কান্না করবো না তুমি জানো না আমি তোমায় কত ভালোবাসি যদি তোমার কিছু হয়ে যেতো .....!
আমি:- আরে পাগলি আমার কিছুই হবে না,,, তুমি আমায় কত টুকু ভালোবাসো.....!
নিলিমা:- এত্,,,তো,,,,,,এত………তো গুলো ভালোবাসি.....! (হাত গিয়ে দেখিয়ে বললো কথাটা)
আমি:- তাহলে চলো না আমরা একটা পিচ্চির ব্যাবস্থা করি.....!
নিলিমা:- এই দুষ্টু,,,,বলে আমর বুকে মাঝে লজ্জায় লুকে কিল ঘুশি মারতে লাগলো.....!
আমি:- আমার পাগলিটাতো দেখি লজ্জায় লাল হয়ে গেছে ওরে আমার লজ্জাবতীটারে.....!
নিলিমা আরও লজ্জা পেয়ে আমায় জড়িলো ধরলো.....!
এই ভাবে চলছিলো আমাদের দিন গুলো সোহানও বিয়ে করে ফেলেছে আমার কলেজের চাকুরিটার জায়গায় সোহানকে চাকুরি নিয়ে দিয়েছি,,,,,সব মিলিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে চলছে আমাদের দিন.....!
{ আমি চেষ্টা করেছি আমার গল্পের দারা যেন কোনো অশ্লিলতা না ছড়ায় এবং সমাজের কিছু চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যাতে আমরা সকলে সচেতন হয়ে ইসলাম অনুযায়ী নিজের সমস্ত কিছু পরিচালনা করতে পারি, আল্লাহ্ তায়ালা আমাদের ইসলামী শরীয়ার উপর আমৃত্যূ পর্যন্ত জীবন পরিচালনা করার তৌফিক দান করুন আমিন ,,,আর আমি ছোট মানুষ ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ্ হাফেজ!!!!! }
#সমাপ্ত…….
{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments