ICABGU

ICABGU
PICCI LEKHOK

অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি (পর্ব:- ০৬)


#গল্প:- অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি
#লেখক:- পিচ্চি লেখক
#পর্ব:- ০৬

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে আমি আমার বন্ধুদের সাথে কলেজ ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে আছি…..!(যে কলেকে পরীক্ষা হচ্ছে ঐ কলেজে)

হঠাৎ কোথা থেকে জানি ফাতেমা আসলো এসেই…..!

পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে আমি আমার বন্ধদের সাথে কলেজ ক্যাম্পাসে দাঁড়িয়ে আছি…..!(যে কলেকে পরীক্ষা হচ্ছে ঐ কলেজে)

হঠাৎ কোথা থেকে জানি ফাতেমা আসলো এসেই ……….

আমার সামনে হাটু গেরে বসে একটা গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে আমার সামনে ধরে ফাতেমা  বলল…..!

ফাতেমা:- ফাহাদ আমি যেদিন তোমার লেখা গল্প পড়তে শুরু করেছি তখন থেকেই তোমার গল্প পড়েই তোমায় ভালোবেসে ফেলছি,,, আমি তোমায় অনেক ভালোবাসি… I Love You…..প্লিজ আমায় ফিরিয়ে দিয়োনা প্লিজ…..!

আমি তো অবাক হয়ে গেলাম ফাতেমার কান্ড দেখে আমি বুঝতে পারতেছিলাম না আমি এখন কি করবো…..!

এত গুলো শিক্ষার্থীদের সামনে ফাতেমা আমায় প্রপোজ করেছে বাট আমি রাতে হতে কেন জানি লজ্জা লাগতেছে।

ফাতেমা:- কি হলো চুপ করে আছো কেন…..? তুমি কি আমায় ভালোবাসো না….!

আমি:- হুম আমি রাজি…..! (লজ্জায় মাথা নিচু করে আস্তে বললাম কথাটা)

কথাটা বলে ফাতেমার হাত থেকে ফুলটা নিলাম…..!

ফাতেমা উঠে আমায় জরিয়ে ধরতে যাবে তখনই আমি পিছন দিকে সরে গেলাম…..!

ফাতেমা:- কি হলো পিছন দিকে সরে গেলে কেন…..?

আমি:- তুমি সেটা করতিছো সেটা ঠিক না…..!

ফাতেমা:- আরে সমস্যা নেই আমারা তো বিয়ে করবো কিছু দিন গেলে…..!

আমি:- বিয়ের জন্য অপেক্ষা করো,,,,, বিয়ের আগে কিছু হবে না….বুঝলে….!

ফাতেমা:- হুম….! (মন খারাপ করে)

(প্রিয় বোনেরা আপনি বিশ্বাস করেন আর না করেন। আপনি যার সাথে রিলেশনে জড়িয়েছেন,,, ঐ ছেলে শুধু চায় আপনার দেহটা আর কিছু না। আর এটাই বাস্তব! অনেক ভাইয়েরা এখানে আমার কথার সাথে দ্বিতম প্রশোন করবেন কিন্তু আপত্তি করলেই এই কথাটাই ঠিক…..! প্রমাণ:- এক হাদিসে আছে একদিন হযরত আয়শা (রা.) এবং তার আপন পিতা আবু-বকর (রা.) একই ঘরে একা একা গল্প করতেছিলেন,,, হঠাৎ হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ঘরে ধুকে হযরত আবু বকর (রা.) এর উপর রেগে গেলেন,,,,, এক পর্যায়ে আবু-বকর (রা.) ঘরের বাহিরে চলে গেলেন। এবং তার মনে বারবার একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছিল যে বিশ্বনবী (সা.) কেন আমার উপরে রাগ হলেন,,,,পরে তিনি হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কে জিজ্ঞাস করলেন, আপনি কেন তখন আমার সাথে রাগ হয়েছিলেন….! তখন হযরত মুহাম্মাদ (সা.) বললেন, আবু-বকর তুমি যখন আয়শার সাথে একা একা কথা বলছিলে তখন ৩য় ব্যক্তি ছিল শয়তান যে তোমাদের দুই জন কে ধোকা দিচ্ছিল জিনা করার জন্য………………….একবার প্রিয় বোন আপনি ভাবুন এত বড় ব্যাক্তিকে যদি শয়তান ধোকা দেয়ে তার নিজের মেয়ের সাথে জিনা করার জন্য তাহলে আপনি এই জামানার কোন ছেলেকে বিশ্বাস করেন যে ঐ ছেলে আপনার সাথে কুকর্ম করবেনা…প্রিয় ভাইয়েরা আবু-বকর (রা.) মতো এত বড় ব্যক্তিকে যদি শয়তান ধোকা দেয় গুণা করার জন্য আর আপনি কোন চান্দু যে আপনার দ্বারা শয়তান এমন কাজ করাবে না…. প্রিয় বোন অনেকে রিলেশন করার পর শুধু সম্পর্ক ঠিক রাখার জন্য ঐ ছেলের কুপ্রস্তাবে রাজি হয়ে যান,,, পরে ঐ ছেলে আকাঙ্খা পূরণ হলে আপনাকে ছেড়ে চলে যায়। যার ফল স্বরূপ শাস্তি ভোগ করেন আপনি বিয়ের পরে….যাকে বিয়ে করেন তার সাথেও সুখে সংসার করতে পারেন না আর আখিরাতে তো শাস্তি আছেই যে শাস্তি আমাদের কারও সহ্য করার মতো ক্ষমতা নেই,,,,! শ্রদ্বীয় প্রিয় বোনেরা আপনার সম্ভ্রাম হেফাজত করে রাখেন আপনার তাকদীরে যে আছে তার জন্য,,,,)

যাহোক গল্পে ফিরি……!

তারপর ফাতেমাকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসলাম, বিকেলে আড্ডা দিতে গেলাম বন্ধুদের সাথে…..!

মামুন:- মামা আজ তো ভালোই খেলা দেখালি…..!

আমি:- কিরে সোহান আমি কি কোন খেলোয়ার…..!

সোহান:- না তো…..!

আমি:- তাহলে মামুন আমায় বলতেছে আমি নাকি আজ ভালোই খেলা দেখালাম….!

মামুন:- আরে এই খেলা ঐ রকম খেলা না যা তুই ভাবতেছিস……!

ফরহাদ:- এ তোর চুপ করবি….. আগে ফাহাদের থেকে খাওয়া নিয়া লই…..!

আমি:- আমি কিসের খাওয়া দিবো রে ফরহাদ…..!

ফরহাদ:- তোর মনে নেই আজ যে নতুন রিলেশনে গেলি সেই জন্য খাওয়া দে…..!

আমি:- খাওয়া দিতে আরবো না…. দেখি তোরা কিভাবে খাওয়া নেস আমার থেকে…..!

ফরহাদ:- এ সোহান আমাদের এলাকার ঈমাম সাহেব কে ফোন দিয়ে আসতে বলতে সন্ধার পরে….!

সোহান:- কি বলবো ফোন দিয়ে অযাথা…..!

ফরহাদ:- আরে হুজুর কে ফোন দিয়ে বল, এইটা দেয়ার অনুষ্ঠান আছে…..!

আমি:- কিসের দোয়ার অনুষ্ঠানরে ফরহাদ তোর বিয়ে নাকি রে…..!

ফরহাদ:- আমার বিয়ে হুজুর কে আগে আসতে দে তারপর হুজুরকে দিয়ে দোয়া করে নিবো এক সপ্তাহের মধ্যে যেন তোদের ব্রেকাপ হয়…..!

আমি:- সোহান খবর দার হুজুর কে ফোন দিবি না…..!

ফরহাদ:- সোহান তু্ই ফাহাদের কথা শুনবি না তুই ফোন দে হুজুরের কাছে…..!

আমি:- খবর দার সোহান ফোন দিলে তোর খবর আছে আজ…….!

ফরহাদ:- ঠিক আছে। আগে বল আমাদের কে খাওয়াবি কি না……!

আমি:- ইমোশোনাল ব্লাকমেইল করতেছিস আমাকে,,,, মনে রাখিস দিন কিন্তু আমারও আসবে একদিন…..!

ফরহাদ:- যখন তোর দিন আসবে তখন দেখা যাবে এখন বল খাওয়াবি কি না আমাদের…..!

আমি:- তোদের খাওয়ানো ছাড়া তো আমার আর কোনো উপায় নেই…..!

ফরহাদ:- এই তো ভালো ছেলে…..!

তারপর রাতে বাসায় আসলাম, রাতে খাবার খাওয়ার সময় আম্মু আমাকে বলল…..!

আম্মু:- বাবা ফাহাদ….। পরীক্ষা তো দিলে এখন কিছু একটা কর…..তোর আব্বুর তো বয়স হয়ে গেলে তোদের জন্য খাটতে খাটতে। তোর বোনেরও তো বড় হয়ে যাচ্ছে…..!

আমি:- ঠিক আছে আম্মু দেখি কি করা যায়…..!

খাবার খেয়ে এসে শুয়ে পড়লাম,,, ফেসবুকে মেসেজ দিতেই দেখি ফাতেমা মেসেজ দিয়েছে…..!

তাও আবার একটা- দুইটা না প্রায় ১৫/২০ টার মতো মসেজে দিয়েছে,,,,,আমি মেসেজ গুলো পড়তেছি হঠাৎ দেখি ফাতেমার আর একটা মেসেজ আসলো…..!

ফাতেমা:- কিরে শয়তান আমার মেসেজের রিপ্লাই রিপ্লায় দিচ্ছিস না কেন, কোন মেয়ের সাথে কথা বলতেছিস এতক্ষণ ধরে, তোরে শুধু সামনে পাইয়া লই তারপর দেখিস আমি তোর কে অবস্থা কারি…..!

 

 

#চলবে…….

 

{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}


★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)

No comments

Theme images by Raycat. Powered by Blogger.