অবহেলিত ছেলেটি যখন এমপি (পর্ব:- ২৫)
তারপর উনি উপরে চলে গেলো,,,
আমি বসে আছি হঠাৎ আন্টি বলল.....!
আন্টি:- এই যে দেখো তোমার
হবু বউ কে.....!
তারপর আমি মাথা উচু করে মেয়েকে
দেখতেই দাড়িয়ে গেলাম এ আমি কাকে দেখছে.....!
এ তো নিলিমা.....!
আন্টি:- কি হলো বাবা দাড়িয়ে
গেলে যে.....!
আমি:- এমনি আন্টি.....!
আন্টি:- আমার মেয়েকে পছন্দ
হয়েছে.....!
আমি:- আলহামদুলিল্লাহ্, .....! (তাই তো বলি এনাকে এত চেনা চেনা লাগে কেন, এনাকে
কে তো আমি হাসপাতালে দেখেছিলাম)
আন্টি:- তোমরা কি কোনো কথা
বলবে যদি বলতে চাও তাহলে বলতে পারে আমি উপরে যাচ্ছ তাহলে.....!
আমি:- না কিছু বলবো না.....!
আন্টি:- আচ্ছা ঠিক আছে.....!
আমি:- তাহলে আমি এখন যাই.....!
আন্টি:- যাবে মানে কোথায়
যাবে.....!
আমি:- বাসায় যাবো.....!
আন্টি:- বাসায় যাবে কেন কিছ্ক্ষণ
থাকো তারপর যাইও.....!
আমি:- আমার একটু কাজ আছে
বাইরে.....!
আন্টি:- ওকে যাইও আগে খাবার
খাও তারপরে.....!
আমি:- অন্যদিন খাবো আজ না,,,
প্লিজ জোর করবেন না আমার একটু তারা আছে.....!
নিলিমা:- আম্মু উনি যখন যেতেই
চাচ্ছে তাহলে আর জোর করো না.....!
আন্টি:- আচ্ছা ঠিক আছে বাবা
ভালোভাবে যাইও.....!
আমি:- আচ্ছা ঠিক আছে.....!
তারপর আমি চলে আসলাম বাসায়,,,
বাসায় এসে এশার নামাজ পড়ে খাবার খেতে বসলাম হঠাৎ মনে হলো আমার পিচ্চি বোনের কথা,,,,
আমি:- আম্মু খাকচুন্নিটা
কোথায়.....!
আম্মু:- খাকচুন্নি কে রে
আবার.....!
আমি:- আরে আম্মু ফারহানার
কথা বলতেছি.....!
আম্মু:- ও তোকে তো বলতেই
ভুলে গেছি ফারহানা তোর মামার বাড়ি গিয়েছে বেড়াতে.....!
আমি:- কবে আসবেও.....!
আম্মু:- এই সপ্তাহের মধ্যে
আসবে.....!
আমি:- ফারহানাকে কি বলেছেন
নাকি আমি আসছি.....!
আম্মু:- আরে আমি তো এই খুশির
খবরটা ওকে বলতেই ভুলে গেছি, খাবার খাওয়া শেষ হলেই ফারহানাকে ফোন দিয়ে বলবো তুই বাসায়
আসছিস.....!
আমি:- আম্মু ফারহানাকে আমার
সম্পর্কে কিছু বলবে না এখন,,, ফারহানা বাসায় আসলে ওকে সারপ্রাইজ দিবো.....!
আম্মু:- তুই যা ভালো বুঝিস
তাই করিস.....!
হঠাৎ আব্বু বলে উঠলো.....!
আব্বু:- কিরে মেয়েটাকে দেখতে
গিয়েছিলি.....!
আমি:- জ্বি আব্বু গিয়েছিলাম.....!
আব্বু:- তা তোমার এখন অভিমত
কি.....!
আমি:- আব্বু আমি ঐ মেয়েকে
বিয়ে করতে রাজি.....!
আব্বু:- আলহামদুলিল্লাহ্
তাহলে তো ভালোই হলো,,,তাহলে খাবার খাওয়া শেষ করে আমি নিলিমার বাবার সাথে তোদের বিয়ের
তারিখ ঠিক করতেছি আজকেই.....!
আমি:- আচ্ছা আব্বু ঠিক আছে.....!
তারপর খাওয়া শেষ করে আমি
রুমে চলে গেলাম,,, বিছানায় শুয়ে পড়তেই ফোনটা চিল্লাতে শুরু করলো,,, ফোন হাতে নিয়ে দেখি
নিলয় ফোন দিয়েছে.....!
আমি:- আসসালামু আলাইকুম.....!
নিলয়:- আরে রাখ তোর ছালাম,,,,
অধ্যক্ষ তোকে তো আমি আগেই নিষেধ করেছি আমার সাথে পাঙ্গা নিতে আসিস না তাহলে এর পরিনাম
ভালো হবে না,,,কিন্তু তুই আমার কথা শুনিসনি এখন দেখ তোর কি অবস্থা করি আমি.....!
আমি:- আরে রাখ তোর হুমকি
ধামকি,,,,তোর কি মনে হয় আমি তোর হুমকি ধামকিতে ভয় পাই নাকি.....!
নিলয়:- তোর এত বড় সাহস হয়ে
গেছে তুই আমার বিপরীদে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতেছিস তোর কি জীবনের ভয় নেই.....!
আমি:- জীবনের ভয় করে কি হয়ে
যিনি আমায় দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন তিনি যে দিন আমায় দুনিয়া থেকে নিয়ে যাবে সেই দিন আমি
যাওয়ার জন্য প্রস্তুত,,,,সো তোর কোন হুমকিতে তুই আমায় নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা থেকে
বিরত রাখতে পারবি না.....!
নিলয়:- সেটা সময় বলে দিবো.....!
এই কথা বলে নিলয় ফোট কেটে
দিলো,,,হঠাৎ দরজায় কে যেন ডাকতেছে আমায় দরজা খোলার সাথেই.....!
আম্মু:- কখন থেকে তোকে ডাকতেছি.....!
আমি:- শুনতে পাইনি.....!
আম্মু;- নিচে চল.....!
আমি:- কেন.....!
আম্মু:- নিচে আসতে বলছি নিচে
আয়.....!
আমি:- ঠিক আছে.....!
তারপরে আমি নিচে গেলাম.....!
আব্বু:- তোর ফোন দিয়ে নিলিমার
বাবার ফোনে ভিডিও কল দে.....!
আমি:- ঠিক আছে.....!
তারপর আমি আমার ফোন দিয়ে
নিলিমার বাবার ফোনে ভিডিও কল দিলাম কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে আমায় বললো.....!
নিলিমার বাবা:- তুমি বিয়েতে
আমার কাছে থেকে কি কি চাও.....!
আমি:- আরে কি বলছেন আপনি
আমার কিছু লাগবে না.....!
নিলিামার আব্বু:- দেখো লজ্জা
না করে বলো কি চাও.....!
আমি:- আপনি নিলিমাকে ছোট
থেকে বড় করেছেন আর পৃথিবীতে আপনার সব চেয়ে প্রিয় জিনিসটা আমার কাছে দিয়ে দিচ্ছেন এটাই
তো অনেক বড় পাওয়া তাই আমার কিছুই লাগবে না শুধু আপনার মেয়েকে আমার বাসায় পাঠিয়ে দিলেই
হবে.....!
আব্বু:- বিয়াই আবির ঠিকই
বলেছে এখন দেন মোহরের ব্যাপারটা নিয়ে বলেন.....!
নিলিমার আব্বু:- মোহর বাদবো
৭ লক্ষ টাকা.....!
আমি:- দেখুন তাহলে আমার পক্ষে
আপনার মেয়েকে বিয়ে করা সম্ভব না.....!
নিলিমার আব্বু:- কেন বাবা.....!
আমি:- কারণ আমি আমি এত টাকা মোহর দিতে পারবো না,,,,,, আমার যত টুকু
মোহর দেওয়ার সাদ্ধ আছে আমি তত টুকুই দিবো এর বেশি হলে আমি বিয়ে করতে পারবো না আপনার
মেয়েকে.....!
নিলিমার আব্বু:- তুমি কত
টাকা মোহর দিতে চাচ্ছো বাবা.....!
আমি:- আমি ২০,০০০ হাজার টাকা
মোহার দিবো.....!
নিলিমার আব্বু:- দেখো তাহলে
আমিও আমার মেয়েকে তোমার সাথে বিয়ে দিতে পারবো না.....!
আমি:- ওকে ঠিক আছে আমার এতে
কোনো আপত্তি নেই.....!
নিলিমার আম্মু:- নিলিমাতো
রাজি তাহলে তুমিও রাজি হয়ে যাও এত টাকা মোহরের কথা অযাথা বলছো কেন.....!
নিলিমার আব্বু:- দোখো নিলিমার
মা এখন কেমন জামানা তুমি তো ভালো করেই জানো কম টাকা মোহর হলে আমার মেয়ের একটু কিছু
ভুল হইলেই টাকা দিয়ে তালাক দিয়ে দিবে,,,, আর বেশি টাকা মোহর হলে তখন টাকাও দিতে পারবে
না আর আমাদের মেয়েকেউ তালাক দিতে পারবে না,,, .....! (কথা গুলো আস্তে বলেছে বাট আমি
সব শুনে ফেলেছি)
আমি:- দেখুন আঙ্কেল এই রকম
চিন্তা ভাবনা যদি আপনার আগে থেকেই তাকে তাহলে বিয়ের পরে সংসারে অশাস্তি হবে এটাই স্বাভাবিক
ব্যাপার,,,, ইন্না মাল আ মা লু বিন নিই য়্যাত,,,,, সকল কর্ম ফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল,,,
তাহলে এখন যদি আপনার নিয়ত এই রকম হয় তাহলে বিয়ের পরে আমাদের সংসারে কি রকম শান্তি থাকবে
সেটা আপনি ভাবুন।
নিলিমার আব্বু:- ঠিক আছে
বাবা আমি বিয়েতে রাজি বিয়ে তাহলে আগামী ২০ তারিখে.....!
আমি:- আব্বু আপনার কিছু বলার
থাকলে বলেন.....!
আব্বু:- আচ্ছা বেয়াই সাহেব
তাহলে আগামী ২০ তারিখেই আপনার মেয়ের সাথে আমার ছেলের বিয়ের তারিখ ফাইনাল.....!
নিলিমার আব্বু:- আপনারা কত
জন লোক আসবে.....!
আমি:- আঙ্কেল আমরা ৫ জন যাবো
আমি, আব্বু, আম্মু, আমার ছোট বোন, আর আমার নানা.....!
নিলিমার আব্বু:- কি বলতেছো
বাবা আমার একটা মান সম্মানের ব্যাপার আছে না,,,
মানুষ কি বলবে এত কম লোকরে জন্য অনুষ্ঠানের
আয়োজন করলে.....!
আমি:- দেখুন আঙ্কেল ইসলামী
শরীয়ায় বিয়ের সময় একটা অনুষ্ঠানের কথাই উল্লেখ আছে যেটা ছেলের বাড়িতে হয় ওলিমা,,,,,,আর
আপনার কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করার দরকার নেই আল্লাহ্ আমায় যত টুকু দিয়েছেন আমি সেই
অনুযায়ী ওলিমার আয়োজন করবো ইন শা আল্লাহ্,,,,, আর ইসলাম বলে আপনার থেকে মেয়ে নেওয়ার
পরে আপনার কাছে থেকে আর কিছু দাবি করা জুলুম সেই হিসাবে অনুষ্ঠান করাও আপনার উপর যুলুম,,,,,,হযরত
মুহাম্মাদ (সা.) বলেছেন ঐ বিয়েতে বারাকা বেশি যে বিয়েতে খরচ কম হয়.....!
নিলিমার আব্বু:- আচ্ছা ঠিক
আছে বাবা.....!
তারপর নিলিমার আব্বু ফোন
কেটে দিলেন.....!
আব্বু:-দেখ আমি কিছু বলবো
না তোর বিয়ে তাই তোর যে ভাবে ভালো লাগে তুই সেই ভাবে বিয়ে কর.....!
আমি:- ঠিক আছে.....!
[বর্তমান সময়ে যৌতু্ক না
নিয়ে বিয়ে করার মতো হাজারো ছেলে আছে কিন্তু কম দেন মোহরে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার মতো বাবা
সমাজে খুব কমই আছে,,,,এখন তো সমাজে মেয়েদের বাবাদের প্রতিযোগিতা হয় মেয়ের বিয়ের দেন
মোহরের ব্যাপারে কার মেয়ে বেশি দেন মোহরে বিয়ে হয়,,,,আর যৌতুকের কথা কি বলবো শশুর
বাড়ি থেকে যৌতুক নেওয়ার আগে নিজের হাত দুইটা কেটে ফেলিয়েন,,,,, যৌতুক খাওয়া পায়খানা
খাওয়ার চেয়েও জঘন্য,,,,
প্রিয় বোন দেনমোহর আপনি কেন
নিবেন না ইসলাম আপনাকে সেটা নেওয়ার অধিকার দিয়েছে,,,,তাহলে কেন আপনি মোহর নিবেন না,,,,,,ইসলাম
আপনাদেরকে এত বেশি সম্মান দিয়েছে, এত বেশি অধিকার দিয়েছে যা আমি পিচ্চির ক্ষমতা নেই
যে লেখনির মাধ্যমে তুলে ধরবো,,,,,,নারীবাদিরা আপনাদের সম্মান দিতে পারেনি আর কখনও পারবেও
না,,,,নারীবাদিরা যদি আপনাদের সম্মান দিয়েই থাকে তাহলে প্রিয় বোন আপনি কি সমাজে এত
ছোট হয়ে গেলেন যে সামান্ন দুই টাকা দামের শ্যামপুর গায়ে কেন আপনার ছবি থাকবে নারীবাদিরা
এই সম্মান দিয়েছে আপনাদের,,,,,তারা আপাদের ঘর থেকে রাস্তায় নামিয়েছে যার ফলে দিন দিন
বেরেছে ধর্ষণ নেই আপনাদের কোনো নিরাপত্তা এটা কি নারী বাদিদের আপনাদেরকে দেওয়া সম্মান,,,,,,আল্লাহ্
আমাদের সকলকে সঠিক বুঝ দান করুন,,,আমিন]
পরের দুই দিন বিয়ের কেনা
কাটা করে,,,,ফাইনালি ২০ তারিখে চলে গেলাম বিয়ে করতে নিলিমাদের বাড়ি.....!
কাজি:- আপনি এই জায়গায় সাইন
করেন.....!
আমি:- আমি শুধু সাইন করবো
কেন,,,,কাবিন নামা পূরন করবো না.....!
কাজি:- ঐ গুলো আমি করেছি
আপনি শুধু এখন সাইন করেন.....!
ঐ গুলো আপনি পূরক করেছেন
মানে বিয়ে করতেছি আমি আর কাবিন নামা পূরন করেছেন আপনি এটা কেমন কথা,,,,,আমাকে একটা
ফ্রেশ কাবিন নামা দেন যেটাকে কিছু লেখা নেই আমি পড়ে পূরণ করবো,,, আর তা নাহলে আমি বিয়েই
করবো না .....!
তারপর কাজি নতুন একটা কাবিন
নামা দিলেন.....!
[প্রিয় অবিবাহিতো ভায়েরা
বিয়ের সময় কাবিন নামাতে সাইন দেওয়ার সময় আমরা সেটা পড়ে দেখি না এইটা ঠিক না জোসে হুস
হারায়েন না ঐ সময়,,,, কি আযব ব্যাপার বিয়ে করবো আমি আর আমার কাবিন নামা পূরণ করে কাজি,,,,,,,সুতরাং
এক জন আলেমের থেকে শুনে পূরুর করিয়েন কারণ ঐ জায়গায় একটা পয়েন্ট আছে যেটানে আপনি যদি
আপনার বউ কে তালাকের অনুমতি না দেন তাহলে আপনার বউ কখনও আপনাকে দেশের আইন অনুযায়ী তালাক
হবে না,,,,আর আমি প্রায় সব সময় একটা কথা বলি বিয়ে শাদি,,,তালাকের ব্যাপার নিয়ে দেশের
আইন মানলে আপনি পরকালে হবেন জাহান্নামি কারণ শরীয়া বলে আপনার বউ তালাক হয়ে গিয়েছে দেশের
আইন বলে হয়নি,,,,সো একটা ভালো আলেমের কাছে গেয়ে পরামর্শ নিয়েন,,,,আমাকে আবার এই কথার
জন্য দেশদ্রহী বানিয়ে দিয়েন না দেশের আইন মানতে হবে ১০০% কিন্তু সব সময় না ]
দেখতে দেখতে বিয়েটা হয়ে গেলো
তারপর নিলিমাকে বাসায় নিয়ে আসলাম বোরকা পড়ে,,,,, আমি নিলিমাকে শারি পড়তে নিষেধ করেছি,,,,,
বাসর ঘরের সামনে দাড়িযে আছি.....!
বাসর ঘরের দরজা খুলে ভেতরে
প্রবেশ করতেই,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
#চলবে…….
{অনুমনি ছাড়া গল্প কপি করা নিষেধ}
★
★★
★★★
★★★★
★★★★★ (ভুল ত্রুটি ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন)
No comments